রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক- নতুন সরকারের সামনে এ তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সংসদের ভেতরে-বাইরে নানামুখী চাপ সামাল দিতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারকে। এ চ্যালেঞ্জের বেশির ভাগ হচ্ছে বিশ্ব সংকটের বাস্তবতার ফল। এসব থেকে দেশকে মুক্ত করা সহজ না।
আজ শুক্রবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আজ যে সংকট অতিক্রম করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে পেরেছি, এটা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিক লিডারশিপের ফলেই সম্ভব হয়েছে। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে দক্ষতা, দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন সে কারণেই মূলত আমরা সাহস পাই, আমরা আশা রাখি। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর, তিনি আমাদের স্বপ্নের সাহসী ঠিকানা। আমরা বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব যে দেশে আছে সে দেশ এগিয়ে যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ আমাদের লক্ষ্য। আমাদের চলার পথ কখনোই পুষ্প বিছানো ছিল না। আমাদের জন্ম থেকেই এ পথ কণ্টকার্কীণ ছিল। আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এ পথ সহজ করেছি। সামনে আরও সহজ হবে।
মন্ত্রিসভার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মন্ত্রিসভার মিটিং করব। এরপর যার যার মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী যে সব নির্দেশনা দেবেন, বিশেষ করে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নই আমাদের মূল কাজ।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের ৩ ধারা অনুযায়ী প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এর মধ্যদিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। পরে দ্বিতীয় ধাপে শপথ নেন ২৫ জন মন্ত্রী। এরপর ১১ জন প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন।
এর আগে বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শপথ নিয়েছেন নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। শপথ শেষে অনুষ্ঠিত সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়। বুধবার সন্ধ্যার পর বঙ্গভবনে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি।
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন