ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়: মহানবী (সা.) যেসব দোয়া বেশি পড়তেন

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১২:৪০:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
  • ৪৬০ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ‘মোখা’ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তিন বছর কাটতে না কাটতেই ফের ঘূর্ণিঝড় মোখা ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। তাই তো ঘূর্ণিঝড় মোখার ভয়ে উপকূলীয়বাসী আতঙ্কগ্রস্থ। আসুন আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হই এবং মহান আল্লাহর দরবারে সকাতর প্রার্থনা করি আর আশ্রয় কেন্দ্রে বা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করি।

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে যেতেন এবং নামাজে মশগুল হতেন। (মিশকাত)

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র সাহাবিদের জীবনে আমরা দেখি, বিপদে-মুসিবতে তারা নামাজে দাঁড়াতেন ও ধৈর্য ধারণ করতেন। (মিশকাতুল মাসাবিহ)

ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতকে বিচলিত না হয়ে দোয়ার শিক্ষা দিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় ও বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকতে পবিত্র কুরআনের বিশেষ দোয়া-

‘রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।’

অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।’ (সুরা দুখান : আয়াত ১২)

প্রবল ঘূর্ণিঝড়-বৃষ্টিতে যদি মানুষের জন জীবনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে কিংবা ফসলাদি নষ্ট হয় বা চলাচলের রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়, তবে সে অবস্থায় প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দোয়া পড়তেন-

‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের থেকে (ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি) ফিরিয়ে নাও, আমাদের ওপর দিয়ো না।’ (বুখারি)

জোরে বাতাশ প্রবাহিত হলে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দোয়া পড়তেন-

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা’

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর কল্যাণটাই কামনা করি। এবং আপনার নিকট এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)।

ঝড় বা বাতাশ থেকে বাঁচতে মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দোয়া পড়তেন-

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরা মা ফিহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।’

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করি এর কল্যাণ, এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে (বুখারি)।

আসুন, আমরা আমাদের পাপ সমূহের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাই আর অধিকহারে দোয়ায় রত হই।
আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে ঘূর্ণিঝড় সহ প্রাকৃতিক সব বিপদাপদ থেকে রক্ষা করুন, আমিন।

লেখক: ইসলামি গবেষক ও কলামিস্ট

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইতিহাসের এই দিনে: ১৯শে মে.২০২৪

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়: মহানবী (সা.) যেসব দোয়া বেশি পড়তেন

প্রকাশিত সময় :- ১২:৪০:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ‘মোখা’ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তিন বছর কাটতে না কাটতেই ফের ঘূর্ণিঝড় মোখা ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। তাই তো ঘূর্ণিঝড় মোখার ভয়ে উপকূলীয়বাসী আতঙ্কগ্রস্থ। আসুন আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হই এবং মহান আল্লাহর দরবারে সকাতর প্রার্থনা করি আর আশ্রয় কেন্দ্রে বা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করি।

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে যেতেন এবং নামাজে মশগুল হতেন। (মিশকাত)

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র সাহাবিদের জীবনে আমরা দেখি, বিপদে-মুসিবতে তারা নামাজে দাঁড়াতেন ও ধৈর্য ধারণ করতেন। (মিশকাতুল মাসাবিহ)

ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতকে বিচলিত না হয়ে দোয়ার শিক্ষা দিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় ও বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকতে পবিত্র কুরআনের বিশেষ দোয়া-

‘রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।’

অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।’ (সুরা দুখান : আয়াত ১২)

প্রবল ঘূর্ণিঝড়-বৃষ্টিতে যদি মানুষের জন জীবনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে কিংবা ফসলাদি নষ্ট হয় বা চলাচলের রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়, তবে সে অবস্থায় প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দোয়া পড়তেন-

‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের থেকে (ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি) ফিরিয়ে নাও, আমাদের ওপর দিয়ো না।’ (বুখারি)

জোরে বাতাশ প্রবাহিত হলে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দোয়া পড়তেন-

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা’

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর কল্যাণটাই কামনা করি। এবং আপনার নিকট এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)।

ঝড় বা বাতাশ থেকে বাঁচতে মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দোয়া পড়তেন-

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরা মা ফিহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।’

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করি এর কল্যাণ, এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে (বুখারি)।

আসুন, আমরা আমাদের পাপ সমূহের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাই আর অধিকহারে দোয়ায় রত হই।
আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে ঘূর্ণিঝড় সহ প্রাকৃতিক সব বিপদাপদ থেকে রক্ষা করুন, আমিন।

লেখক: ইসলামি গবেষক ও কলামিস্ট