দীর্ঘদিনের সংকটের মধ্যেই দেশে ডলারের বিনিময় হার কমাল ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে অনুষ্ঠিত হওয়া এক জরুরি বৈঠকে ডলারের দর কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার
জানা গেছে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানিকারকদের থেকে প্রতি ডলার ১১০ টাকায় কিনে আমদানিকারকদের কাছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করবে ব্যাংকগুলো। তবে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে সরকার ও ব্যাংকের প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত অব্যাহত থাকবে। রেমিট্যান্সে অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে ১১৫ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কেনা যাবে। নতুন এ দর আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর রেমিট্যান্স ও রপ্তানিকারকদের ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং আমদানিকারকদের ডলারের দর নির্ধারণ করা হয়েছিল ১১১ টাকা। আর আন্তঃব্যাংকে ডলারের সর্বোচ্চ দর নির্ধারণ করা হয় ১১৪ টাকা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাফেদার চেয়ারম্যান আফজাল করিম বলেন, বাফেদা ও এবিবির বৈঠকে ডলারের দর কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে যে দর বেঁধে দেওয়া ছিল, তার থেকে সব ক্ষেত্রেই ৫০ পয়সা করে কমানো হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে দেশের চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাব দুটিই নেতিবাচক ছিল। কিন্তু বর্তমানে চলতি হিসাব ৯০০ মিলিয়ন ডলারের মতো ইতিবাচক। গত বছর আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৩৩ বিলিয়নের ওপরে। সেটা এখন অনেক কমে এসেছে। বাজারে আমরা যেটা দেখছি, এটি সঠিক চিত্র নয়। আমাদের ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। এ জন্যই বাস্তবতার ভিত্তিতেই আমরা একটু কমিয়েছি।