ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে বৃষ্টির পানির অভাবে আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির কৃষকের মাথায় হাত

প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে প্রতিবছর চাষাবাদ করে থাকেন দিনাজপুরের কৃষকরা। তবে চলতি বছর পুরো বর্ষা মৌসুম পেরিয়ে গেলেও দেখা নেই বৃষ্টিপাতের। সদ্য রোপন করা আমনের চারাগুলোতে পানি সরবরাহ না করতে পারায় জমি ফেটে চৌচির।একদিকে বৃষ্টিপাত না থাকায় জলাশয়গুলোতেও দেখা দিয়েছে পানির অভাব। তবে জ্বালানি তেল চালিত শ্যালো মেশিন ব্যবহার করে পানি উত্তোলন করলেও খরচ গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরে এবার চলতি মৌসুমে জেলার ২ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে বর্ষা মৌসুমেও খরা হওয়ায় অধিকাংশ কৃষকই বৃষ্টিপাতের অপেক্ষায় থেকে ধানের চারা রোপন করতে পারেনি। অনেকে দেরি করে চারা রোপন করেছে।তারপরও বর্তমানে চলতি মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে ছাড়িয়ে গেছে। তবে দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা হলে চলতি মৌসুমে আমন চাষের পাশাপাশি ফলনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়য়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। দিনাজপুর সদর উপজেলার রামডুবি ইউনিয়নের কৃষক আফসার উদ্দিন জানান, প্রতি বছর আমন চাষের সময় বৃষ্টির পানিতে জমি তলিয়ে যায়। এ বছর বৃষ্টির আশায় বসে থেকে আমনের চারা রোপন করতে দেরি হয়ে গেছে। কোনোভাবে চারা রোপন করা হলেও পানির অভাবে দেখা দিয়েছে আরেক সংকট।প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তিনি সাত বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। চারা রোপনের পর জমিতে পানি সরবরাহ করতে গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা। এ ছাড়া তীব্র তাপের কারণে জমিতে বারবার সেচ দেওয়ার দরকার হচ্ছে। খরচ বহন করতে না পারায় অধিকাংশ কৃষক ঠিকমতো জমিতে পানি দিতে পারছে না। এতে ধানের ক্ষেত ফেঁটে চৌচির হয়ে পড়ছে। একদিকে বৃষ্টিপাতের দেখা নাই অপরদিকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও অচল।দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে জেলার ২ লাখ ৫৬ হাজার জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে ছাড়িয়ে গেছে। এবার আমন চাষে চরম বিপাকে কৃষকরা। বরাবরই আমন চাষে প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের পানি সহায়ক হিসেবে কৃষকের পাশে দাঁড়ায়। এবার পুরো বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও ভারি কোনো বৃষ্টিপাতের দেখা নেই। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দেরিতে আমন চারা রোপন করেছেন কৃষকরা। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে আসছে কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসলে চাষাবাদের পাশাপাশি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও ছড়িয়ে যাবে।
নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

দিনাজপুরে বৃষ্টির পানির অভাবে আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির কৃষকের মাথায় হাত

প্রকাশিত সময় :- ০৩:০৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে প্রতিবছর চাষাবাদ করে থাকেন দিনাজপুরের কৃষকরা। তবে চলতি বছর পুরো বর্ষা মৌসুম পেরিয়ে গেলেও দেখা নেই বৃষ্টিপাতের। সদ্য রোপন করা আমনের চারাগুলোতে পানি সরবরাহ না করতে পারায় জমি ফেটে চৌচির।একদিকে বৃষ্টিপাত না থাকায় জলাশয়গুলোতেও দেখা দিয়েছে পানির অভাব। তবে জ্বালানি তেল চালিত শ্যালো মেশিন ব্যবহার করে পানি উত্তোলন করলেও খরচ গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরে এবার চলতি মৌসুমে জেলার ২ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে বর্ষা মৌসুমেও খরা হওয়ায় অধিকাংশ কৃষকই বৃষ্টিপাতের অপেক্ষায় থেকে ধানের চারা রোপন করতে পারেনি। অনেকে দেরি করে চারা রোপন করেছে।তারপরও বর্তমানে চলতি মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে ছাড়িয়ে গেছে। তবে দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা হলে চলতি মৌসুমে আমন চাষের পাশাপাশি ফলনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়য়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। দিনাজপুর সদর উপজেলার রামডুবি ইউনিয়নের কৃষক আফসার উদ্দিন জানান, প্রতি বছর আমন চাষের সময় বৃষ্টির পানিতে জমি তলিয়ে যায়। এ বছর বৃষ্টির আশায় বসে থেকে আমনের চারা রোপন করতে দেরি হয়ে গেছে। কোনোভাবে চারা রোপন করা হলেও পানির অভাবে দেখা দিয়েছে আরেক সংকট।প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তিনি সাত বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। চারা রোপনের পর জমিতে পানি সরবরাহ করতে গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা। এ ছাড়া তীব্র তাপের কারণে জমিতে বারবার সেচ দেওয়ার দরকার হচ্ছে। খরচ বহন করতে না পারায় অধিকাংশ কৃষক ঠিকমতো জমিতে পানি দিতে পারছে না। এতে ধানের ক্ষেত ফেঁটে চৌচির হয়ে পড়ছে। একদিকে বৃষ্টিপাতের দেখা নাই অপরদিকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও অচল।দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে জেলার ২ লাখ ৫৬ হাজার জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে ছাড়িয়ে গেছে। এবার আমন চাষে চরম বিপাকে কৃষকরা। বরাবরই আমন চাষে প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের পানি সহায়ক হিসেবে কৃষকের পাশে দাঁড়ায়। এবার পুরো বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও ভারি কোনো বৃষ্টিপাতের দেখা নেই। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দেরিতে আমন চারা রোপন করেছেন কৃষকরা। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে আসছে কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসলে চাষাবাদের পাশাপাশি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও ছড়িয়ে যাবে।
নিউজবিজয়/এফএইচএন