ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিঘলিয়াবাসী দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটটি দৌলতপুর লঞ্চঘাটে স্থানান্তরের দাবিতে সোচ্চার

দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটের পশ্চিম পাড়, বাজারের ভেতরের চিপা গলি থেকে স্থানান্তর করে বন্ধ হয়ে যাওয়া সাবেক লঞ্চঘাটে স্থান্তরের দাবিতে সোচ্চার এলাকাবাসী। দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট পারাপারে বিড়ম্বনার প্রতিবাদে গতকাল খেয়াঘাটে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়। গণস্বাক্ষর কর্মসূচির প্রথমদিনে প্রায় ১ হাজার জন মানুষ প্রতিবাদ পত্রে স্বাক্ষর করেন।

গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খুলনার তৃতীয় বৃহত্তম ও ব্যস্ততম এ ঘাটটি সংস্কারের ও স্থানান্তরের দাবী বারবার জানালেও দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পায়নি এ জনপদের মানুষ। প্রতিদিন চার সহস্রাতিক মানুষ ঘাটটি দিয়ে পারাপার হয়। খুলনা জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাটটি থেকে ইজারার মাধ্যমে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়। এ ঘাটটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব এত বেশী হওয়ার পরও যাত্রী পারাপারের ক্ষেত্রে সুবিধা বরাবরই উপেক্ষিত। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, খেয়াঘাটের যাত্রী উঠা নামার জন্য দুই প্রান্তের সিঁড়ি নদীতে ডেবে যাওয়ায় বিশেষ করে দেয়াড়া অংশের সিঁড়ির শেষ প্রান্তে ফাটল ধরায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভাটার সময় দুর্ভোগ দ্বিগুণ আকার ধারণ করে। দৌলতপুর খেয়াঘাটের চিপা গলির অর্ধেকাংশ দখল করে আছে ইজারাদারদের টোল আদায়ের চেয়ার টেবিল। বাকি অংশ দিয়ে অসহায়, মারাত্নক অসুস্থ রোগী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, বিকলাঙ্গ, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু ও নারী-পুরুষ ধাক্কাধাক্কি করে বের হওয়ার পর দৌলতপুর বাজারের কাপড় পট্টির দীর্ঘ চিপা গলি অতিক্রম করে মূল সড়কে উঠতে হয়। বিশেষ করে যুব মহিলা ও স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীদের নানা সমস্যার সন্মুখিন হতে হয়। কাপড়ের পট্টির চিপা গলি দিয়ে যানবাহন বিশেষ করে রিক্সা, ভ্যান, অটো চলাচলের কোন সুযোগ না থাকায় উপরোল্লেখিত লোকজনদের নিয়ে চিপা গলির ভেতর দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে সড়কে পৌঁছাতে হয়। এছাড়া প্রবাসী, রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত যাত্রীদের সাথে থাকা ভারী ব্যাগ, লাগেজ বা বিভিন্ন ধরণের মালামাল নিয়ে কাপড় পট্টির সরু গলি দিয়ে খেয়াঘাটে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ঈদ ও পূজার সময় কাপড় পট্টির গলিতে ক্রেতাদের ভিড়ে খেয়াপারের যাত্রীদের করুন অবস্থার সৃষ্টি হয়। রাত ১১ টার পর পারাপারের গুরুত্বপূর্ণ এ খেয়া ঘাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়না। তাই এ দাবির সমর্থনে আজ রবিবার (১৬ জুলাই) সকাল ৯ টা থেকে দৌলতপুর খেয়াঘাটের পূর্ব প্রান্ত দিঘলিয়ার দেয়াড়া খেয়া ঘাটে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনের সূচনা করেছি। দৌলতপুর খেয়া ঘাটের পার্শ্ববর্তী বিআইডব্লিউটিএ’র নিয়ন্ত্রণাধীন একটি লঞ্চঘাট রয়েছে যেটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উক্ত লঞ্চঘাটে দৌলতপুর খেয়াঘাটটি স্থানান্তর করা হলে জনদুর্ভোগ থেকে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের রক্ষা মিলতো।

দিঘলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট দিয়ে ভৈরব নদী পার হতে গিয়ে দিঘলিয়ার আপামোর জনতার দুর্ভোগের অন্ত নেই। এ জনপদের মানুষ এ খেয়াঘাট পার হতে গিয়ে জীবন দিয়েছে, হাত-পা ভেঙ্গেছে, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও মালামাল নিয়ে নদীতে পড়েছে বহুবার। ঘাট সংশ্লিষ্টদের অব্যবস্থাপনা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে যুগ যুগ ধরে এ জনপদের হাজার হাজার সাধারণ মানুষের খেয়াঘাটটি দিয়ে পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে খেয়া ঘাটটি লঞ্চঘাটে স্হান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সর্বশেষ যে তথ্য দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

দিঘলিয়াবাসী দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটটি দৌলতপুর লঞ্চঘাটে স্থানান্তরের দাবিতে সোচ্চার

প্রকাশিত সময় :- ০৮:৪১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাটের পশ্চিম পাড়, বাজারের ভেতরের চিপা গলি থেকে স্থানান্তর করে বন্ধ হয়ে যাওয়া সাবেক লঞ্চঘাটে স্থান্তরের দাবিতে সোচ্চার এলাকাবাসী। দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট পারাপারে বিড়ম্বনার প্রতিবাদে গতকাল খেয়াঘাটে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়। গণস্বাক্ষর কর্মসূচির প্রথমদিনে প্রায় ১ হাজার জন মানুষ প্রতিবাদ পত্রে স্বাক্ষর করেন।

গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খুলনার তৃতীয় বৃহত্তম ও ব্যস্ততম এ ঘাটটি সংস্কারের ও স্থানান্তরের দাবী বারবার জানালেও দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পায়নি এ জনপদের মানুষ। প্রতিদিন চার সহস্রাতিক মানুষ ঘাটটি দিয়ে পারাপার হয়। খুলনা জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাটটি থেকে ইজারার মাধ্যমে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়। এ ঘাটটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব এত বেশী হওয়ার পরও যাত্রী পারাপারের ক্ষেত্রে সুবিধা বরাবরই উপেক্ষিত। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, খেয়াঘাটের যাত্রী উঠা নামার জন্য দুই প্রান্তের সিঁড়ি নদীতে ডেবে যাওয়ায় বিশেষ করে দেয়াড়া অংশের সিঁড়ির শেষ প্রান্তে ফাটল ধরায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভাটার সময় দুর্ভোগ দ্বিগুণ আকার ধারণ করে। দৌলতপুর খেয়াঘাটের চিপা গলির অর্ধেকাংশ দখল করে আছে ইজারাদারদের টোল আদায়ের চেয়ার টেবিল। বাকি অংশ দিয়ে অসহায়, মারাত্নক অসুস্থ রোগী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, বিকলাঙ্গ, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু ও নারী-পুরুষ ধাক্কাধাক্কি করে বের হওয়ার পর দৌলতপুর বাজারের কাপড় পট্টির দীর্ঘ চিপা গলি অতিক্রম করে মূল সড়কে উঠতে হয়। বিশেষ করে যুব মহিলা ও স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীদের নানা সমস্যার সন্মুখিন হতে হয়। কাপড়ের পট্টির চিপা গলি দিয়ে যানবাহন বিশেষ করে রিক্সা, ভ্যান, অটো চলাচলের কোন সুযোগ না থাকায় উপরোল্লেখিত লোকজনদের নিয়ে চিপা গলির ভেতর দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে সড়কে পৌঁছাতে হয়। এছাড়া প্রবাসী, রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত যাত্রীদের সাথে থাকা ভারী ব্যাগ, লাগেজ বা বিভিন্ন ধরণের মালামাল নিয়ে কাপড় পট্টির সরু গলি দিয়ে খেয়াঘাটে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ঈদ ও পূজার সময় কাপড় পট্টির গলিতে ক্রেতাদের ভিড়ে খেয়াপারের যাত্রীদের করুন অবস্থার সৃষ্টি হয়। রাত ১১ টার পর পারাপারের গুরুত্বপূর্ণ এ খেয়া ঘাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়না। তাই এ দাবির সমর্থনে আজ রবিবার (১৬ জুলাই) সকাল ৯ টা থেকে দৌলতপুর খেয়াঘাটের পূর্ব প্রান্ত দিঘলিয়ার দেয়াড়া খেয়া ঘাটে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনের সূচনা করেছি। দৌলতপুর খেয়া ঘাটের পার্শ্ববর্তী বিআইডব্লিউটিএ’র নিয়ন্ত্রণাধীন একটি লঞ্চঘাট রয়েছে যেটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উক্ত লঞ্চঘাটে দৌলতপুর খেয়াঘাটটি স্থানান্তর করা হলে জনদুর্ভোগ থেকে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের রক্ষা মিলতো।

দিঘলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট দিয়ে ভৈরব নদী পার হতে গিয়ে দিঘলিয়ার আপামোর জনতার দুর্ভোগের অন্ত নেই। এ জনপদের মানুষ এ খেয়াঘাট পার হতে গিয়ে জীবন দিয়েছে, হাত-পা ভেঙ্গেছে, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও মালামাল নিয়ে নদীতে পড়েছে বহুবার। ঘাট সংশ্লিষ্টদের অব্যবস্থাপনা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে যুগ যুগ ধরে এ জনপদের হাজার হাজার সাধারণ মানুষের খেয়াঘাটটি দিয়ে পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে খেয়া ঘাটটি লঞ্চঘাটে স্হান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন