ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন মাস পর সংক্রমণ ছাড়ালো সাড়ে তিনশ, শনাক্তের হার ৬ ছুঁই ছুঁই

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৮:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
  • ৩৩৪ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু না হলেও বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। সেই সাথে বেড়েছে শনাক্তের হারও। সংক্রমণ বৃদ্ধির এ ধারায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৫৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত একদিনে ৬ হাজার ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ৩৫৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। যা আগের দিন ছিল ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৯৯৪ জনের করোনা শনাক্ত হলো। মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৩১ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরাে ১১৪ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৬১৮ জন সেরে উঠলেন। সর্বশেষ ৮ মার্চ এর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল এক দিনে, সেদিন ৪৪৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা দুই সপ্তাহ ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারো বাড়ছে। এর আগে সর্বশেষ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৪৮। এরপর ক্রমাগত এ হার নিচের দিকে নামতে থাকে। কমতে থাকে শনাক্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারণ করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে রোগী শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহের বেশি ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বে ছড়াতে শুরু করে করোনার অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন। তখন দেশে রোগী শনাক্তের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে। এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে আবার নামতে শুরু করে করোনা রোগীর সংখ্যা। যদিও জানুয়ারির শেষ দিকে শনাক্তের হার কিছুটা কমে ৩০ শতাংশের নিচে নামে। ওমিক্রন আতঙ্ক কিছুটা কাটিয়ে দেশে কয়েক দিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে। এর আগে, ওমিক্রন আতঙ্কের শুরুর দিকে দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে শনাক্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছিল। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। তবে ধীরে ধীরে সেসব বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার। গত বছরের মাঝামাঝি করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।
নিউজ বিজয়/ মোঃ নজরুল ইসলাম

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

তিন মাস পর সংক্রমণ ছাড়ালো সাড়ে তিনশ, শনাক্তের হার ৬ ছুঁই ছুঁই

প্রকাশিত সময় :- ০৮:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু না হলেও বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। সেই সাথে বেড়েছে শনাক্তের হারও। সংক্রমণ বৃদ্ধির এ ধারায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৫৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত একদিনে ৬ হাজার ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ৩৫৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। যা আগের দিন ছিল ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৯৯৪ জনের করোনা শনাক্ত হলো। মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১৩১ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরাে ১১৪ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৬১৮ জন সেরে উঠলেন। সর্বশেষ ৮ মার্চ এর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল এক দিনে, সেদিন ৪৪৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা দুই সপ্তাহ ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারো বাড়ছে। এর আগে সর্বশেষ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৪৮। এরপর ক্রমাগত এ হার নিচের দিকে নামতে থাকে। কমতে থাকে শনাক্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারণ করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে রোগী শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহের বেশি ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বে ছড়াতে শুরু করে করোনার অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন। তখন দেশে রোগী শনাক্তের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে। এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে আবার নামতে শুরু করে করোনা রোগীর সংখ্যা। যদিও জানুয়ারির শেষ দিকে শনাক্তের হার কিছুটা কমে ৩০ শতাংশের নিচে নামে। ওমিক্রন আতঙ্ক কিছুটা কাটিয়ে দেশে কয়েক দিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে। এর আগে, ওমিক্রন আতঙ্কের শুরুর দিকে দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে শনাক্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছিল। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। তবে ধীরে ধীরে সেসব বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার। গত বছরের মাঝামাঝি করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।
নিউজ বিজয়/ মোঃ নজরুল ইসলাম