ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৫:১৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • ৩৪৩ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী । ফাইল ছবি

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি প্রয়াত এই বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ইউরোপ সফররত তথ্যমন্ত্রী তার শোকবার্তায় একাত্তরে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়ন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলে কম খরচে দরিদ্রদের চিকিৎসা সেবায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদানের কথা স্মরণ করেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন প্রকৃত বীর। তার সারাটা জীবনই বীরত্বগাঁথা। তার ছিল দেশের প্রতি অসীম ভালোবাসা। যৌবনে অসীম সাহসিকতায় গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে অংশ নেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে যুদ্ধাহত অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার জীবন বাঁচিয়েছেন তিনি। পরে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা দিতে ছুটে বেড়িয়েছেন দলবলসহ। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশ পরিচালনার সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর হাতেই জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণয়ন করেন। সেই কারণেই প্রায় ২০০ দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। এখন দেশের চাহিদার ৯৬ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদন হচ্ছে।

তিনি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে সত্যের পথে অবিচল ছিলেন। তিনি অসীম সাহসের সহিত সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতেন। তার মৃত্যুতে জাতি দেশ প্রেমিক এক অভিভাবক হারাল। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শূন্যতা কখনও পূরণ হবার নয়।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের সময়ের নায়ক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। জাফরুল্লাহ ভাই এ দেশের গণমানুষের সংগ্রামের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

এ ছাড়া ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে সবসময় তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তিনি মজলুমের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে হাজির হতেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

এদিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জানাজার নামাজ কোথায় এবং কখন হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তার পরিবার এবং শুভাকাঙ্খীরা জানিয়েছেন।

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নতুন শিক্ষাক্রমে ৪ শ্রেণির ৩১ বইয়ে ১৪৭ ভুল!

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া

প্রকাশিত সময় :- ০৫:১৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি প্রয়াত এই বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

ইউরোপ সফররত তথ্যমন্ত্রী তার শোকবার্তায় একাত্তরে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়ন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলে কম খরচে দরিদ্রদের চিকিৎসা সেবায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদানের কথা স্মরণ করেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন প্রকৃত বীর। তার সারাটা জীবনই বীরত্বগাঁথা। তার ছিল দেশের প্রতি অসীম ভালোবাসা। যৌবনে অসীম সাহসিকতায় গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে অংশ নেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে যুদ্ধাহত অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার জীবন বাঁচিয়েছেন তিনি। পরে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা দিতে ছুটে বেড়িয়েছেন দলবলসহ। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশ পরিচালনার সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর হাতেই জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণয়ন করেন। সেই কারণেই প্রায় ২০০ দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। এখন দেশের চাহিদার ৯৬ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদন হচ্ছে।

তিনি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে সত্যের পথে অবিচল ছিলেন। তিনি অসীম সাহসের সহিত সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতেন। তার মৃত্যুতে জাতি দেশ প্রেমিক এক অভিভাবক হারাল। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শূন্যতা কখনও পূরণ হবার নয়।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের সময়ের নায়ক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। জাফরুল্লাহ ভাই এ দেশের গণমানুষের সংগ্রামের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

এ ছাড়া ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে সবসময় তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তিনি মজলুমের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে হাজির হতেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

এদিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জানাজার নামাজ কোথায় এবং কখন হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তার পরিবার এবং শুভাকাঙ্খীরা জানিয়েছেন।