ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রেনে স্বস্তির ঈদযাত্রা

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১২:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
  • ৩২১ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

ঢাকা থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন রুটে যাত্রী নিয়ে ট্রেন ছেড়ে যায়। একইভাবে আবার যাত্রী নিয়ে কমলাপুর স্টেশনে ফিরে আসে। ঈদের সময় চাপ বাড়ে এই স্টেশনে। স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৫২টি ট্রেন ছেড়ে যায়। এরসঙ্গে ঈদের আগে-পরে ঈদ স্পেশাল ট্রেন যুক্ত হয় তিন জোড়া। এখন পর্যন্ত প্রায় সবগুলো ট্রেনই যথাসময়ে কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছাচ্ছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।

তবে ঢাকাফেরত কিংবা ঢাকা ছাড়তে চাওয়া যাত্রীদের মালামাল বহনের জন্য কমলাপুর রেল স্টেশনে কুলিরা ইচ্ছা মতো ভাড়া আদায় করছেন। মাত্র ১০০ গজ দূরত্বের ভাড়াও ২৫০ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, প্ল্যাটফর্ম থেকে মালামাল বাইরে নিয়ে আসতে বা ভেতরে নিতে অতিরিক্ত টাকা দাবি করছেন কুলিরা। দর-দামে না মিললে কুলিরা মালামাল নিচ্ছেন না। যদিও যাত্রীদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুলিরা।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, এদিন প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন জায়গায় কুলিরা ঘুরছেন ট্রলি নিয়ে। অনেকেই রয়েছেন স্টেশনের বাইরে। কোনো যাত্রী এলে কুলিরা এগিয়ে যাচ্ছেন। কথা বলে নিজেরাই ঠিক করছেন দাম। স্টেশনের বাইরে থেকে ভেতরে নিয়ে যেতে মালামালের ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ‘আপনার মালামাল ট্রেনে উঠিয়ে দেবো। কিন্তু ভাড়া আপনাকে নির্ধারিতটাই দিতে হবে।’

তবে কমলাপুর স্টেশনের বাইরে থেকে কোনো ভাসমান (কুলির পোশাকবিহীন) কাউকে দিয়ে মালামাল বহন করলে ১২০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। তারা মাথায় বহন করে স্টেশনের ভেতরে নিয়ে যাচ্ছেন যাত্রীদের মালামাল।

আনাস আহমেদ ও সোলাইমান যাবেন রংপুরে। দুই ভাই ঢাকায় ব্যবসা করেন। এবার ঈদের আগে গ্রামে যেতে পারেননি। মঙ্গলবার তারা ট্রেনে গ্রামে যাবেন পরিবার নিয়ে। কিন্তু কয়েকটি লাগেজ হওয়ায় দুজন কুলি তাদের কাছে ৬০০ টাকা দাবি করে বসেছে। দরদামের এক পর্যায়ে তারা ৪০০ টাকায় স্টেশনের ভেতরে নিয়ে যেতে রাজি হয়।

আনাস বলেন, আমি হাতিরপুল থেকে কমলাপুরে আসতে ৪০০ টাকা উবার ভাড়া লাগেনি। এখানে ১০০ গজ দূরত্বের রাস্তায় ৪০০ টাকা দিতে হবে।

যদিও কুলিরা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। দরদামের কোন ছবি তুলতে গেলেই তারা সরে যান।

সুমন নামে ভাসমান এক কুলি বলেন, আপনারা ঈদের সময় বাড়ি যাবেন, কয়েক টাকা বেশি দিলে কী এমন ক্ষতি হয়! আমরা সারা বছর বেশি ভাড়া নেয় না। ট্রলি আপনি নিজেই নিতে পারেন। এখানে কুলি লাগবে না। যদিও স্টেশন এলাকায় প্রতিটি ট্রলির পেছনে একজন করে কুলি রয়েছে।

তবে স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলে এর প্রতিকার মিলছে। এক্ষেত্রে কোনো কুলি বেশি ভাড়া নিলে তার শার্টের পেছনের নম্বরটিসহ যাত্রীর অভিযোগ-আপত্তি কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতে হবে।

অন্যদিকে প্রায় সবগুলো ট্রেনই যথাসময়ে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছে। একইভাবে সব ট্রেন ছেড়েও যাচ্ছে সময়েই।

তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রী সাইফ জানান, আমরা নরসিংদী যাবো। তিনটা টিকেট কেটেছি ৯০ টাকা দিয়ে। এরমধ্যে দুটি আসন পেয়েছি। কোনো বিলম্ব নেই। আশা করছি সহজেই যেতে পারবো নিজ গন্তব্যে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ঘুষ নিতে গিয়ে আটক পুলিশ কনস্টেবল, অতপর..

ট্রেনে স্বস্তির ঈদযাত্রা

প্রকাশিত সময় :- ১২:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

ঢাকা থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন রুটে যাত্রী নিয়ে ট্রেন ছেড়ে যায়। একইভাবে আবার যাত্রী নিয়ে কমলাপুর স্টেশনে ফিরে আসে। ঈদের সময় চাপ বাড়ে এই স্টেশনে। স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৫২টি ট্রেন ছেড়ে যায়। এরসঙ্গে ঈদের আগে-পরে ঈদ স্পেশাল ট্রেন যুক্ত হয় তিন জোড়া। এখন পর্যন্ত প্রায় সবগুলো ট্রেনই যথাসময়ে কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছাচ্ছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।

তবে ঢাকাফেরত কিংবা ঢাকা ছাড়তে চাওয়া যাত্রীদের মালামাল বহনের জন্য কমলাপুর রেল স্টেশনে কুলিরা ইচ্ছা মতো ভাড়া আদায় করছেন। মাত্র ১০০ গজ দূরত্বের ভাড়াও ২৫০ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, প্ল্যাটফর্ম থেকে মালামাল বাইরে নিয়ে আসতে বা ভেতরে নিতে অতিরিক্ত টাকা দাবি করছেন কুলিরা। দর-দামে না মিললে কুলিরা মালামাল নিচ্ছেন না। যদিও যাত্রীদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুলিরা।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, এদিন প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন জায়গায় কুলিরা ঘুরছেন ট্রলি নিয়ে। অনেকেই রয়েছেন স্টেশনের বাইরে। কোনো যাত্রী এলে কুলিরা এগিয়ে যাচ্ছেন। কথা বলে নিজেরাই ঠিক করছেন দাম। স্টেশনের বাইরে থেকে ভেতরে নিয়ে যেতে মালামালের ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ‘আপনার মালামাল ট্রেনে উঠিয়ে দেবো। কিন্তু ভাড়া আপনাকে নির্ধারিতটাই দিতে হবে।’

তবে কমলাপুর স্টেশনের বাইরে থেকে কোনো ভাসমান (কুলির পোশাকবিহীন) কাউকে দিয়ে মালামাল বহন করলে ১২০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। তারা মাথায় বহন করে স্টেশনের ভেতরে নিয়ে যাচ্ছেন যাত্রীদের মালামাল।

আনাস আহমেদ ও সোলাইমান যাবেন রংপুরে। দুই ভাই ঢাকায় ব্যবসা করেন। এবার ঈদের আগে গ্রামে যেতে পারেননি। মঙ্গলবার তারা ট্রেনে গ্রামে যাবেন পরিবার নিয়ে। কিন্তু কয়েকটি লাগেজ হওয়ায় দুজন কুলি তাদের কাছে ৬০০ টাকা দাবি করে বসেছে। দরদামের এক পর্যায়ে তারা ৪০০ টাকায় স্টেশনের ভেতরে নিয়ে যেতে রাজি হয়।

আনাস বলেন, আমি হাতিরপুল থেকে কমলাপুরে আসতে ৪০০ টাকা উবার ভাড়া লাগেনি। এখানে ১০০ গজ দূরত্বের রাস্তায় ৪০০ টাকা দিতে হবে।

যদিও কুলিরা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। দরদামের কোন ছবি তুলতে গেলেই তারা সরে যান।

সুমন নামে ভাসমান এক কুলি বলেন, আপনারা ঈদের সময় বাড়ি যাবেন, কয়েক টাকা বেশি দিলে কী এমন ক্ষতি হয়! আমরা সারা বছর বেশি ভাড়া নেয় না। ট্রলি আপনি নিজেই নিতে পারেন। এখানে কুলি লাগবে না। যদিও স্টেশন এলাকায় প্রতিটি ট্রলির পেছনে একজন করে কুলি রয়েছে।

তবে স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলে এর প্রতিকার মিলছে। এক্ষেত্রে কোনো কুলি বেশি ভাড়া নিলে তার শার্টের পেছনের নম্বরটিসহ যাত্রীর অভিযোগ-আপত্তি কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতে হবে।

অন্যদিকে প্রায় সবগুলো ট্রেনই যথাসময়ে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছে। একইভাবে সব ট্রেন ছেড়েও যাচ্ছে সময়েই।

তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রী সাইফ জানান, আমরা নরসিংদী যাবো। তিনটা টিকেট কেটেছি ৯০ টাকা দিয়ে। এরমধ্যে দুটি আসন পেয়েছি। কোনো বিলম্ব নেই। আশা করছি সহজেই যেতে পারবো নিজ গন্তব্যে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন