প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনে চড়ে কক্সবাজারের রামুর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে লাল-সবুজের ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার থেকে রামুর উদ্দেশে রওনা হন সরকারপ্রধান।
উদ্বোধনী ট্রেনটিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রেলমন্ত্রী নুরুল হক সুজন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ অনেকে রামু যাচ্ছেন।
অগ্রাধিকারের এই প্রকল্প উদ্বোধন করতে এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে বিশেষ বিমানে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
সেখান থেকে সড়কপথে যান আইকনিক রেলস্টেশনে। সেখানে চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইন এবং কক্সবাজারে আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির, রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল হাসান, দোহাজারী কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণকাজের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন।
রেলপথ উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে বক্তব্য ট্রেনে করে রামুর উদ্দেশে রওনা হয় প্রথম ট্রেন। লাল-সবুজ সেই ট্রেনে চড়েই রামু যাচ্ছেন সরকারপ্রধান।
১০২ কিলোমিটারের এই রেলপথের ছোঁয়ায় সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, আনোয়ারাসহ আশপাশের অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কারণ এ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনসহ মোট ৯টি স্টেশনের মাধ্যমে রেলপথে সংযুক্ত হবে এলাকাগুলো।
২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায় দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়ানো হয়। এতে ব্যয় বেড়ে হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পে ঋণসহায়তা দেয় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।