ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলায় ক্রীড়াজগতে পরিচিত একটি নাম আনিছুর রহমান লাডলা

লালমনিরহাট জেলার বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে যার নামটি সর্বাগ্রে উচ্চারিত হয় তিনি হচ্ছেন আনিছুর রহমান লাডলা।বর্ণাঢ্য খেলোয়াড়ী জীবন শেষে তিনি ক্রীড়াক্ষেত্রে জেলা,উপজেলা পর্যায়ে সুনামের সহিত কাজ করে যাচ্ছেন।
আনিছুর রহমান লাডলার জন্ম জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডারের গেগড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আলহাজ্ব নজরুল হক ও মায়ের নাম আনিছা বেগম।বাবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই তার খেলার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল।যার ফলে প্রাইমারী স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন বয়সভিত্তিক কিশোর ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করেন এবং জেলার বিভিন্ন জায়গায় খ্যাপ (ভাড়ায়) খেলতে যেতেন। সে সময় তিনি ফুটবলের পাশাপাশি এ্যাথলেটিক্্েরও বহু পুরস্কার পেয়েছেন।হাই স্কুলে এসে ভাল ফুটবল খেললেও উচ্চতায় ছোট হওয়ার কারনে ইন্টারস্কুল টিমে জায়গা করে নিতে পারেননি।পরবর্তীতে দশম শ্রেনীতে থাকা অবস্থায় আন্তঃইউনিয়ন(অনুর্দ্ধ-১৬)ফুটবল টুর্নামেন্টে চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ দলে খেলোয়াড় কম থাকায় বন্ধু মাহফুজ জোর করে তাকে মাঠে নামিয়ে দেয়।ওইদিন তিনটি গোল করে তিনি সবাইকে চমক লাগিয়ে দেন।এরপর থেকে তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।কলেজ পর্যায়ে এসে তিনি আন্তঃ কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট,উপজেলা টিম ও জেলা টিমে স্টাইকার হিসেবে পাকাপোক্তভাবে জায়গা করে নেন। ওই সময়ই ১০০ ও ২০০মিটার ¯িপ্রন্টে জেলার দ্রুততম মানব হয়ে তিনি বিভাগীয় পর্যায়ে খেলেন এবং পুরস্কার অর্জন করেন।জাতীয় সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় লালমনিরহাট জেলার হয়ে তিনি বেশ কয়েকবার খেলেছেন।কলেজ পর্যায়ে লেখাপড়া শেষ করে তিনি পরবর্তীতে খেলোয়াড় কোটায় পরীক্ষা দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অবস্থায় তিনি আন্তঃহল ,আন্ত্ঃ বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে দলের অধিনায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় দলের একজন নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন।বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল ছাড়াও ওয়াটার পোলো,ভলিবল,বাস্কেটবল ও টেবিল টেনিস খেলায় যথেষ্ট কৃতিত্ব অর্জন করেন।এ সময় আশেপাশের জেলাগুলোতে তিনি প্রথম বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেন।রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলা ছাড়াও তিনি খুলনা,নারায়নগঞ্জ,নড়াইল ফুটবল লীগে খেলেছেন।রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ লীগে তিনি সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন।মাষ্টার্স শেষ করে তিনি রাজশাহী সরকারী শারীরিক শিক্ষা কলেজে বিপিএড কোর্সে ভর্তি হন।সেখানেও তিনি ফুটবল ও বাস্কেটবল খেলোয়াড় হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।সারাজীবন খেলার সাথে সম্পৃক্ত থাকার উদ্দ্যেশে ১৯৯৭ সালে বিপিএড ডিগ্রী ও ২০১৭ সালে মাষ্টারস অব ফিজিক্যাল এডুকেশন(এমপিএড)এ প্রথম শ্রেনীতে উত্তীর্ন হন এবং ১৯৯৭ সালে কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট শামছুদ্দিন-কমরউদ্দিন কলেজে শরীরচর্চা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।২০০০ইং সালে রংপুর ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেনামৈত্রী গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে লালমনিরহাট জেলা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন এবং টুর্নামেন্টে খেলে জেলা দলের হয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহন করেন। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে তিনি কোচ,সংগঠক ও রেফারী হিসেবে খেলার সংগে যুক্ত থাকেন।বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রথম শ্রেনীর ফুটবল রেফারী এবং ম্যাচ কমিশনার।তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বিভিন্ন জাতীয় পযায়ের ফুটবল খেলায় ম্যাচ কমিশনারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।তিনি একজন ফুটবল কোচ। এছাড়াও ভলিবল,কাবাডি রেফারী এবং হ্যান্ডবল রেফারী ও কোচ তিনি। আনিছুর রহমান লাডলা বাংলাদেশ ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশনের রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।বর্তমানে তিনি লালমনিরহাট জেলা ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক,কালীগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক,জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কার্যকরী পরিষদের সদস্য,বৃন্ত স্পোর্টস একাডেমী কালীগঞ্জ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, লালমনিরহাট জেলা টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি,লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব, তুষভান্ডার শাপলা শালুক সংগঠনের সহ-সভাপতি,তুষভান্ডার বিদ্যা নিকেতনের পরিচালনা কমিটির পরিচালক,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কালীগঞ্জ শাখার সভাপতি,উন্নয়ন ধারার জেলা সভাপতি,ভোরের আলো কল্যান সংস্থার পরিচালক,সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) এর আজীবন সদস্য ও লালমনিরহাট জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি রংপুর সোনালী অতীত ক্লাব ও লালমনিরহাট জেলা সোনালী অতীত ক্লাবের সদস্য। তার নেতৃত্বে ২০০৩ সালে লালমনিরহাট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ডিসি গোল্ডকাপ(অনুর্দ্ধ-১৪)ফুটবল প্রতিযোগিতায় কালীগঞ্জ উপজেলা কিশোর ফুটবল দল রানার্স আপ ও ২০০৫ সালে একই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।চাপারহাট শামছুদ্দিন-কমরউদ্দিন কলেজকেও তিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।২০০৩ইং সালে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত আন্তঃকলেজ ভলিবল প্রতিযোগিতায় লালমনিরহাট জেলার একমাত্র শামছুদ্দিন-কমরউদ্দিন কলেজই অংশগ্রহন করে।২০০৫সালে উপজেলার তুষভান্ডার মাঠে স্বাধীনতা কাপ ভলিবল প্রতিযোগিতায় তার কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়।এ ছাড়া শামছুদ্দিন-কমরউদ্দিন কলেজে তার উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।২০০১ সালে লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সোনালী অতীত ক্লাব ঢাকা ও লালমনিরহাটের মধ্যে ফুটবল খেলায় তিনি খেলেন।২০০৮ সালে তিনি রংপুর সোনালী অতীত ক্লাবের হয়ে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ফুটবল টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।২০১০সালে লালমনিরহাট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড (প্রবাসী)ফুটবল দল এবং লালমনিরহাট দলের মধ্যে ফুটবল খেলায় তিনি খেলেন।২০১১ সালে রংপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ভারতের জলপাইগুড়ি ভেটারেন্স ক্লাব ও রংপুর সোনালী অতীত ক্লাবের মধ্যে ফুটবল খেলায় তিনি রংপুর দলের হয়ে খেলেন।২০১১ সালে জাতীয় স্কুল-মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল খেলায় তার তত্বাবধানে (কোচিং)লালমনিরহাট সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মেয়েরা প্রথমবার জাতীয় পর্যায়ে ৩য় স্থান অর্জন করে।পরের বছরও দলটি আ লিক পর্যায়ে খেলে।২০১৩ সালের মে মাসে ভারতের সিতাই মাঠে অনুষ্ঠিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহীনি (বিএসএফ) এর মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলায় বিজিবি রংপুর সেক্টর দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।সেই খেলায় বিজিবি ১-০ গোলে বিএসএফকে হারায়।২০১৫ সালে ভারতের ভোটারেন্স ক্লাব বাংলাদেশ সফরে আসে।ভারতের সেই দলের সংগে তুষভান্ডার মাঠে স্থানীয় দলের সংগে এক প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করেন এবং তিনি নিজেও ১০ নম্বর জার্সি পড়ে খেলেন।আনিছুর রহমান লাডলা-র অবসর তেমন নেই। খেলাধুলা ও চাকুরীর পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা ও বিভিন্ন সামাজিক কাজে সব সময় ব্যস্ত থাকেন।তিনি জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেল যমুনা টেলিভিশনের লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক খোলাকাগজ পত্রিকায় স্টাফ রির্পোটার হিসেবে কর্মরত।এর আগে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম নিউজ পোর্টালে ১৭ বছর ও দৈনিক আজকের পত্রিকায় ২বছর লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অবসর সময়ে তিনি একমাত্র ছেলে নুরান আহনাফ বৃন্ত ও পরিবারের সাথেই আড্ডা দেন।তার স্ত্রী সরমিন আরা হক বীথি- লালমনিরহাট সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক।শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি কবি ও সাহিত্যিক এবং বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের লালমনিরহাট জেলা কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নুরান আহনাফ বৃন্ত লালমনিরহাট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপির

জেলায় ক্রীড়াজগতে পরিচিত একটি নাম আনিছুর রহমান লাডলা

প্রকাশিত সময় :- ১০:২০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

লালমনিরহাট জেলার বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে যার নামটি সর্বাগ্রে উচ্চারিত হয় তিনি হচ্ছেন আনিছুর রহমান লাডলা।বর্ণাঢ্য খেলোয়াড়ী জীবন শেষে তিনি ক্রীড়াক্ষেত্রে জেলা,উপজেলা পর্যায়ে সুনামের সহিত কাজ করে যাচ্ছেন।
আনিছুর রহমান লাডলার জন্ম জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডারের গেগড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আলহাজ্ব নজরুল হক ও মায়ের নাম আনিছা বেগম।বাবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই তার খেলার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল।যার ফলে প্রাইমারী স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন বয়সভিত্তিক কিশোর ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করেন এবং জেলার বিভিন্ন জায়গায় খ্যাপ (ভাড়ায়) খেলতে যেতেন। সে সময় তিনি ফুটবলের পাশাপাশি এ্যাথলেটিক্্েরও বহু পুরস্কার পেয়েছেন।হাই স্কুলে এসে ভাল ফুটবল খেললেও উচ্চতায় ছোট হওয়ার কারনে ইন্টারস্কুল টিমে জায়গা করে নিতে পারেননি।পরবর্তীতে দশম শ্রেনীতে থাকা অবস্থায় আন্তঃইউনিয়ন(অনুর্দ্ধ-১৬)ফুটবল টুর্নামেন্টে চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ দলে খেলোয়াড় কম থাকায় বন্ধু মাহফুজ জোর করে তাকে মাঠে নামিয়ে দেয়।ওইদিন তিনটি গোল করে তিনি সবাইকে চমক লাগিয়ে দেন।এরপর থেকে তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।কলেজ পর্যায়ে এসে তিনি আন্তঃ কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট,উপজেলা টিম ও জেলা টিমে স্টাইকার হিসেবে পাকাপোক্তভাবে জায়গা করে নেন। ওই সময়ই ১০০ ও ২০০মিটার ¯িপ্রন্টে জেলার দ্রুততম মানব হয়ে তিনি বিভাগীয় পর্যায়ে খেলেন এবং পুরস্কার অর্জন করেন।জাতীয় সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় লালমনিরহাট জেলার হয়ে তিনি বেশ কয়েকবার খেলেছেন।কলেজ পর্যায়ে লেখাপড়া শেষ করে তিনি পরবর্তীতে খেলোয়াড় কোটায় পরীক্ষা দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অবস্থায় তিনি আন্তঃহল ,আন্ত্ঃ বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে দলের অধিনায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় দলের একজন নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন।বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল ছাড়াও ওয়াটার পোলো,ভলিবল,বাস্কেটবল ও টেবিল টেনিস খেলায় যথেষ্ট কৃতিত্ব অর্জন করেন।এ সময় আশেপাশের জেলাগুলোতে তিনি প্রথম বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেন।রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলা ছাড়াও তিনি খুলনা,নারায়নগঞ্জ,নড়াইল ফুটবল লীগে খেলেছেন।রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ লীগে তিনি সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন।মাষ্টার্স শেষ করে তিনি রাজশাহী সরকারী শারীরিক শিক্ষা কলেজে বিপিএড কোর্সে ভর্তি হন।সেখানেও তিনি ফুটবল ও বাস্কেটবল খেলোয়াড় হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।সারাজীবন খেলার সাথে সম্পৃক্ত থাকার উদ্দ্যেশে ১৯৯৭ সালে বিপিএড ডিগ্রী ও ২০১৭ সালে মাষ্টারস অব ফিজিক্যাল এডুকেশন(এমপিএড)এ প্রথম শ্রেনীতে উত্তীর্ন হন এবং ১৯৯৭ সালে কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট শামছুদ্দিন-কমরউদ্দিন কলেজে শরীরচর্চা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।২০০০ইং সালে রংপুর ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেনামৈত্রী গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে লালমনিরহাট জেলা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন এবং টুর্নামেন্টে খেলে জেলা দলের হয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহন করেন। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে তিনি কোচ,সংগঠক ও রেফারী হিসেবে খেলার সংগে যুক্ত থাকেন।বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রথম শ্রেনীর ফুটবল রেফারী এবং ম্যাচ কমিশনার।তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বিভিন্ন জাতীয় পযায়ের ফুটবল খেলায় ম্যাচ কমিশনারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।তিনি একজন ফুটবল কোচ। এছাড়াও ভলিবল,কাবাডি রেফারী এবং হ্যান্ডবল রেফারী ও কোচ তিনি। আনিছুর রহমান লাডলা বাংলাদেশ ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশনের রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।বর্তমানে তিনি লালমনিরহাট জেলা ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক,কালীগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক,জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কার্যকরী পরিষদের সদস্য,বৃন্ত স্পোর্টস একাডেমী কালীগঞ্জ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, লালমনিরহাট জেলা টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি,লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব, তুষভান্ডার শাপলা শালুক সংগঠনের সহ-সভাপতি,তুষভান্ডার বিদ্যা নিকেতনের পরিচালনা কমিটির পরিচালক,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কালীগঞ্জ শাখার সভাপতি,উন্নয়ন ধারার জেলা সভাপতি,ভোরের আলো কল্যান সংস্থার পরিচালক,সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) এর আজীবন সদস্য ও লালমনিরহাট জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি রংপুর সোনালী অতীত ক্লাব ও লালমনিরহাট জেলা সোনালী অতীত ক্লাবের সদস্য। তার নেতৃত্বে ২০০৩ সালে লালমনিরহাট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ডিসি গোল্ডকাপ(অনুর্দ্ধ-১৪)ফুটবল প্রতিযোগিতায় কালীগঞ্জ উপজেলা কিশোর ফুটবল দল রানার্স আপ ও ২০০৫ সালে একই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।চাপারহাট শামছুদ্দিন-কমরউদ্দিন কলেজকেও তিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।২০০৩ইং সালে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত আন্তঃকলেজ ভলিবল প্রতিযোগিতায় লালমনিরহাট জেলার একমাত্র শামছুদ্দিন-কমরউদ্দিন কলেজই অংশগ্রহন করে।২০০৫সালে উপজেলার তুষভান্ডার মাঠে স্বাধীনতা কাপ ভলিবল প্রতিযোগিতায় তার কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়।এ ছাড়া শামছুদ্দিন-কমরউদ্দিন কলেজে তার উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।২০০১ সালে লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সোনালী অতীত ক্লাব ঢাকা ও লালমনিরহাটের মধ্যে ফুটবল খেলায় তিনি খেলেন।২০০৮ সালে তিনি রংপুর সোনালী অতীত ক্লাবের হয়ে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ফুটবল টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।২০১০সালে লালমনিরহাট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড (প্রবাসী)ফুটবল দল এবং লালমনিরহাট দলের মধ্যে ফুটবল খেলায় তিনি খেলেন।২০১১ সালে রংপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ভারতের জলপাইগুড়ি ভেটারেন্স ক্লাব ও রংপুর সোনালী অতীত ক্লাবের মধ্যে ফুটবল খেলায় তিনি রংপুর দলের হয়ে খেলেন।২০১১ সালে জাতীয় স্কুল-মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল খেলায় তার তত্বাবধানে (কোচিং)লালমনিরহাট সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মেয়েরা প্রথমবার জাতীয় পর্যায়ে ৩য় স্থান অর্জন করে।পরের বছরও দলটি আ লিক পর্যায়ে খেলে।২০১৩ সালের মে মাসে ভারতের সিতাই মাঠে অনুষ্ঠিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহীনি (বিএসএফ) এর মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলায় বিজিবি রংপুর সেক্টর দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।সেই খেলায় বিজিবি ১-০ গোলে বিএসএফকে হারায়।২০১৫ সালে ভারতের ভোটারেন্স ক্লাব বাংলাদেশ সফরে আসে।ভারতের সেই দলের সংগে তুষভান্ডার মাঠে স্থানীয় দলের সংগে এক প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করেন এবং তিনি নিজেও ১০ নম্বর জার্সি পড়ে খেলেন।আনিছুর রহমান লাডলা-র অবসর তেমন নেই। খেলাধুলা ও চাকুরীর পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা ও বিভিন্ন সামাজিক কাজে সব সময় ব্যস্ত থাকেন।তিনি জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেল যমুনা টেলিভিশনের লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক খোলাকাগজ পত্রিকায় স্টাফ রির্পোটার হিসেবে কর্মরত।এর আগে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম নিউজ পোর্টালে ১৭ বছর ও দৈনিক আজকের পত্রিকায় ২বছর লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অবসর সময়ে তিনি একমাত্র ছেলে নুরান আহনাফ বৃন্ত ও পরিবারের সাথেই আড্ডা দেন।তার স্ত্রী সরমিন আরা হক বীথি- লালমনিরহাট সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক।শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি কবি ও সাহিত্যিক এবং বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের লালমনিরহাট জেলা কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নুরান আহনাফ বৃন্ত লালমনিরহাট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন