ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুমার দিন নবিজির (সা.) জন্য দোয়া

  • ইসলাম ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময় :- ১২:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
  • ১৯৬ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

রাসুলের (সা.) জন্য দোয়া করা, দরুদ পড়া সব সময়ই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। আল্লাহ কোরআনে নবিজির জন্য সালাত ও সালাম পাঠের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,

اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِکَتَهٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی النَّبِیِّ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡهِ وَ سَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا

নিশ্চয় আল্লাহ নবির প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবির জন্য দোয়া করে। হে মুমিনগণ, তোমরাও নবির ওপর দরুদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। (সুরা আহজাব: ৫৬)

অনেকগুলো হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) তার জন্য বেশি বেশি দরুদ পড়তে উৎসাহ দিয়েছেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার জন্য একবার দরুদ পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। (সহিহ মুসলিম) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বার্ণিত আরেকটি হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুলের জন্য দরুদ পাঠকারী কেয়ামতের দিন তার কাছে থাকবে। রাসুল (সা.) বলেন, কেয়ামতের দিন লোকদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার অধিক নিকটতম হবে, যে ব্যক্তি আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে। (সুনানে তিরমিজি)

জুমার দিন যেহেতু দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম, তাই এ দিন বিশেষভাবে আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দা ও রাসুল মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জন্য দরুদ পড়া উচিত। হাদিসে জুমার দিন বিশেষভাবে দরুদ পড়ার করার নির্দেশ এসেছে। আওস ইবনে আওস (রা.) থেকে বর্ণিত নবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো জুমার দিন। এ দিন আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছিল, এ দিনই তার ওফাত হয়। এ দিনই দ্বিতীয় বার শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে এবং এ দিনই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। তাই তোমরা আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পড়। তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হবে। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! কিভাবে আমাদের দরুদ আপনার কাছে পেশ করা হবে। আপনি তো (এক সময়) মৃত্যু বরণ করবেন, আপনার শরীর মাটির সাথে মিশে যাবে। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা জমিনের জন্য নবিগণের শরীর গ্রাস করা হারাম করে দিয়েছেন। (সুনানে নাসাঈ: ১৩৭৭)
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

জুমার দিন নবিজির (সা.) জন্য দোয়া

প্রকাশিত সময় :- ১২:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

রাসুলের (সা.) জন্য দোয়া করা, দরুদ পড়া সব সময়ই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। আল্লাহ কোরআনে নবিজির জন্য সালাত ও সালাম পাঠের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,

اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِکَتَهٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی النَّبِیِّ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡهِ وَ سَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا

নিশ্চয় আল্লাহ নবির প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবির জন্য দোয়া করে। হে মুমিনগণ, তোমরাও নবির ওপর দরুদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। (সুরা আহজাব: ৫৬)

অনেকগুলো হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) তার জন্য বেশি বেশি দরুদ পড়তে উৎসাহ দিয়েছেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার জন্য একবার দরুদ পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। (সহিহ মুসলিম) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বার্ণিত আরেকটি হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুলের জন্য দরুদ পাঠকারী কেয়ামতের দিন তার কাছে থাকবে। রাসুল (সা.) বলেন, কেয়ামতের দিন লোকদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার অধিক নিকটতম হবে, যে ব্যক্তি আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে। (সুনানে তিরমিজি)

জুমার দিন যেহেতু দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম, তাই এ দিন বিশেষভাবে আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দা ও রাসুল মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জন্য দরুদ পড়া উচিত। হাদিসে জুমার দিন বিশেষভাবে দরুদ পড়ার করার নির্দেশ এসেছে। আওস ইবনে আওস (রা.) থেকে বর্ণিত নবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো জুমার দিন। এ দিন আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছিল, এ দিনই তার ওফাত হয়। এ দিনই দ্বিতীয় বার শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে এবং এ দিনই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। তাই তোমরা আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পড়। তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হবে। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! কিভাবে আমাদের দরুদ আপনার কাছে পেশ করা হবে। আপনি তো (এক সময়) মৃত্যু বরণ করবেন, আপনার শরীর মাটির সাথে মিশে যাবে। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা জমিনের জন্য নবিগণের শরীর গ্রাস করা হারাম করে দিয়েছেন। (সুনানে নাসাঈ: ১৩৭৭)
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন