জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মাটিতে বিশ্বাসঘাতকতার বলি হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, জিয়ার প্ররোচনায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। জেলখানায়ও জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। যে জিয়া-মোশতাক ১৫ই আগস্ট এর মাস্টারমাইন্ড তারাই ৩রা নভেম্বরের জেল হত্যাকাণ্ডেরও মাস্টারমাইন্ড।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশে (আইইবি) আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৫ই আগস্ট ব্যর্থ হয়ে একুশে আগস্ট সরাসরি তারেক রহমানের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ই আগস্ট একটি পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার অর্থই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।
তিনি বলেন, একুশে আগস্ট এর আলামত নষ্ট করা হয়েছিল কেন এ উত্তর আজও বিএনপি দিতে পারেনি। এমনকি বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে বিদেশ পালিয়ে যেতে সহায়তা করে অধিদপ্তরে চাকরির সুযোগ কেন করে দিয়েছিল- বিএনপি আজও সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি।
যে নেতা মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে যায়, তাকে কেন আওয়ামী লীগ ভয় পাবে? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে কিভাবে আন্দোলন করাবে। বিএনপি’র আন্দোলন দফা কিংবা কোন কর্মসূচির ঠিক নেই।
কাদের বলেন, যে আন্দোলন সম্পৃক্ততা নেই পৃথিবীতে এমন আন্দোলন কখনোই সফল হয়নি। জনগণ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও গণ আন্দোলন সফল হয়নি এদেশেও হবে না।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক আলোচনা দেশেও হচ্ছে আবার বিদেশে গিয়েও করছে। বিএনপি নেতারা দল বেধে সিঙ্গাপুর গেছে, জাতীয় পার্টিরও একজন রয়েছে।
বিএনপিকে মানুষ পোড়ানো কিংবা সন্ত্রাসের মতো অপরাজনীতি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কানাডার আদালত ইতিমধ্যে বিএনপির ৫ নেতাকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে রায় দিয়েছে। বিএনপি আবারো ক্ষমতায় আসলে এদেশে রক্তের বন্যা বয়ে দিবে। কোন ভালো মানুষকে তারা রাখবে না। মুক্তিযুদ্ধাদের অস্তিত্বকে তারা নিশ্চিহ্ন করে দেবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বড় ঠিকানা এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তারা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাবে নিশ্চিত।
বেশি বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেয়া হবে না এমন হুশিয়ারি দিয়ে কাদের বলেন, অর্জন থেকে পরাজয়। কোথা থেকে আমরা কোথায় এসেছি তার ইতিহাস জানা জরুরি। ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত। গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং এদেশের অস্তিত্বকে বাঁচানোই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।