ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাপানে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৫:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
  • ৪২৫ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সরকারি সফরে মঙ্গলবার বিকালে টোকিওতে পৌঁছালে লাল গালিচায় স্বাগত জানানো হয়।

স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইয়ামাদা কেনজি। বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনাকে আকাসাকা প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজপ্রাসাদে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে রাস্তার দুই পাশে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশ-বাংলাদেশ ও জাপানের পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) টোকিওর উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে দুই সপ্তাহের ত্রিদেশীয় সরকারি সফরের প্রথম ধাপে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত টোকিওতে অবস্থান করবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, তার সফরের সময় বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ক্রয় ছাড়াই প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ আটটি সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) বা চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২৬ এপ্রিল বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর দুই প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা ও কিশিদা ফুমিও) মধ্যে বৈঠকে এমওসি বা চুক্তি সই হবে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে কৃষি, মেট্রো-রেল, শিল্প আপগ্রেডেশন, জাহাজ পুনর্ব্যবহার, শুল্ক বিষয়ক, মেধা সম্পত্তি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা ইত্যাদি খাতে দুই দেশের মধ্যে দুই নেতার উপস্থিতিতে প্রায় আটটি এমওসি বা চুক্তি সই হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নৈশভোজের মাধ্যমে বৈঠকের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ষষ্ঠ জাপান সফর। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে জাপান সফর করেন।

সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি সম্প্রদায়ভিত্তিক সংবর্ধনায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি কয়েকজন জাপানি নাগরিকের হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ তুলে দেবেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও পরে যুক্তরাজ্য সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী আগামী ৯ মে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সর্বশেষ যে তথ্য দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

জাপানে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

প্রকাশিত সময় :- ০৫:৩৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩

জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সরকারি সফরে মঙ্গলবার বিকালে টোকিওতে পৌঁছালে লাল গালিচায় স্বাগত জানানো হয়।

স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইয়ামাদা কেনজি। বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনাকে আকাসাকা প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজপ্রাসাদে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে রাস্তার দুই পাশে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশ-বাংলাদেশ ও জাপানের পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) টোকিওর উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে দুই সপ্তাহের ত্রিদেশীয় সরকারি সফরের প্রথম ধাপে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত টোকিওতে অবস্থান করবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, তার সফরের সময় বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ক্রয় ছাড়াই প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ আটটি সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) বা চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২৬ এপ্রিল বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর দুই প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা ও কিশিদা ফুমিও) মধ্যে বৈঠকে এমওসি বা চুক্তি সই হবে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে কৃষি, মেট্রো-রেল, শিল্প আপগ্রেডেশন, জাহাজ পুনর্ব্যবহার, শুল্ক বিষয়ক, মেধা সম্পত্তি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা ইত্যাদি খাতে দুই দেশের মধ্যে দুই নেতার উপস্থিতিতে প্রায় আটটি এমওসি বা চুক্তি সই হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নৈশভোজের মাধ্যমে বৈঠকের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ষষ্ঠ জাপান সফর। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে জাপান সফর করেন।

সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি সম্প্রদায়ভিত্তিক সংবর্ধনায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি কয়েকজন জাপানি নাগরিকের হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ তুলে দেবেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও পরে যুক্তরাজ্য সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী আগামী ৯ মে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন