ঢাকা ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৯:০০:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৩৪৮ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

জাতীয় সংসদের উপনেতা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ফরিদপুর–২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই। রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

রবিবার রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন।

সাজেদা চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ফরিদপুর–২ আসন থেকে তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন সাজেদা চৌধুরী। গত সপ্তাহে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী ২০১৫ সালের নভেম্বরে মারা যান।

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৩৫ সালে। পঞ্চাশের দশকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর সংকটময় মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাজেদা চৌধুরী বন ও পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর নবম জাতীয় সংসদে সাজেদা চৌধুরীকে প্রথমবার উপনেতা করা হয়। এরপর দশম সংসদেও তিনি উপনেতার দায়িত্ব পান।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার সংসদে জানাজা শেষে তাকে নিজ বাড়ি নগরকান্দায় নেওয়া হবে। পরে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। রাতে মরদেহ সিএমএইচে থাকবে।

সোমবার সকাল ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মরহুম সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সাজেদা চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।

তিনি জানান, জানাজার পর বাদ জোহর তার নির্বাচনী এলাকা নগরকান্দায় হবে দ্বিতীয় জানাজা। বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে সাজেদা চৌধুরীকে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিছুদিন আগে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন সাজেদা চৌধুরী।

জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্মৃতিশক্তিও হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। জীবনের ৬৬ বছরই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

জাতীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই

প্রকাশিত সময় :- ০৯:০০:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাতীয় সংসদের উপনেতা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ফরিদপুর–২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই। রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

রবিবার রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন।

সাজেদা চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ফরিদপুর–২ আসন থেকে তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন সাজেদা চৌধুরী। গত সপ্তাহে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী ২০১৫ সালের নভেম্বরে মারা যান।

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৩৫ সালে। পঞ্চাশের দশকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর সংকটময় মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাজেদা চৌধুরী বন ও পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর নবম জাতীয় সংসদে সাজেদা চৌধুরীকে প্রথমবার উপনেতা করা হয়। এরপর দশম সংসদেও তিনি উপনেতার দায়িত্ব পান।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার সংসদে জানাজা শেষে তাকে নিজ বাড়ি নগরকান্দায় নেওয়া হবে। পরে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। রাতে মরদেহ সিএমএইচে থাকবে।

সোমবার সকাল ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মরহুম সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সাজেদা চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।

তিনি জানান, জানাজার পর বাদ জোহর তার নির্বাচনী এলাকা নগরকান্দায় হবে দ্বিতীয় জানাজা। বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে সাজেদা চৌধুরীকে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিছুদিন আগে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন সাজেদা চৌধুরী।

জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্মৃতিশক্তিও হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। জীবনের ৬৬ বছরই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন।

নিউজবিজয়/এফএইচএন