ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা : সহপাঠীকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০২:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • ৫০৭ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকি আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
শনিবার সকালে ভিসির নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দফতর থেকে মোহাম্মদ ফিরোজ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেয়া আইন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের (১৪তম ব্যাচের) অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকি আম্মান (আইডি নং-বি ১৮০৫০১০১৬)-কে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’

এতে আরো জানানো হয়, ভিসি সাদেকা হালিম, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উল্লেখ্য কমিটি উক্ত ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দ্রুত ভিসি মহোদয়ের নিকট প্রতিবেদন পেশ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

জানা গেছে, ফাইরুজ অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ। এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, অবন্তিকা মারা গেছেন।

মৃত্যুর আগে নিজের ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা লিখেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী। আর তার সহকারী হিসেবে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের) সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন-অনলাইনে থ্রেটের ওপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানানভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না।’

পোস্টে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘আমি উপাচার্য সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম।’

আরও পড়ুন>>কানাডার পার্লামেন্টে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শায়লা

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা : সহপাঠীকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ

প্রকাশিত সময় :- ০২:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকি আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
শনিবার সকালে ভিসির নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দফতর থেকে মোহাম্মদ ফিরোজ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেয়া আইন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের (১৪তম ব্যাচের) অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকি আম্মান (আইডি নং-বি ১৮০৫০১০১৬)-কে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’

এতে আরো জানানো হয়, ভিসি সাদেকা হালিম, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উল্লেখ্য কমিটি উক্ত ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দ্রুত ভিসি মহোদয়ের নিকট প্রতিবেদন পেশ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

জানা গেছে, ফাইরুজ অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ। এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, অবন্তিকা মারা গেছেন।

মৃত্যুর আগে নিজের ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা লিখেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী। আর তার সহকারী হিসেবে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের) সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন-অনলাইনে থ্রেটের ওপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানানভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না।’

পোস্টে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘আমি উপাচার্য সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম।’

আরও পড়ুন>>কানাডার পার্লামেন্টে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শায়লা

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন