বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ প্রায় অর্ধেক থাকায় রংপুর বিভাগের আট জেলায় ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানিয়েছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)।
নেসকো রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিভাগের আট জেলায় চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে হাসপাতালসহ জরুরি আরও কিছু জায়গায় সব সময় বিদ্যুৎ-সরবরাহ রাখতে হচ্ছে। ফলে লোডশেডিংয়ের সময়সূচি করা হলেও কিছু কিছু সময় সেটি রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমরা তো বিদ্যুৎ ধরে রাখতে পারছি না, যা পাচ্ছি, তা-ই কোটা করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। নিয়ম করা হলেও এমন অবস্থার মধ্যে আগে কখনো পড়তে হয়নি। তাই সবকিছু মেইনটেন করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। এরপরও আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, পঞ্চগড় জেলায় গতকাল রাতে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৭৪ মেগাওয়াট। বরাদ্দ ছিল ৪২ মেগাওয়াট। আজ দিনে জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৫৩ মেগাওয়াট। মিলেছে ২৯ মেগাওয়াট।
পঞ্চগড় জেলায় গতকাল রাতে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৭৪ মেগাওয়াট। বরাদ্দ ছিল ৪২ মেগাওয়াট। আজ দিনে জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৫৩ মেগাওয়াট। মিলেছে ২৯ মেগাওয়াট। একই সঙ্গে গাইবান্ধা জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২৪ মেগাওয়াটের বিপরীতে মিলেছে ১৩ মেগাওয়াট। গাইবান্ধা জেলায় প্রতিটি ফিডারের অধীন এলাকায় প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে তিনবার লোডশেডিং হওয়ার কথা। তবে দিনে ও রাতে গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দফায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ থাকছে না।
এদিকে পঞ্চগড় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলোতে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং স্থায়ী হওয়ার কথা। তবে দিনে কতবার লোডশেডিং হবে, এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।