গরমের সময় ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায়। বাড়তি পানির চাহিদা পূরণে তরমুজ, বেল, আনারিস,বাঙ্গি বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস খেতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের জুসের মধ্যে তরমুজের জুস অন্যতম। তরমুজের শতকরা ৯২ ভাগই পানি। তাই তরমুজ খেলে সহজেই পানির তৃষ্ণা মেটে। তাছাড়া, তরমুজ চমৎকার একটি ফল। শরীর শিতল রাখতে তরমুজ বা তরমুজের জুস দুটোই উপকারী।
যেভাবে বানাবেন তরমুজের জুস
উপকরণ :
১. তরমুজের টুকরো কয়েক টুকরো,
২. বরফ কুচি ২ কাপ( আবশ্যক নয়),
৩. বিটলবণ অল্প,
৪. পুদিনা পাতা কয়েকটি
৫. ও চিনি পরিমাণমতো।
প্রণালি : প্রথমে তরমুজের খোসা ছাড়িয়ে বিচিগুলো ফেলে দিন। এবার ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এাবর একটি ব্লেন্ডারে টুকরো করা তরমুজ, বিট লবণ, কয়েকটি পুদিনার পাতা এবং চিনি দিয়ে ব্ল্যান্ড করে নিন। এখন এটি একটি ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। এবার বরফ কুচি দিয়ে গ্লাসে ঢেলে টেবিলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
কেন খাবেন তরমুজের জুস?
১. তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন। বিটা ক্যারোটিন চোখ ভালো রাখে।
২. এছাড়া তরমুজের জুস খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুস্থ থাকে। কারণ, ভিটামিন এ ত্বককে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে ত্বকের সুরক্ষা দেয়।
৩. তরমুজের জুস গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে, তরমুজে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ক্রমাগত নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে রক্তের স্বাভাবিক কার্যপ্রণালি বজায় রাখে।
৪. প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১ শরীরে এনার্জি তৈরিতে সাহায্য করে, শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও কমায়।
৫. অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
৬. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, প্রোস্টেট ক্যানসার, কোলন ক্যানসার ও ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।