ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রমশ বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১২:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৩৩২ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

ক্রমশ বেড়েই চলেছে ডিম, আদা ও রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। তবে কিছুটা স্বস্তি মিলছে চাল ও চিনি ও সবজির বাজার। ভারত থেকে আমদানির খবরে কিছুটা কমেছে চিনির দর।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। যেখানে গত সপ্তাহেও ডিমের দাম ছিলো ১১৫-১২০ টাকা ডজন। তবে কিছু এলাকার বাজারে ১২৫ টাকাতেও মিলছে প্রতি ডজন ডিম। হালি নেয়া হচ্ছে ৪২ টাকা।

অন্যদিকে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিমেও। প্রতি হালি হাঁসের ডিম এখন ৭৫ টাকা। একইভাবে দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়।

বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০-১৫৫ টাকায় কেনা যাচ্ছে। তবে প্রতি কেজি ৭০০ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। মাছের বাজারের দরদাম রয়েছে আগের মতোই।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আদা-রসুনের দাম। বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলো ১২০-১৪০ টাকার মধ্যে। এছাড়া ৮০-১০০ টাকার মধ্যে থাকা রসুনের দাম এখন ১২০-১৫০ টাকা দরে উঠেছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম ২০ শতাংশ এবং আদার দাম ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

অন্যদিকে বাজারে কিছুটা কমেছে চিনির দাম। আগে ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া চিনি এখন খুচরায় ১০৭-১১৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। যদিও সরকার নির্ধারিত দাম সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা। যা দুই মাস আগে নির্ধারণ করা হলেও এতদিন সে দামে চিনি পাওয়া যায়নি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে দুই সপ্তাহ আগে চালের দাম কিছুটা কমতির দিকে ছিলো। তবে সেটা স্বস্তি দেয়ার মতো না। তখন ২-৩ টাকা কমেছিলো দাম। নতুন করে আর চালের দাম উল্লেখ করার মতো কমেনি। কয়েক মাসের ব্যবধান হিসেব করলে চালের দাম এখনো অনেক চড়া।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এখন বাজারে গুটি স্বর্ণা জাতের চালের কেজি ৪৮-৫২ টাকা। পায়জাম ও বিআর-২৮ জাতের মাঝারি আকারের চালের কেজি কেনা যাবে ৫৮-৬০ টাকা দরে। তবে চিকন বা মিনিকেট চালের দাম কমেনি। এ মানের চাল এখনও ৭২-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তুলনায় ভালো স্বস্তি দিচ্ছে সবজির বাজার। শীতের সবজির ভরপুর সরবরাহ থাকায় সেগুলোর দাম কম। দুই-তিনটা ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে সিম, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে, মুলা ও নতুন আলু কেনা যাচ্ছে এ দামে। অন্যদিকে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ক্রমশ বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম

প্রকাশিত সময় :- ১২:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

ক্রমশ বেড়েই চলেছে ডিম, আদা ও রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। তবে কিছুটা স্বস্তি মিলছে চাল ও চিনি ও সবজির বাজার। ভারত থেকে আমদানির খবরে কিছুটা কমেছে চিনির দর।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। যেখানে গত সপ্তাহেও ডিমের দাম ছিলো ১১৫-১২০ টাকা ডজন। তবে কিছু এলাকার বাজারে ১২৫ টাকাতেও মিলছে প্রতি ডজন ডিম। হালি নেয়া হচ্ছে ৪২ টাকা।

অন্যদিকে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিমেও। প্রতি হালি হাঁসের ডিম এখন ৭৫ টাকা। একইভাবে দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়।

বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০-১৫৫ টাকায় কেনা যাচ্ছে। তবে প্রতি কেজি ৭০০ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। মাছের বাজারের দরদাম রয়েছে আগের মতোই।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আদা-রসুনের দাম। বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলো ১২০-১৪০ টাকার মধ্যে। এছাড়া ৮০-১০০ টাকার মধ্যে থাকা রসুনের দাম এখন ১২০-১৫০ টাকা দরে উঠেছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম ২০ শতাংশ এবং আদার দাম ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

অন্যদিকে বাজারে কিছুটা কমেছে চিনির দাম। আগে ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া চিনি এখন খুচরায় ১০৭-১১৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। যদিও সরকার নির্ধারিত দাম সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা। যা দুই মাস আগে নির্ধারণ করা হলেও এতদিন সে দামে চিনি পাওয়া যায়নি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে দুই সপ্তাহ আগে চালের দাম কিছুটা কমতির দিকে ছিলো। তবে সেটা স্বস্তি দেয়ার মতো না। তখন ২-৩ টাকা কমেছিলো দাম। নতুন করে আর চালের দাম উল্লেখ করার মতো কমেনি। কয়েক মাসের ব্যবধান হিসেব করলে চালের দাম এখনো অনেক চড়া।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এখন বাজারে গুটি স্বর্ণা জাতের চালের কেজি ৪৮-৫২ টাকা। পায়জাম ও বিআর-২৮ জাতের মাঝারি আকারের চালের কেজি কেনা যাবে ৫৮-৬০ টাকা দরে। তবে চিকন বা মিনিকেট চালের দাম কমেনি। এ মানের চাল এখনও ৭২-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তুলনায় ভালো স্বস্তি দিচ্ছে সবজির বাজার। শীতের সবজির ভরপুর সরবরাহ থাকায় সেগুলোর দাম কম। দুই-তিনটা ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে সিম, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে, মুলা ও নতুন আলু কেনা যাচ্ছে এ দামে। অন্যদিকে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন