ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরআনের হাফেজ নাসির এখন মার্শাল আটে দেশ সেরা

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৬:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
  • ৪৪১ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

তিনি মাদ্রাসার ছাত্র। পবিত্র কোরআনের হাফেজ। হেফজ শেষ করে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসেন মাওলানা পড়তে। পড়াশোনার পাশাপাশি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হাফেজ মোহাম্মদ আলীমুজ্জামান নাসির আগ্রহী ছিলেন শরীরচর্চায়। মার্শাল আর্ট ভালো লাগত তাঁর। মাদ্রাসার ছাত্র হয়ে মার্শাল আর্ট পছন্দ করার কথা বলতে পারছিলেন না কাউকেই। সাহস করে একদিন বড় ভাইকে কথাটা জানালে সমর্থন দেন তিনি। বড় ভাইয়ের চেষ্টায় ২০১৭ সালের দিকে ঢাকায় মেজবাহ আর্ট একাডেমিতে ভর্তি হন নাসির। সেখানে এস এম মেজবাহ উদ্দীনের তত্ত্বাবধানে শুরু করেন কঠোর অনুশীলন । নাসিরের প্রতিভা দেখে মেজবাহ উদ্দীন তাঁকে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেন। সে ম্যাচটি হারেন নাসির। এরপর তাঁকে হারাতে পেরেছেন খুব কম খেলোয়াড়। নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখে এখন তিনি মার্শাল আর্টে দেশ সেরা। গত ৫ থেকে ৮ আগস্ট চার দিনব্যাপী ঢাকার পুরানা পল্টনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমনেসিয়ামে বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট ফেডারেশন শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল স্মৃতি জাতীয় মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। এতে গোপালগঞ্জ স্পোটিং ক্লাব, ঢাকা ক্রীড়া সংস্থা, নরসিংদী ক্রীড়া সংস্থা, বরিশাল ক্রীড়া সংস্থা, নোয়াখালী ক্রীড়া সংস্থা, গাজীপুর ক্রীড়া সংস্থা ও রংপুর ক্রীড়া সংস্থার ৬০ জন প্রতিযোগি অংশ নেন। সবাইকে পেছনে ফেলে দেশ সেরা হন নাসির। গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ৪টি সোনা, ৫টি রুপা ও একটি ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন তিনি। এর আগে ২০২১ সালের কিশোরগঞ্জের নেহাল পার্কে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় কুংফু প্রতিযোগিতায় দেশের ১৮টি জেলার ৬৫ জন প্রতিযোগিকে পিছনে ফেলে স্বর্ণপদক পান নাসির। এরপর গত মার্চে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় তাইচি কুংফু প্রতিযোগিতায় ১৮টি জেলার দুইশ প্রতিযোগিকে পিছনে ফেলে প্রথম হন তিনি। নিজের সাফল্যের মূল কৃতিত্ব পরিবারকেই দিলেন নাসির,‘ এই কৃতিত্বের পেছনে আমার বাবার অবদান অনেক। বাবা সব সময় আমাকে উত্সাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমার বড় ভাইও আমাকে নানা ধরণের সহযোগিতা করেছেন। মেজবাহ স্যার নিজের ছেলের মতো আমাকে গড়ে তুলেছেন। তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। ’ নাসির আরও জানালেন,‘প্রতিটি মানুষের জন্য মার্শাল আর্ট শেখা খুবই জরুরী। শরীরকে সুস্থ রাখা, মনোবল বাড়ানো, আত্মরক্ষা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এজন্যই আমি মার্শাল আর্ট পছন্দ করতাম। কিন্তু জাতীয় প্রতিযোহিতায় এত বেশি পদক পাবো, কখনও ভাবিনি আমি। ’নাসিরের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কাশিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আলী খোকন,‘ছেলেটা আমাদের খায়েরহাট গ্রাম আর পুরো গোপালগঞ্জ জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে। এ জন্য আমি এবং আমার ইউনিয়নবাসী আনন্দিত ও গর্বিত। আমার বিশ্বাস আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে নাসির। ’

মোঃ নজরুল ইসলাম

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

কোরআনের হাফেজ নাসির এখন মার্শাল আটে দেশ সেরা

প্রকাশিত সময় :- ০৬:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২

তিনি মাদ্রাসার ছাত্র। পবিত্র কোরআনের হাফেজ। হেফজ শেষ করে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসেন মাওলানা পড়তে। পড়াশোনার পাশাপাশি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হাফেজ মোহাম্মদ আলীমুজ্জামান নাসির আগ্রহী ছিলেন শরীরচর্চায়। মার্শাল আর্ট ভালো লাগত তাঁর। মাদ্রাসার ছাত্র হয়ে মার্শাল আর্ট পছন্দ করার কথা বলতে পারছিলেন না কাউকেই। সাহস করে একদিন বড় ভাইকে কথাটা জানালে সমর্থন দেন তিনি। বড় ভাইয়ের চেষ্টায় ২০১৭ সালের দিকে ঢাকায় মেজবাহ আর্ট একাডেমিতে ভর্তি হন নাসির। সেখানে এস এম মেজবাহ উদ্দীনের তত্ত্বাবধানে শুরু করেন কঠোর অনুশীলন । নাসিরের প্রতিভা দেখে মেজবাহ উদ্দীন তাঁকে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেন। সে ম্যাচটি হারেন নাসির। এরপর তাঁকে হারাতে পেরেছেন খুব কম খেলোয়াড়। নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখে এখন তিনি মার্শাল আর্টে দেশ সেরা। গত ৫ থেকে ৮ আগস্ট চার দিনব্যাপী ঢাকার পুরানা পল্টনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমনেসিয়ামে বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট ফেডারেশন শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল স্মৃতি জাতীয় মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। এতে গোপালগঞ্জ স্পোটিং ক্লাব, ঢাকা ক্রীড়া সংস্থা, নরসিংদী ক্রীড়া সংস্থা, বরিশাল ক্রীড়া সংস্থা, নোয়াখালী ক্রীড়া সংস্থা, গাজীপুর ক্রীড়া সংস্থা ও রংপুর ক্রীড়া সংস্থার ৬০ জন প্রতিযোগি অংশ নেন। সবাইকে পেছনে ফেলে দেশ সেরা হন নাসির। গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ৪টি সোনা, ৫টি রুপা ও একটি ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন তিনি। এর আগে ২০২১ সালের কিশোরগঞ্জের নেহাল পার্কে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় কুংফু প্রতিযোগিতায় দেশের ১৮টি জেলার ৬৫ জন প্রতিযোগিকে পিছনে ফেলে স্বর্ণপদক পান নাসির। এরপর গত মার্চে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় তাইচি কুংফু প্রতিযোগিতায় ১৮টি জেলার দুইশ প্রতিযোগিকে পিছনে ফেলে প্রথম হন তিনি। নিজের সাফল্যের মূল কৃতিত্ব পরিবারকেই দিলেন নাসির,‘ এই কৃতিত্বের পেছনে আমার বাবার অবদান অনেক। বাবা সব সময় আমাকে উত্সাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমার বড় ভাইও আমাকে নানা ধরণের সহযোগিতা করেছেন। মেজবাহ স্যার নিজের ছেলের মতো আমাকে গড়ে তুলেছেন। তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। ’ নাসির আরও জানালেন,‘প্রতিটি মানুষের জন্য মার্শাল আর্ট শেখা খুবই জরুরী। শরীরকে সুস্থ রাখা, মনোবল বাড়ানো, আত্মরক্ষা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এজন্যই আমি মার্শাল আর্ট পছন্দ করতাম। কিন্তু জাতীয় প্রতিযোহিতায় এত বেশি পদক পাবো, কখনও ভাবিনি আমি। ’নাসিরের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কাশিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আলী খোকন,‘ছেলেটা আমাদের খায়েরহাট গ্রাম আর পুরো গোপালগঞ্জ জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে। এ জন্য আমি এবং আমার ইউনিয়নবাসী আনন্দিত ও গর্বিত। আমার বিশ্বাস আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে নাসির। ’

মোঃ নজরুল ইসলাম