যশোরের কেশবপুর পৌরসভার ভোগতী গ্রামের নজরুল ইসলাম বসতবাড়ির তিনতলা ছাদে গরুর খামার করে এলাকায় সাড়া জাগিয়ে তুলছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে স্বপ্ন দেখতেন দেশী জাতের গুরুর খামার করার। বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বসতবাড়ির তিনতলা ছাদে ৬ মাস আগে টিন সেডের খামার তৈরি করে গরু পালন শুরু করেছেন। তাঁর খামারে থাকা গরু গুলোকে বিচালী, খৈল, কুড়া ভূষি ছাড়া অন্য কোন ভেজাল খাবার খাওয়ান না। খামারের প্রতিটি গরু ৮৫/৯০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। খামারে গরু ওঠা-নামা করাতে বাড়ির সামনে তৈরি করেছেন নিজের উদ্ভাবিত লিফট। বর্তমান তাঁর খামারে ১২টি দেশী প্রজাতির গরু রয়েছে। প্রতিটি গরুর মূল্য ১ লাখ ৪০/৪৫ হাজার টাকা হলেই তিনি গরু বিক্রি করে দেবেন। গরু লালন-পালনের জন্যে সার্বক্ষণিক একজন শ্রমিক কাজ করেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান গো-খাদ্যের যেভাবে মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, তাতে আমার মত ছোট খামারীরা লাভবান হচ্ছে না। এরপরও এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকেরা যদি নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে এ ধরনের কাজ করে তাহলে তারা সফলতা পাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তিনি সবে মাত্র খামার করেছেন। সরকারের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কোন ঊধ্বর্তন ব্যক্তি এখনও তার খামারটি পরিদর্শনে যাননি। তিনি সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতা পেলে খামারের আয়তন বৃদ্ধিসহ গরুর সংখ্যাও বাড়িয়ে দেশের স্বার্থে ভেজাল মুক্ত মাংস উৎপাদন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অলোকেস সরকার বলেন, এ উপজেলায় ছোট বড় মিলে ৫৮০টি গরুর খামারে ৯৪ হাজার গরু রয়েছে। এছাড়া প্রায় প্রতিটি পরিবারে কম বেশী গরু-ছাগল পালন হয়ে থাকেন। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, ক্যাম্পিং এর আওতায় গরু-ছাগলের টিকাদান ও কৃমিনাশক বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমি অচিরেই খামারটি পরিদর্শন করব।