ঢাকা ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় সেমাই কারখানাগুলোতে ব্যস্ততা বাড়ছে শ্রমিকদের

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১২:২১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
  • ২৭৭ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কুমিল্লায় সেমাই কারখানাগুলো ব্যস্ততা বাড়ছে শ্রমিকদের। সেমাই তৈরি, রোদে শুকানো, খাঁচি ভর্তি করে বাজারে বিক্রির কাজে ব্যস্ত শ্রমিক ও মিলাররা। কুমিল্লার সাদা সেমাই এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় জেলার বাইরেও পাঠানো হচ্ছে এ সেমাই। সেমাই বেচাকেনা নিয়ে পাইকারী ব্যবসায়ীরাও আড়তে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কুমিল্লা বিসিকের পাঁচটি কারখানায় সেমাই উৎপাদন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে, কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিল, মেট্রো কনফেকশনারী, খন্দকার ফুড, রিয়াজ ফ্লাওয়ার মিল ও মক্কা কনজুমার এন্ড ফুড প্রোডাক্টস। বিসিক ছাড়া কুমিল্লা আদর্শ সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে। কারখানা গুলোতে বাংলা ও লাচ্ছা নামের দুই ধরনের সেমাই তৈরি করা হয়। ময়দা মাখানো, মেশিনের মাধ্যমে মিকচার করা, সেমাই তৈরি করে রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত সেমাই শ্রমিকরা। ঈদ ঘনিয়ে আসায় কারখানাগুলোতে সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত কারখানার শ্রমিকরা। ঈদ উপলক্ষে সেমাই এর চাহিদার কারণে শ্রমিকদের ব্যস্ততা আরো বেড়ে গেছে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনশ মণ সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে।

কুমিল্লা বিসিকের কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিল কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, মেশিনে বাংলা সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে। সেই সেমাই ছাদে ঝুলিয়ে শুকানো হচ্ছে। তারপরে প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা। এদিকে লাচ্ছা সেমাই তেলে ভাজা হয়। ভাজা সেমাই প্যাকেটজাত করেন শ্রমিকরা। ঈদের আরো ১১/১২ দিন বাকি। তাই দ্রুত সেমাই গাড়ি যোগে বাজারে পৌঁছে দিচ্ছেন কারখানার মালিকরা।

কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের ব্যবস্থাপক সৈয়দ গোলাম কাদের বলেন, আমরা ১১ বছর ধরে মান সম্মত উপায়ে সেমাই তৈরি করি। ঈদের মৌসুমে বেশি সেমাই উৎপাদন হয়। উৎপাদিত সেমাইয়ের নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তা কয়েক মাস বিক্রি করা যায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়ে। বাংলা সেমাই চরাঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়। বাংলা সেমাই আল-নূর ও কুলসুম নামে ও লাচ্ছা সেমাই তানিন নামে বাজারজাত করি।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করর্পোরেশন (বিসিক) কুমিল্লার ডিজিএম মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদিত সেমাই মান সম্মত। সেমাই উৎপাদনে যেন মান রক্ষা করা হয় সেজন্য আমরা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন করি।

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

টেকনো স্পার্ক ২০সি এখন পাওয়া যাচ্ছে অভাবনীয় নতুন দামে

কুমিল্লায় সেমাই কারখানাগুলোতে ব্যস্ততা বাড়ছে শ্রমিকদের

প্রকাশিত সময় :- ১২:২১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কুমিল্লায় সেমাই কারখানাগুলো ব্যস্ততা বাড়ছে শ্রমিকদের। সেমাই তৈরি, রোদে শুকানো, খাঁচি ভর্তি করে বাজারে বিক্রির কাজে ব্যস্ত শ্রমিক ও মিলাররা। কুমিল্লার সাদা সেমাই এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় জেলার বাইরেও পাঠানো হচ্ছে এ সেমাই। সেমাই বেচাকেনা নিয়ে পাইকারী ব্যবসায়ীরাও আড়তে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কুমিল্লা বিসিকের পাঁচটি কারখানায় সেমাই উৎপাদন করা হয়। সেগুলো হচ্ছে, কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিল, মেট্রো কনফেকশনারী, খন্দকার ফুড, রিয়াজ ফ্লাওয়ার মিল ও মক্কা কনজুমার এন্ড ফুড প্রোডাক্টস। বিসিক ছাড়া কুমিল্লা আদর্শ সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে। কারখানা গুলোতে বাংলা ও লাচ্ছা নামের দুই ধরনের সেমাই তৈরি করা হয়। ময়দা মাখানো, মেশিনের মাধ্যমে মিকচার করা, সেমাই তৈরি করে রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত সেমাই শ্রমিকরা। ঈদ ঘনিয়ে আসায় কারখানাগুলোতে সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত কারখানার শ্রমিকরা। ঈদ উপলক্ষে সেমাই এর চাহিদার কারণে শ্রমিকদের ব্যস্ততা আরো বেড়ে গেছে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনশ মণ সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে।

কুমিল্লা বিসিকের কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিল কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, মেশিনে বাংলা সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে। সেই সেমাই ছাদে ঝুলিয়ে শুকানো হচ্ছে। তারপরে প্যাকেটজাত করছেন শ্রমিকরা। এদিকে লাচ্ছা সেমাই তেলে ভাজা হয়। ভাজা সেমাই প্যাকেটজাত করেন শ্রমিকরা। ঈদের আরো ১১/১২ দিন বাকি। তাই দ্রুত সেমাই গাড়ি যোগে বাজারে পৌঁছে দিচ্ছেন কারখানার মালিকরা।

কুমিল্লা ফ্লাওয়ার মিলের ব্যবস্থাপক সৈয়দ গোলাম কাদের বলেন, আমরা ১১ বছর ধরে মান সম্মত উপায়ে সেমাই তৈরি করি। ঈদের মৌসুমে বেশি সেমাই উৎপাদন হয়। উৎপাদিত সেমাইয়ের নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তা কয়েক মাস বিক্রি করা যায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সেমাই বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়ে। বাংলা সেমাই চরাঞ্চলে বেশি বিক্রি হয়। বাংলা সেমাই আল-নূর ও কুলসুম নামে ও লাচ্ছা সেমাই তানিন নামে বাজারজাত করি।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করর্পোরেশন (বিসিক) কুমিল্লার ডিজিএম মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদিত সেমাই মান সম্মত। সেমাই উৎপাদনে যেন মান রক্ষা করা হয় সেজন্য আমরা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন করি।