কুড়িগ্রামের রৌমারী- চর রাজিবপুরের চরা লে ১২ মিশালী ফসল উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। রৌমারী সাধারণত নদ-নদী খাল বিল হাওর বাওরে পরিপুর্ণ। উপজেলার পশ্চিম অংশে বন্দবেড় ইউনিয়ন ও যাদুরচর ইউনিয়নের ব্র্ক্ষপুত্র নদের ভাঙ্গনের তান্ডবে একূল ভেঙ্গে ওকুল গড়া চরে কৃষক মেতেছে নানা জাতের ফসল চাষে। প্রতি বছর বন্যায় নদীর বুকে জেগে উঠা চর কোথাও বালির স্তুপ, আবার কোথাও জেগে উঠা চরে পলি মাটির স্থর কৃষককে হাত ছানি দেয় ফসল ফলাতে।
চরের বুকে বসবাসরত কৃষক বেচেঁ থাকার তাগিদে রবিশস্য উৎপাদনে মনোনিবেশ করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, চরের বুক জুড়ে স্থরে স্থরে সরিষা, ভূট্রা, গম, বাদাম, তিষি, মিষ্টি আলু, মশুর ডাল, মুগডাল, মাসকলাই, খেসারী কলাই, পিয়াজ, রসুন, মরিচ, ধনিয়া, বেগুনসহ নানা ধরনের ফসল চাষ করছে। এঅ লের মানুষের তরকারীর চাহিদা অনেকটা চরের মানুষের উৎপাদিত ফসল থেকে চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। সময়ের সাথে সাথে ফসল উৎপাদনে অনেকটা পরিবর্তণ দেখা দিয়েছে।
একসময় রৌমারীর গোটা এলাকা জুড়ে একই ধরনের ফসল উৎপাদন হতো। কিন্ত আধুনিকতার ছোওয়ায় বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত জাতের স্বল্প সময়ে উচ্চ ফলনশীল জাতের নানা জাতের নানা নামীয় ইড়ি-বোর ধানের চাষ শুরু হয়েছে। যারফলে মাটির প্রকার ভেদে কাদা ও দোআশঁ মাটিতে ইড়ি-বোর ও চরা লীয় বালি মাটিতে রবিশশ্য চাষ হচ্ছে। এবিষয়ে রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কায়ুম চৌধুরী বলেন, রৌমারী’র চরা লের জমি এখন আর পতিত নেই। জেগে উঠা চরে কৃষক সময় উপযোগী ফসল চাষ করে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনছে।
তবে এঅ লের মানুষের প্রধান সমস্যা ব্রক্ষপুত্র নদীর ভাঙ্গন। চরের কৃষককে বাচাতে নদী ভাঙ্গন রোধ অত্যান্ত জরুরী। এনিয়ে ওই অ লের কৃষকের সাথে কথা বললে তারা আক্ষেপ করে বলেন , আমরাতো সরকারের আওতাভূক্ত নই , কারণ যুগযুগ ধরে আমরা নদী ভাঙ্গনের শিকার জমিজিরাত বসত ভিটা হারিয়ে নিঃষ হয়ে পড়েছি কেই আমাদের খোজ রাখেনি। মরা চরের বুক জুড়ে যুদ্ধ করে বেচে আছি নানা জাতের ফসল উৎপাদন করে।
এবিষয় রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী জানায় চরা লের কৃষকদের সবসময়ই সহযোগিতা করা হচ্ছে। এবংকি চরা লে এখন আর চর নেই সবধরনের ফসল ফলিয়ে স্বাবলম্বী চরের কৃষকরা।
নিউজ বিজয় ২৪/এফএইচএন