ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

অবৈধ পথে গরু পাচার করতে গিয়ে ভারতীয় বিএসএফের ছড়া গুলিতে মানিক মিয়া (৩৫) নামের এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়। আহত হয় কামাল হোসেন। অন্য সাথীরা তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. দুলাল চন্দ্রপাল তাকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন। তারা পুলিশ ও বিজিবি’র মামলার ভয়ে নিহতের লাশটি গুম করার জন্য ৬ কিলোমিটার দুরে খালাতো ভাই বাঞ্ছার গ্রামে মোতালেবের বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ১৪ ঘন্টা পর রবিবার বিকালে পুলিশ উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর গ্রামের মোতালেবের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে। শনিবার দিনগত রাত ১২ টার দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের মোল্লারচর ১০৬২ নং মেইন সীমান্ত পিলারে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত মানিক একই ইউনিয়নের বেহুলারচর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে একদল গরু ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক সীমানা ১০৬২ মেইন পিলারের পাশ দিয়ে অবৈধভাবে কাটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে ভারতীয় গরু পারাপার করতেছিল। এসময় টহলরত কুচনিমারা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ করে ছড়া গুলি ছুড়ে। এসময় মানিক ছড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সাথীরা তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করা মাত্রই তারা মানিকের লাশটি পুলিশ ও বিজিবি’র মামলার ভয়ে নিহতের খালাতো ভাই মোতালেব এর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ১৬ ঘন্টা পর রবিবার বিকালে পুলিশ উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর গ্রামের আবু মোতালেবের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মানিকের ডানপাশের বুকে ও বামপাশের পাজরে ছড়া গুলির আঘাতের চিহৃ পাওয়া গেছে।
মৃত ব্যাক্তির বড় ভাই আক্কাস আলীর স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, গুলির আঘাতে আহত হলে সঙ্গে সঙ্গে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তার চিকিৎসা দিতে না পারলে রোগী রংপুর হাসপাতালে নেয়ার পথি মধ্যে মৃত বরণ করে। পরে মোতালেবের বাড়িতে নেয়া হয়েছে।
মোতালেবের স্ত্রী সাজেদা খাতুন বলেন রোববার ভোররাতে ৪/৫জন লোক আমার বাড়িতে লাশটি রেখে যায়।
জামালপুর বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকি বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে কি না তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে এবং হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয় রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে ও মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশটি মর্গে প্রেরণ করা হবে। পরে জানা যাবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

কুড়িগ্রামে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত সময় :- ০৬:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অবৈধ পথে গরু পাচার করতে গিয়ে ভারতীয় বিএসএফের ছড়া গুলিতে মানিক মিয়া (৩৫) নামের এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়। আহত হয় কামাল হোসেন। অন্য সাথীরা তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. দুলাল চন্দ্রপাল তাকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন। তারা পুলিশ ও বিজিবি’র মামলার ভয়ে নিহতের লাশটি গুম করার জন্য ৬ কিলোমিটার দুরে খালাতো ভাই বাঞ্ছার গ্রামে মোতালেবের বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ১৪ ঘন্টা পর রবিবার বিকালে পুলিশ উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর গ্রামের মোতালেবের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে। শনিবার দিনগত রাত ১২ টার দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের মোল্লারচর ১০৬২ নং মেইন সীমান্ত পিলারে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত মানিক একই ইউনিয়নের বেহুলারচর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে একদল গরু ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক সীমানা ১০৬২ মেইন পিলারের পাশ দিয়ে অবৈধভাবে কাটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে ভারতীয় গরু পারাপার করতেছিল। এসময় টহলরত কুচনিমারা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ করে ছড়া গুলি ছুড়ে। এসময় মানিক ছড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সাথীরা তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করা মাত্রই তারা মানিকের লাশটি পুলিশ ও বিজিবি’র মামলার ভয়ে নিহতের খালাতো ভাই মোতালেব এর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ১৬ ঘন্টা পর রবিবার বিকালে পুলিশ উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর গ্রামের আবু মোতালেবের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মানিকের ডানপাশের বুকে ও বামপাশের পাজরে ছড়া গুলির আঘাতের চিহৃ পাওয়া গেছে।
মৃত ব্যাক্তির বড় ভাই আক্কাস আলীর স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, গুলির আঘাতে আহত হলে সঙ্গে সঙ্গে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তার চিকিৎসা দিতে না পারলে রোগী রংপুর হাসপাতালে নেয়ার পথি মধ্যে মৃত বরণ করে। পরে মোতালেবের বাড়িতে নেয়া হয়েছে।
মোতালেবের স্ত্রী সাজেদা খাতুন বলেন রোববার ভোররাতে ৪/৫জন লোক আমার বাড়িতে লাশটি রেখে যায়।
জামালপুর বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকি বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে কি না তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে এবং হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয় রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে ও মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশটি মর্গে প্রেরণ করা হবে। পরে জানা যাবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন