ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে অনন্ত কুমার দেব’র ৭১তম শুভ জন্মদিনে ভাওয়াইয়া মুকুট উপাধি প্রদান

১৬ মার্চ ২০২৪ (শনিবার) কুড়িগ্রাম জেলা , রাজারহাট, উপজেলার দেবালয় গ্রামে নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ বেতার রংপুর ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিশিষ্ট ভাওয়াইয়া শিল্পী গীতিকার সুরকার, সংগীত পরিচালক ও ভাওয়াইয়া গবেষক, অনন্ত কুমার দেব’র ৭১তম শুভ জন্মদিনে ভাওয়াইয়া মুকুট উপাধি প্রদান করা হয়।
সকাল থেকে তাঁর বাড়ি ও উঠানে একটা সাজ সাজ রবের আবহ তৈরি হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তাঁর শিষ্য ও শুভানুধ্যায়ী এবং বিভিন্ন জেলা- উপজেলা থেকে আসা শিল্পী ও গীতিকারগণ।
শফিকুল ইসলাম শফির সঞ্চালনায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা ১২ টা থেকে। বাঁশি ও ঢোলের বরণ মিউজিকের তালে তালে পূজোর থালা,ধুপ-ধুপাতি এবং পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে তাঁকে বরণ করতে করতে বাড়ির মন্দির থেকে উঠানে মঞ্চের সামনে নিয়ে আসা হয়।
পরে গুরুজীর চরণ ধুয়ে দেয় তাঁর অন্যতম শিষ্য শফিকুল ইসলাম শফি সহ একে একে পঞ্চানন রায়, মালতি মদন মোহন সিবলী সাদিক আতিক সহ আরো অনেকের দ্বারা এ পর্বটি শেষ হলে তাঁকে মঞ্চে উঠানো হয়। বিভিন্ন জেলা- উপজেলা থেকে আগত শিল্পী ও শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তিগণ অনন্ত কুমার দেবকে ফুলেল শুভেচ্ছায় ভূষিত করেন। অতঃপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ….
ভাওয়াইয়া মুকুট পরানো এবং ক্রেষ্ট প্রদান কালে মঞ্চে উপস্থিত হন প্রথম আলো সাংবাদিক সফি খান, জেলা শিল্পকলা সেক্রেটারী রাশেদুজ্জামান বাবুসহ সিনিয়র শিল্পীগণ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আহা মঞ্চে জায়গা ধরে না। বারবার ধ্বনিত হচ্ছিল ভাওয়াইয়া মুকুট অনন্ত কুমার দেব….. সমস্বরে সবাই মিলে বলেছে জয় হোক…..।
আগত শিল্পীরা তাঁকে উত্তরীয় প্রদানের পর শুরু তাঁর জন্মদিনের কেককাটা পর্ব। আবারও পুষ্পবৃষ্টি এবং সমস্বরে ধ্বনিত হচ্ছিল Happy Birth Day এবং শুভ জন্মদিন…. । এরপর অনেকেই সংগঠন ও ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে ক্রেষ্ট, প্রীতি উপহার প্রদান অনুষ্ঠান চলে দীর্ঘ সময় ধরে। শ্রদ্ধা এবং ভালবাসায় সিক্ত হোন গুরু অনন্ত কুমার দেব। শুভেচ্ছা বক্তব্যে শিল্পী অনন্ত কুমার দেব মহাশয়ের সাথে সঙ্গীত সম্পর্কিত… গান শেখা, স্মতি কথা, তাঁর ব্যক্তি জীবন নিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য এবং অনুভূতি প্রকাশের অনুষ্ঠান চলে দীর্ঘ সময় ধরে। একে একে অংশ নেন আগত শিল্পী, শুভানুধ্যায়ী এবং তাঁর পরিবরের সদস্যরা।
দীর্ঘ আলোচনার পর শুরু সঙ্গীতানুষ্ঠান। যেন গান গেয়ে আনন্দ ভাগাভাগি। সত্যি আনন্দ মুখর হয়ে উঠে গুরুজীর উঠোন। এক পর্যায় পঞ্চান্ন রায় এর অনুরোধে মঞ্চে পঞ্চান্ন রায় এবং গুরু দ্বৈত কন্ঠে গেয়ে উঠে দু’জনের প্রিয় গান – ওকি একবার আসিয়া সোনার চান মোর যাও দেখিয়া রে। সকলে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শফিকুল ইসলাম শফি ও অনন্য ব্যক্তিকে অনুষ্ঠানটির মূল পরিকল্পনা করার জন্য। এ স্মৃতি, এ ঐতিহাসিক আয়োজন ইতিহাস হয়ে থাকবে সকলের মনে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপির

কুড়িগ্রামে অনন্ত কুমার দেব’র ৭১তম শুভ জন্মদিনে ভাওয়াইয়া মুকুট উপাধি প্রদান

প্রকাশিত সময় :- ০৩:৪৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

১৬ মার্চ ২০২৪ (শনিবার) কুড়িগ্রাম জেলা , রাজারহাট, উপজেলার দেবালয় গ্রামে নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ বেতার রংপুর ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিশিষ্ট ভাওয়াইয়া শিল্পী গীতিকার সুরকার, সংগীত পরিচালক ও ভাওয়াইয়া গবেষক, অনন্ত কুমার দেব’র ৭১তম শুভ জন্মদিনে ভাওয়াইয়া মুকুট উপাধি প্রদান করা হয়।
সকাল থেকে তাঁর বাড়ি ও উঠানে একটা সাজ সাজ রবের আবহ তৈরি হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তাঁর শিষ্য ও শুভানুধ্যায়ী এবং বিভিন্ন জেলা- উপজেলা থেকে আসা শিল্পী ও গীতিকারগণ।
শফিকুল ইসলাম শফির সঞ্চালনায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা ১২ টা থেকে। বাঁশি ও ঢোলের বরণ মিউজিকের তালে তালে পূজোর থালা,ধুপ-ধুপাতি এবং পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে তাঁকে বরণ করতে করতে বাড়ির মন্দির থেকে উঠানে মঞ্চের সামনে নিয়ে আসা হয়।
পরে গুরুজীর চরণ ধুয়ে দেয় তাঁর অন্যতম শিষ্য শফিকুল ইসলাম শফি সহ একে একে পঞ্চানন রায়, মালতি মদন মোহন সিবলী সাদিক আতিক সহ আরো অনেকের দ্বারা এ পর্বটি শেষ হলে তাঁকে মঞ্চে উঠানো হয়। বিভিন্ন জেলা- উপজেলা থেকে আগত শিল্পী ও শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তিগণ অনন্ত কুমার দেবকে ফুলেল শুভেচ্ছায় ভূষিত করেন। অতঃপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ….
ভাওয়াইয়া মুকুট পরানো এবং ক্রেষ্ট প্রদান কালে মঞ্চে উপস্থিত হন প্রথম আলো সাংবাদিক সফি খান, জেলা শিল্পকলা সেক্রেটারী রাশেদুজ্জামান বাবুসহ সিনিয়র শিল্পীগণ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আহা মঞ্চে জায়গা ধরে না। বারবার ধ্বনিত হচ্ছিল ভাওয়াইয়া মুকুট অনন্ত কুমার দেব….. সমস্বরে সবাই মিলে বলেছে জয় হোক…..।
আগত শিল্পীরা তাঁকে উত্তরীয় প্রদানের পর শুরু তাঁর জন্মদিনের কেককাটা পর্ব। আবারও পুষ্পবৃষ্টি এবং সমস্বরে ধ্বনিত হচ্ছিল Happy Birth Day এবং শুভ জন্মদিন…. । এরপর অনেকেই সংগঠন ও ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে ক্রেষ্ট, প্রীতি উপহার প্রদান অনুষ্ঠান চলে দীর্ঘ সময় ধরে। শ্রদ্ধা এবং ভালবাসায় সিক্ত হোন গুরু অনন্ত কুমার দেব। শুভেচ্ছা বক্তব্যে শিল্পী অনন্ত কুমার দেব মহাশয়ের সাথে সঙ্গীত সম্পর্কিত… গান শেখা, স্মতি কথা, তাঁর ব্যক্তি জীবন নিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য এবং অনুভূতি প্রকাশের অনুষ্ঠান চলে দীর্ঘ সময় ধরে। একে একে অংশ নেন আগত শিল্পী, শুভানুধ্যায়ী এবং তাঁর পরিবরের সদস্যরা।
দীর্ঘ আলোচনার পর শুরু সঙ্গীতানুষ্ঠান। যেন গান গেয়ে আনন্দ ভাগাভাগি। সত্যি আনন্দ মুখর হয়ে উঠে গুরুজীর উঠোন। এক পর্যায় পঞ্চান্ন রায় এর অনুরোধে মঞ্চে পঞ্চান্ন রায় এবং গুরু দ্বৈত কন্ঠে গেয়ে উঠে দু’জনের প্রিয় গান – ওকি একবার আসিয়া সোনার চান মোর যাও দেখিয়া রে। সকলে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শফিকুল ইসলাম শফি ও অনন্য ব্যক্তিকে অনুষ্ঠানটির মূল পরিকল্পনা করার জন্য। এ স্মৃতি, এ ঐতিহাসিক আয়োজন ইতিহাস হয়ে থাকবে সকলের মনে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন