ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামের রৌমারী ভ্রাম্যমান আদালতে এক ব্যাক্তির কারাদন্ড

রৌমারী উপজেলায় রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে কসাই শফিকুল ইসলামকে (২৭) ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও বড়াইকান্দি বাজারস্থ মাংশ রফতানি কারক দোকান সিলগালা করা হয়েছে। ৪ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১ টায় রৌমারী সদর বাজার শাপলা চত্তরে এ আটকের ঘটনা ঘটে। আটককৃত এই রোগাক্রান্ত মাংসগুলো মাটিতে পুতে রাখা হয়। কসাই শফিকুল ইসলাম (২৭) রৌমারী সদর ইউনিয়নের নটান পাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বড়াইকান্দি বাজারস্থ ডিসি রাস্তায় মেহেদী মাংশ বিতান মালিক রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত মাংশ এনে বিক্রি করে। প্রতিদিনের ন্যায় আজ সোমবারও শাপলা চত্তরে রোগাক্রান্ত একটি গরুর মাংশ এনে বিক্রি করতে ছিলো। এ সময় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড নাহিদ হাসান খান ঘটনা স্থলে যান। রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রয়ের সত্যতা পাওয়া গেলে, বাজারের উপস্থিত জনসম্মুখে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে পশু জবাই ও মাংসের মাননিয়ন্ত্রন ২০১১ আইনে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
এবিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, শুধু এখানে নয়, উপজেলায় যত্রতত্র সরকারের অনুমতিহীন কসাই সাজিয়ে মাংস বিক্রয় করছে এবং খাওয়ার অনুপযোগী অসুস্থ পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। এসব মাংস বিক্রির জন্য সন্ধার পর ঢাকঢোল পিটিয়ে এবং মাইকিং করে মাংশ বিক্রয় করা হয়। অন্যদিকে অবিক্রিত মাংশ ফ্রীজজাত করে রেখে পরের দিন বিক্রয় করা হচ্ছে।
কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্যানিটেশন কর্মকর্তাদের রহস্যজনক নিরব ভুমিকার কারণে ক্রমশই ব্যপরোয়া হয়ে উঠছে অসাধু ব্যবসায়ী কসাইরা। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড নাহিদ হাসান খান বলেন, অসুস্থ গরুর মাংশ বিক্রয়ের খবর পেয়ে দ্রুত অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর দোকান শাপলা চত্তরে পরিদর্শনে যাই। সেখানে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির সত্যতা পেয়ে কসাইকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয় এবং অসুস্থ গরুর মাংশ রফতানি কারক বড়াইকান্দি বাজারস্থ মেহেদী মাংশ বিতান ঘর সিলগালা করা হয়েছে। অবিক্রিত মাংস গুলো মাটিতে পুতে ফেলা হয়।
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

কুড়িগ্রামের রৌমারী ভ্রাম্যমান আদালতে এক ব্যাক্তির কারাদন্ড

প্রকাশিত সময় :- ০৬:২৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

রৌমারী উপজেলায় রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে কসাই শফিকুল ইসলামকে (২৭) ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও বড়াইকান্দি বাজারস্থ মাংশ রফতানি কারক দোকান সিলগালা করা হয়েছে। ৪ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১ টায় রৌমারী সদর বাজার শাপলা চত্তরে এ আটকের ঘটনা ঘটে। আটককৃত এই রোগাক্রান্ত মাংসগুলো মাটিতে পুতে রাখা হয়। কসাই শফিকুল ইসলাম (২৭) রৌমারী সদর ইউনিয়নের নটান পাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বড়াইকান্দি বাজারস্থ ডিসি রাস্তায় মেহেদী মাংশ বিতান মালিক রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত মাংশ এনে বিক্রি করে। প্রতিদিনের ন্যায় আজ সোমবারও শাপলা চত্তরে রোগাক্রান্ত একটি গরুর মাংশ এনে বিক্রি করতে ছিলো। এ সময় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড নাহিদ হাসান খান ঘটনা স্থলে যান। রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রয়ের সত্যতা পাওয়া গেলে, বাজারের উপস্থিত জনসম্মুখে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে পশু জবাই ও মাংসের মাননিয়ন্ত্রন ২০১১ আইনে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
এবিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, শুধু এখানে নয়, উপজেলায় যত্রতত্র সরকারের অনুমতিহীন কসাই সাজিয়ে মাংস বিক্রয় করছে এবং খাওয়ার অনুপযোগী অসুস্থ পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। এসব মাংস বিক্রির জন্য সন্ধার পর ঢাকঢোল পিটিয়ে এবং মাইকিং করে মাংশ বিক্রয় করা হয়। অন্যদিকে অবিক্রিত মাংশ ফ্রীজজাত করে রেখে পরের দিন বিক্রয় করা হচ্ছে।
কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্যানিটেশন কর্মকর্তাদের রহস্যজনক নিরব ভুমিকার কারণে ক্রমশই ব্যপরোয়া হয়ে উঠছে অসাধু ব্যবসায়ী কসাইরা। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড নাহিদ হাসান খান বলেন, অসুস্থ গরুর মাংশ বিক্রয়ের খবর পেয়ে দ্রুত অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর দোকান শাপলা চত্তরে পরিদর্শনে যাই। সেখানে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির সত্যতা পেয়ে কসাইকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয় এবং অসুস্থ গরুর মাংশ রফতানি কারক বড়াইকান্দি বাজারস্থ মেহেদী মাংশ বিতান ঘর সিলগালা করা হয়েছে। অবিক্রিত মাংস গুলো মাটিতে পুতে ফেলা হয়।
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন