ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুরে মিশ্র ফসলের চাষ করে স্বাবলম্বী চরাঞ্চলের সবজী চাষি কৃষকরা

চর রাজিবপুর উপজেলার কৃষির উপর নির্ভরশীল কৃষকরা একই জমিতে এক সাথে ৫টি ফসলের চাষ করে সংসারের চাহিদা মিটিয়েও উন্নয়নের আলো জ্বালিয়েছে চরা লের চাষিরা। চর রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শিবের ডাঙ্গী এলাকাটি কৃষির উপর নির্ভরশীল চাষির সংখ্যা শতকরা ৯৫ জন। শিবের ডাঙ্গী এলাকার সরেজমিন ঘুরে দেখা দেছে একজমিতে ৫টি করে ফসলের চাষ । ৫টি ফসলের মাঝে রয়েছে শীতকালিন বিশেষ প্রয়োজনীয় শাখসবজির চাষ।
তারা বলছেন প্রথমে রোপন করা হয় আখ, আখের সাথে সাথে রোপন করা হয় মুলা,বেগুন,মরিচ, লাল শাখসহ ৫ প্রজাতের মিশ্র ফসল। মিশ্র ফসল চাষি ফরজ আলী- নিয়মিত প্রতিবছর ৭৫ শতাংশ জমিতে মিশ্র ফসলের চাষ করেন। তার পরিবার পরিজন এই ৭৫ শতক জমির ফসলের উপর নির্ভরশীল। এই জমিতে প্রতিবছর মিশ্র ফসল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেও আয় করছেন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন ১ লাখ টাকার মুলা বিক্রয় করা হয়েছে, ২ লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করা হয়েছে এছাড়াও মরিচ সবেমাত্র ৫০ হাজার টাকা পেয়েছি, যদি আকাশ অনুকুলে থাকে তাহলে সবজী থেকে আরও লাখ ২ টাকা আসবে আশা করি। তার দীর্ঘ মেয়াদী আখ থেকে এক থুকে ৩ লাখ টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই এলাকার মিশ্র ফসল চাষি কৃষক মাইদুল ইসলাম বলেন ৩৬ শতাংশ জমিতে ৫ ফসলের চাষ করেছি এখান থেকে দের লাখ টাকার সবজী বিক্রি করা হয়েছে আল্লাহর রহমতে সবজীর আবাদ করে লাভবান হয়েছি।
কৃষক বকুল জানান ৩০ শতক জমিতে মিশ্র ফসল চাষ করে প্রতিবছর খেয়ে দেও ২ লাখ টাকা আয় করতে পেরে আমি ভালো চলতে, পারছি পাশাপাশি এঅ লের সবজী চাষিরা সবাই স্বালম্বী। কৃষক খাজা মিয়া জানান মিশ্র ফসলের চাষ করে আমাদের পাশাপাশি সবজী ব্যবসায়ীরাও স্বাবলম্বী হয়েছে। তবে যদি এখানকার কৃষি কর্মকর্তারা আমাদের সহযোগিতা করতেন তাহলে আমরা আরও স্বাবলম্বী হতে পারতাম। এখানে কৃষি কর্মকর্তারা মনের ভুলেও আসেনা যারফলে মাঝেমধ্যে মিশ্র ফসল নিয়ে বিপাকে পরতে হয়। বর্তমান সরকার কৃষিবান্দব সরকার কৃষকদের সবসময়ই সহযোগিতা করে থাকে কিন্ত আমরা তা পাচ্ছিনা । সরেজমিন ঘুরে কৃষকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে চরা লের খেটে খাওয়া কৃষকরা শুধু মিশ্র ফসলের চাষ করেই স্বালম্বী হয়েছে। তবে চরা লের কৃষকদের কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কৃষকদের অভিযোগের বিষয়বস্ত হচ্ছে তারা কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে কোন পড়ামর্শ প্রদান করে না। তারা শুধু উপজেলার আনাচেকাচে চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়েই সরকারের বেতন তুলে খায় একারনে তাদের মাঠে দেখা যায়না। এমনটি জানান চর রাজিবপুর উপজেলা কৃষকরা,তারা আরও বলেন হাটবাজারের বীজ কিনতেও পুতারনা হচ্ছে কৃষকরা এসব দেখভাল কে করবে। এবিষয় নিয়ে কথা হয় চর রাজিবপুর উপজেলা কৃষি উদ্ভিদ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম এর সাথে, তিনি বলেন রাজিবপুরে এবার প্রায় আড়াশো হেক্টর জমিতে সবজীর চাষ হয়েছে। আকাশ অনুকুলে থাকায় সবজীর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি দামেও পেয়েছে বেশি। এতে রাজিবপুরে সবজী চাষিরা লাভবান হয়েছে এছাড়াও সবসময় কৃষকদে পাশে থেকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।
নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুরে মিশ্র ফসলের চাষ করে স্বাবলম্বী চরাঞ্চলের সবজী চাষি কৃষকরা

প্রকাশিত সময় :- ০৬:০৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

চর রাজিবপুর উপজেলার কৃষির উপর নির্ভরশীল কৃষকরা একই জমিতে এক সাথে ৫টি ফসলের চাষ করে সংসারের চাহিদা মিটিয়েও উন্নয়নের আলো জ্বালিয়েছে চরা লের চাষিরা। চর রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শিবের ডাঙ্গী এলাকাটি কৃষির উপর নির্ভরশীল চাষির সংখ্যা শতকরা ৯৫ জন। শিবের ডাঙ্গী এলাকার সরেজমিন ঘুরে দেখা দেছে একজমিতে ৫টি করে ফসলের চাষ । ৫টি ফসলের মাঝে রয়েছে শীতকালিন বিশেষ প্রয়োজনীয় শাখসবজির চাষ।
তারা বলছেন প্রথমে রোপন করা হয় আখ, আখের সাথে সাথে রোপন করা হয় মুলা,বেগুন,মরিচ, লাল শাখসহ ৫ প্রজাতের মিশ্র ফসল। মিশ্র ফসল চাষি ফরজ আলী- নিয়মিত প্রতিবছর ৭৫ শতাংশ জমিতে মিশ্র ফসলের চাষ করেন। তার পরিবার পরিজন এই ৭৫ শতক জমির ফসলের উপর নির্ভরশীল। এই জমিতে প্রতিবছর মিশ্র ফসল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেও আয় করছেন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন ১ লাখ টাকার মুলা বিক্রয় করা হয়েছে, ২ লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করা হয়েছে এছাড়াও মরিচ সবেমাত্র ৫০ হাজার টাকা পেয়েছি, যদি আকাশ অনুকুলে থাকে তাহলে সবজী থেকে আরও লাখ ২ টাকা আসবে আশা করি। তার দীর্ঘ মেয়াদী আখ থেকে এক থুকে ৩ লাখ টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই এলাকার মিশ্র ফসল চাষি কৃষক মাইদুল ইসলাম বলেন ৩৬ শতাংশ জমিতে ৫ ফসলের চাষ করেছি এখান থেকে দের লাখ টাকার সবজী বিক্রি করা হয়েছে আল্লাহর রহমতে সবজীর আবাদ করে লাভবান হয়েছি।
কৃষক বকুল জানান ৩০ শতক জমিতে মিশ্র ফসল চাষ করে প্রতিবছর খেয়ে দেও ২ লাখ টাকা আয় করতে পেরে আমি ভালো চলতে, পারছি পাশাপাশি এঅ লের সবজী চাষিরা সবাই স্বালম্বী। কৃষক খাজা মিয়া জানান মিশ্র ফসলের চাষ করে আমাদের পাশাপাশি সবজী ব্যবসায়ীরাও স্বাবলম্বী হয়েছে। তবে যদি এখানকার কৃষি কর্মকর্তারা আমাদের সহযোগিতা করতেন তাহলে আমরা আরও স্বাবলম্বী হতে পারতাম। এখানে কৃষি কর্মকর্তারা মনের ভুলেও আসেনা যারফলে মাঝেমধ্যে মিশ্র ফসল নিয়ে বিপাকে পরতে হয়। বর্তমান সরকার কৃষিবান্দব সরকার কৃষকদের সবসময়ই সহযোগিতা করে থাকে কিন্ত আমরা তা পাচ্ছিনা । সরেজমিন ঘুরে কৃষকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে চরা লের খেটে খাওয়া কৃষকরা শুধু মিশ্র ফসলের চাষ করেই স্বালম্বী হয়েছে। তবে চরা লের কৃষকদের কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কৃষকদের অভিযোগের বিষয়বস্ত হচ্ছে তারা কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে কোন পড়ামর্শ প্রদান করে না। তারা শুধু উপজেলার আনাচেকাচে চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়েই সরকারের বেতন তুলে খায় একারনে তাদের মাঠে দেখা যায়না। এমনটি জানান চর রাজিবপুর উপজেলা কৃষকরা,তারা আরও বলেন হাটবাজারের বীজ কিনতেও পুতারনা হচ্ছে কৃষকরা এসব দেখভাল কে করবে। এবিষয় নিয়ে কথা হয় চর রাজিবপুর উপজেলা কৃষি উদ্ভিদ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম এর সাথে, তিনি বলেন রাজিবপুরে এবার প্রায় আড়াশো হেক্টর জমিতে সবজীর চাষ হয়েছে। আকাশ অনুকুলে থাকায় সবজীর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি দামেও পেয়েছে বেশি। এতে রাজিবপুরে সবজী চাষিরা লাভবান হয়েছে এছাড়াও সবসময় কৃষকদে পাশে থেকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।
নিউজবিজয়/এফএইচএন