ঢাকা ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না : প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৩:১১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ২৭৬ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় না। জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়; আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না।’

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৭৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বহিঃশত্রুর আক্রমণ যদি হয়, সেটা যেন মোকাবিলা করতে পারি; তার জন্য উপযুক্ত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে কোনো দুর্যোগে এগিয়ে আসে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও সেবা দিয়ে যাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে গৌরবের সঙ্গে কাজ করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে যাচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, সিরিয়া ও তুরস্কে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী। সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনা মহামারির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি থেকে আমরা সফলভাবে বের হয়ে আসতে পেরেছি। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। উন্নত দেশগুলোও মন্দার কবলে পড়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি অনেক উর্বর। মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনাদের তো কিছুই নেই, কীভাবে দেশকে গড়ে তুলবেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মাটি আছে, মানুষ আছে। আমি মাটি ও মানুষ দিয়ে বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আমি সেই কথা বিশ্বাস করি। আমি চাই, প্রত্যেকটা নাগরিক যে যা পারেন উৎপাদন করেন। বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার ধাক্কা যেন বাংলাদেশে না আসে।’

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিজয়ের ইতিহাস কলঙ্কিত হয় বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতার আদর্শ খর্ব করা হয়।

 নিউজ বিজয়ের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা এদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তাদের ক্ষমতায় বসানো হয়।

বহিঃশত্রুর আক্রমণ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেনা-নৌ-বিমানবাহিনী আধুনিকায়নে কাজ শুরু করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ এবং পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আগত সবার উদ্দেশে দরবার নেন সরকারপ্রধান।

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান গতকাল চট্টগ্রাম সেনানিবাসে শুরু হয়। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২৩ এবং দশম টাইগার্স পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তার উদ্দেশে বক্তব্য দেন এবং রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য, দেশমাতৃকার সেবায় অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গৌরবময় অতীতের মতো সদা প্রস্তুত থাকতে সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান সেনাপ্রধান।

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে সেনাপ্রধানের উপস্থিতিতে এ কোরের সদস্যদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি এবং আগামী দিনে দেশসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় :- ০৩:১১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় না। জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়; আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না।’

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৭৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বহিঃশত্রুর আক্রমণ যদি হয়, সেটা যেন মোকাবিলা করতে পারি; তার জন্য উপযুক্ত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে কোনো দুর্যোগে এগিয়ে আসে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও সেবা দিয়ে যাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে গৌরবের সঙ্গে কাজ করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে যাচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, সিরিয়া ও তুরস্কে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী। সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনা মহামারির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি থেকে আমরা সফলভাবে বের হয়ে আসতে পেরেছি। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। উন্নত দেশগুলোও মন্দার কবলে পড়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি অনেক উর্বর। মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনাদের তো কিছুই নেই, কীভাবে দেশকে গড়ে তুলবেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মাটি আছে, মানুষ আছে। আমি মাটি ও মানুষ দিয়ে বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আমি সেই কথা বিশ্বাস করি। আমি চাই, প্রত্যেকটা নাগরিক যে যা পারেন উৎপাদন করেন। বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার ধাক্কা যেন বাংলাদেশে না আসে।’

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিজয়ের ইতিহাস কলঙ্কিত হয় বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতার আদর্শ খর্ব করা হয়।

 নিউজ বিজয়ের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা এদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তাদের ক্ষমতায় বসানো হয়।

বহিঃশত্রুর আক্রমণ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেনা-নৌ-বিমানবাহিনী আধুনিকায়নে কাজ শুরু করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ এবং পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আগত সবার উদ্দেশে দরবার নেন সরকারপ্রধান।

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান গতকাল চট্টগ্রাম সেনানিবাসে শুরু হয়। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২৩ এবং দশম টাইগার্স পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তার উদ্দেশে বক্তব্য দেন এবং রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য, দেশমাতৃকার সেবায় অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গৌরবময় অতীতের মতো সদা প্রস্তুত থাকতে সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান সেনাপ্রধান।

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে সেনাপ্রধানের উপস্থিতিতে এ কোরের সদস্যদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি এবং আগামী দিনে দেশসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন