ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাউনিয়া ও হারাগাছে টানা বৃষ্টিতে ভেঙ্গে গেছে গ্রামীণ পাকা সড়ক

কাউনিয়া ও হারাগাছে গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের দুই পার্শ্ব ভেঙ্গে গেছে। হারাগাছ পৌর শহরের টাংরির বাজার এলাকায় সড়কের বড় বড় গর্তে লাল নিশানা ঠাংঙ্গিয়ে যানবাহন চালকদের সাবধান করা হচ্ছে। আবার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে বিভিন্ন এলাকা একাধিক সড়কের ভাঙ্গা স্থানে মাঠি বোঝাই বস্তা ফেলে চলাচলের চেষ্ঠা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাউনিয়া কার্যালয়ের উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি জানান, গত চার-পাঁচ দিন ধরে টানা বৃস্টিপাতে গুলশান মোড়-বকুলতলা, বেইলীব্রিজ-সাধু, মীরগাগ-হারাগাছ সড়ক সহ একাধিক গ্রামীণ পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে প্রায় পাকা সড়ক গুলোর বিভিন্ন স্থানে দুইপার্শ্ব ভেঙ্গে গেছে। আবার কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে পথচারী ও যানবাহন চালকদের ভোগান্তি হয়। সড়কের অনেক ভাঙ্গা স্থানে মাঠি বোঝাই বস্তা ফেলে চলাচলের উপযোগি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পাকা সড়কের বিটমিনের শত্রু হলো পানি। সড়কে পানি জমে থাকলে বিটমিন নরম হয়ে উঠে গিয়ে খানাখন্দ হয়। এছাড়া সড়কের পাশে ব্যক্তি মালিকরা অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করার কারণে ওই স্থানে সড়ক ভেঙ্গে বড় গর্ত হচ্ছে। টানা বৃষ্টি এবং অপরিকল্পিত পুকুরের কারণে বর্ষা মওসুমের শুরুতেই উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক গুলো সংস্কারে অর্থ বরাদ্দের দরকার। কিন্তু জুন ক্লোজিংয়ে বরাদ্দ পাওয়া কঠিন। এরপরও বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কত কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এর পরিসংখ্যান আপতত নেই এই কর্মকর্তার কাছে।
গতকাল সরজমিনে হারাগাছ পৌরসভার চুতরা টাংরির বাজার গিয়ে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে দালালহাট থেকে চতুরা গ্রামের পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে। সড়কের উপর দিয়ে বৃস্টির পানি নেমে যাওয়া কোথাও আবার বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে গর্ত স্থানে লাল নিশানা ঠাংঙ্গিয়ে যানবাহন চালকদের সাবধান করা হচ্ছে।
চুতরা টাংরির বাজার এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার ভোরে অতিমাত্রায় বৃষ্টির পানিতে চরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র পাকা সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু দুইদিন অতিবাহিত হলো এখন পর্যন্ত পৌর কর্তৃপক্ষ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় নাই। রাতের বেলায় সড়কে যানবাহন চলাচল করলে গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তিনি বলেন, শুধু এই সড়কেই নয়, পৌর শহরের একাধিক সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
মিলন বাজার এলাকার অটোচালক আব্দুর রহিম বলেন, এই রাস্তা ভাঙ্গি গেইলেও দেখার কেই নাই। গাড়ি চলাতে ভয় লাগে কখন গর্তে গাড়ি উল্টে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে হারাগাছ পৌর প্রকৌশলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার মুঠোপোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে পৌর এরশাদুল হক ঢাকায় অবস্থান করায় তার স্থানে দায়িত্বে থাকা প্যানেল মেয়র মাসুদার রহমান বলেন, ঢানা বৃষ্টিতে পৌর শহরের কত কিলোমিটার পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এর পরিসংখ্যান পৌর প্রকৌশলী বলতে পারবেন। তার কাছ থেকে জেনে তিনি জানাতে চেয়েছেন।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ২২ মে ২০২৪

কাউনিয়া ও হারাগাছে টানা বৃষ্টিতে ভেঙ্গে গেছে গ্রামীণ পাকা সড়ক

প্রকাশিত সময় :- ০৬:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

কাউনিয়া ও হারাগাছে গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের দুই পার্শ্ব ভেঙ্গে গেছে। হারাগাছ পৌর শহরের টাংরির বাজার এলাকায় সড়কের বড় বড় গর্তে লাল নিশানা ঠাংঙ্গিয়ে যানবাহন চালকদের সাবধান করা হচ্ছে। আবার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে বিভিন্ন এলাকা একাধিক সড়কের ভাঙ্গা স্থানে মাঠি বোঝাই বস্তা ফেলে চলাচলের চেষ্ঠা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাউনিয়া কার্যালয়ের উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি জানান, গত চার-পাঁচ দিন ধরে টানা বৃস্টিপাতে গুলশান মোড়-বকুলতলা, বেইলীব্রিজ-সাধু, মীরগাগ-হারাগাছ সড়ক সহ একাধিক গ্রামীণ পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে প্রায় পাকা সড়ক গুলোর বিভিন্ন স্থানে দুইপার্শ্ব ভেঙ্গে গেছে। আবার কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে পথচারী ও যানবাহন চালকদের ভোগান্তি হয়। সড়কের অনেক ভাঙ্গা স্থানে মাঠি বোঝাই বস্তা ফেলে চলাচলের উপযোগি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পাকা সড়কের বিটমিনের শত্রু হলো পানি। সড়কে পানি জমে থাকলে বিটমিন নরম হয়ে উঠে গিয়ে খানাখন্দ হয়। এছাড়া সড়কের পাশে ব্যক্তি মালিকরা অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করার কারণে ওই স্থানে সড়ক ভেঙ্গে বড় গর্ত হচ্ছে। টানা বৃষ্টি এবং অপরিকল্পিত পুকুরের কারণে বর্ষা মওসুমের শুরুতেই উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক গুলো সংস্কারে অর্থ বরাদ্দের দরকার। কিন্তু জুন ক্লোজিংয়ে বরাদ্দ পাওয়া কঠিন। এরপরও বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কত কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এর পরিসংখ্যান আপতত নেই এই কর্মকর্তার কাছে।
গতকাল সরজমিনে হারাগাছ পৌরসভার চুতরা টাংরির বাজার গিয়ে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে দালালহাট থেকে চতুরা গ্রামের পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে। সড়কের উপর দিয়ে বৃস্টির পানি নেমে যাওয়া কোথাও আবার বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে গর্ত স্থানে লাল নিশানা ঠাংঙ্গিয়ে যানবাহন চালকদের সাবধান করা হচ্ছে।
চুতরা টাংরির বাজার এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার ভোরে অতিমাত্রায় বৃষ্টির পানিতে চরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র পাকা সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু দুইদিন অতিবাহিত হলো এখন পর্যন্ত পৌর কর্তৃপক্ষ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় নাই। রাতের বেলায় সড়কে যানবাহন চলাচল করলে গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তিনি বলেন, শুধু এই সড়কেই নয়, পৌর শহরের একাধিক সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
মিলন বাজার এলাকার অটোচালক আব্দুর রহিম বলেন, এই রাস্তা ভাঙ্গি গেইলেও দেখার কেই নাই। গাড়ি চলাতে ভয় লাগে কখন গর্তে গাড়ি উল্টে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে হারাগাছ পৌর প্রকৌশলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার মুঠোপোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে পৌর এরশাদুল হক ঢাকায় অবস্থান করায় তার স্থানে দায়িত্বে থাকা প্যানেল মেয়র মাসুদার রহমান বলেন, ঢানা বৃষ্টিতে পৌর শহরের কত কিলোমিটার পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এর পরিসংখ্যান পৌর প্রকৌশলী বলতে পারবেন। তার কাছ থেকে জেনে তিনি জানাতে চেয়েছেন।

নিউজবিজয়/এফএইচএন