ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাউনিয়ায় কনের বিয়ের অনুষ্ঠানে বখাটেদের হামলা :থানায় মামলা

রংপুরের কাউনিয়ায় মেয়েকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় এবং বিয়েতে রাজি না হওয়ায় বখাটে পরিবারের লোকজন কনের বিবাহ বিদায় অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে উঠেছে। বখাটেদের হামলায় কনের পরিবারের চারজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার মধ্যরাতে কনের বাবা বাদী হয়েহারাগাছ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলার বরাত দিয়ে তদন্তকারী অফিসার ও হারাগাছ থানার উপপরিদর্শক এসআই কমল মোহন্ত জানান, স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রায়ই উত্ত্যক্তসহ প্রেম নিবেদন করত সারাই ইউনিয়নের সাবেক সদূ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এরশাদ মিয়া। বিষয়টি ছাত্রী তার পরিবারকে জানালে তারা বিষয়টি এরশাদের পরিবারকে অবগত করে। এরইমধ্যে সম্মান রক্ষার প্রায় দুই মাস আগে একই উপজেলার বেইলি ব্রিজ পূর্ব চান্দঘাট এলাকার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়। শুক্রবার কনের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাড়ির পাশে গরু জবাই করার কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে বখাটে এরশাদ ও তার সহযোগীরা এসে ঘরবাড়ি কোপানোসহ ভাঙচুর চালায়। এতে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় কনের পরিবারের মহশিন, শাহেনুর, ফুলমতি ও দুলাল মিয়া আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কনের দাদী বলেন, ছেলের মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এবং বিয়ে করতে না পেরে প্রভাবশালী রাজ্জাক মেম্বারের বখাটে ছেলে তাকে অপহরণের উদ্দেশ্যে বাড়িতে এসেছিল। বাধা দিলে তারা ছোরা রামদা লাঠি দিয়ে অনুষ্ঠানে ভাংচুর করে হামলা চালায়।
কনের বাবা বলেন, মেয়েকে ওই বখাটে ছেলের সাথে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় তারা বিয়ের অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্য আমাদের উপর হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠানের জিনিস পত্র ভাংচুর করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এদিকে এরশাদের পিতা আব্দুর রাজ্জাক মেম্বার বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে তার ছেলেকে ওই মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব নিয়ে নায়রা এলাকায় কনের মামার বাড়ির এলাকায় যায়। এসময় কনের মামারা আমার ছেলেকে আটক করে মারপিট করেছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠানে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।
সারাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা কনের পরিবারের লোকজন তাকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কাজটি ঠিক করে নাই। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তিনি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হাড়গাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রেজাউল করিম বলেন, কনের বিদায় অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে শুক্রবার মধ্যরাতে কনের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

রাজধানীতে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের বগি বিচ্ছিন্ন

কাউনিয়ায় কনের বিয়ের অনুষ্ঠানে বখাটেদের হামলা :থানায় মামলা

প্রকাশিত সময় :- ০৬:০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

রংপুরের কাউনিয়ায় মেয়েকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় এবং বিয়েতে রাজি না হওয়ায় বখাটে পরিবারের লোকজন কনের বিবাহ বিদায় অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে উঠেছে। বখাটেদের হামলায় কনের পরিবারের চারজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার মধ্যরাতে কনের বাবা বাদী হয়েহারাগাছ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলার বরাত দিয়ে তদন্তকারী অফিসার ও হারাগাছ থানার উপপরিদর্শক এসআই কমল মোহন্ত জানান, স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রায়ই উত্ত্যক্তসহ প্রেম নিবেদন করত সারাই ইউনিয়নের সাবেক সদূ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এরশাদ মিয়া। বিষয়টি ছাত্রী তার পরিবারকে জানালে তারা বিষয়টি এরশাদের পরিবারকে অবগত করে। এরইমধ্যে সম্মান রক্ষার প্রায় দুই মাস আগে একই উপজেলার বেইলি ব্রিজ পূর্ব চান্দঘাট এলাকার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়। শুক্রবার কনের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাড়ির পাশে গরু জবাই করার কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে বখাটে এরশাদ ও তার সহযোগীরা এসে ঘরবাড়ি কোপানোসহ ভাঙচুর চালায়। এতে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় কনের পরিবারের মহশিন, শাহেনুর, ফুলমতি ও দুলাল মিয়া আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কনের দাদী বলেন, ছেলের মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এবং বিয়ে করতে না পেরে প্রভাবশালী রাজ্জাক মেম্বারের বখাটে ছেলে তাকে অপহরণের উদ্দেশ্যে বাড়িতে এসেছিল। বাধা দিলে তারা ছোরা রামদা লাঠি দিয়ে অনুষ্ঠানে ভাংচুর করে হামলা চালায়।
কনের বাবা বলেন, মেয়েকে ওই বখাটে ছেলের সাথে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় তারা বিয়ের অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্য আমাদের উপর হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠানের জিনিস পত্র ভাংচুর করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এদিকে এরশাদের পিতা আব্দুর রাজ্জাক মেম্বার বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে তার ছেলেকে ওই মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব নিয়ে নায়রা এলাকায় কনের মামার বাড়ির এলাকায় যায়। এসময় কনের মামারা আমার ছেলেকে আটক করে মারপিট করেছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠানে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।
সারাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা কনের পরিবারের লোকজন তাকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কাজটি ঠিক করে নাই। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তিনি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হাড়গাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রেজাউল করিম বলেন, কনের বিদায় অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে শুক্রবার মধ্যরাতে কনের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন