ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার নতুন ধরন শনাক্ত, বাড়ছে উদ্বেগ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময় :- ১০:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৩
  • ৩৬২ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। ভাইরাসটির নতুন ধরন শনাক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ডেনমার্কে এই নতুন ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এর প্রভাব সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছুই জানায়নি ডব্লিউএইচও।

জানা গেছে, করোনার নুতন এই ধরনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আলাদাভাবে নজরদারিতে রেখেছে। পাশাপাশি ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) ভ্যারিয়েন্টটিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার কথা নিশ্চিত করেছে।
তবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের একাধিক অভিযোজন বা মিউটেশন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই ভ্যারিয়েন্টটির নাম ‘বিএ.২.৮৬’। গত কয়েক মাসে আমেরিকা এবং চিনে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল। তারপরেই কোন ভ্যারিয়েন্ট থেকে এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেই গবেষণার পরেই নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম প্রকাশ্যে আসে। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন গত ভ্যারিয়েন্টগুলোর থেকে এই ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি সংক্রমক।

জানা গিয়েছে, গত ২৪ জুলাই প্রথমবার ‘বিএ.২.৮৬’ স্ট্রেইনের খোঁজ মেলে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ‘ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং’-র তালিকাভুক্ত করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ‘বিএ.২.৮৬’ ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। ভ্য়ারিয়েন্টটি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য় জানা না গেলেও, এর একাধিক মিউটেশন উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ডাব্লিউএইচও বলেছে, এই ভ্যারিয়েন্টটি সম্পর্কে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট, নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে।

ডাব্লিউএইচও বলেছে, নতুন এই ধরনের মাত্র চারটি পরিচিত ধাপ রয়েছে। বাকি সবকিছু এখনো অজানা। তাই অতি সতর্কতার সঙ্গে এর ওপর গবেষণা করা হচ্ছে। সংস্থাটি সব মিলিয়ে ১০টির বেশি নতুন ধরন এবং তাদের বংশধরদের ওপর নজর রাখছে। গবেষকদের আশঙ্কা, এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, এমনকী করোনার নতুন ঢেউও আছড়ে পড়তে পারে।

তবে করোনার সংক্রমণ কমে আসায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এ সংক্রান্ত বাড়তি সতর্কতা থেকে সরে এসেছে। এখন আর অতটা প্রাণঘাতি না থাকায় করোনা সংক্রান্ত কোনো বিধিনিষেধই বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে পালন করা হচ্ছে না। কিন্তু ডব্লিউএইচও এ ধরনের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে সতর্কতার সহিত পর্যবেক্ষণে রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৬ জনের। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৫ হাজার ১৩২ জনে।
সূত্র: এএফপি, ওয়ান ইন্ডিয়া

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

করোনার নতুন ধরন শনাক্ত, বাড়ছে উদ্বেগ

প্রকাশিত সময় :- ১০:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৩

আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। ভাইরাসটির নতুন ধরন শনাক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ডেনমার্কে এই নতুন ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এর প্রভাব সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছুই জানায়নি ডব্লিউএইচও।

জানা গেছে, করোনার নুতন এই ধরনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আলাদাভাবে নজরদারিতে রেখেছে। পাশাপাশি ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) ভ্যারিয়েন্টটিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার কথা নিশ্চিত করেছে।
তবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের একাধিক অভিযোজন বা মিউটেশন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই ভ্যারিয়েন্টটির নাম ‘বিএ.২.৮৬’। গত কয়েক মাসে আমেরিকা এবং চিনে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল। তারপরেই কোন ভ্যারিয়েন্ট থেকে এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেই গবেষণার পরেই নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম প্রকাশ্যে আসে। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন গত ভ্যারিয়েন্টগুলোর থেকে এই ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি সংক্রমক।

জানা গিয়েছে, গত ২৪ জুলাই প্রথমবার ‘বিএ.২.৮৬’ স্ট্রেইনের খোঁজ মেলে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ‘ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং’-র তালিকাভুক্ত করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ‘বিএ.২.৮৬’ ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। ভ্য়ারিয়েন্টটি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য় জানা না গেলেও, এর একাধিক মিউটেশন উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ডাব্লিউএইচও বলেছে, এই ভ্যারিয়েন্টটি সম্পর্কে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট, নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে।

ডাব্লিউএইচও বলেছে, নতুন এই ধরনের মাত্র চারটি পরিচিত ধাপ রয়েছে। বাকি সবকিছু এখনো অজানা। তাই অতি সতর্কতার সঙ্গে এর ওপর গবেষণা করা হচ্ছে। সংস্থাটি সব মিলিয়ে ১০টির বেশি নতুন ধরন এবং তাদের বংশধরদের ওপর নজর রাখছে। গবেষকদের আশঙ্কা, এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, এমনকী করোনার নতুন ঢেউও আছড়ে পড়তে পারে।

তবে করোনার সংক্রমণ কমে আসায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এ সংক্রান্ত বাড়তি সতর্কতা থেকে সরে এসেছে। এখন আর অতটা প্রাণঘাতি না থাকায় করোনা সংক্রান্ত কোনো বিধিনিষেধই বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে পালন করা হচ্ছে না। কিন্তু ডব্লিউএইচও এ ধরনের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে সতর্কতার সহিত পর্যবেক্ষণে রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৬ জনের। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৫ হাজার ১৩২ জনে।
সূত্র: এএফপি, ওয়ান ইন্ডিয়া