জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার প্রধান আসামি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। পাশাপাশি তাকে চূড়ান্তভাবে কেন অপসারণ করা হবে না, তার কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হেমায়েত আকবর টিপুর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ৪নং সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলা হয়, ওই বর্বর হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তাকে চূড়ান্তভাবে কেন অপসারণ করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নথিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম রোববার স্বাক্ষর করেন।
গত ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় ১০-১২ জন সন্ত্রাসী সাংবাদিক নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় ১৫ জুন সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সাংবাদিক নাদিম নিহত হওয়ার পর থেকে বাবু পলাতক ছিলেন। তবে ১৭ জুন সকাল ৭টার দিকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত রোববার দুপুরে বাবুসহ আসামিদের আদালতে তোলা হলে বিচারক বাবুকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান। অন্য আসামিদেরও বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।