ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায়

ইউপি সদস্যের ফেন্সিডিলসহ যুবক গ্রেপ্তার

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ সুদান চন্দ্র রায়(৩২) নামের এক যুবককে আটক করেছে বিজিবি। এ সময় একটি আরটিআর টিভিএস এ্যাপাসি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত ওই ফেন্সিডিল গুলো ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য সুজনের বলে জানান সুদান চন্দ্র।

এ ঘটনায় আটককৃত সুদন, ইউপি সদস্য সুজন ও লিমনসহ তিনজনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বিজিবি।

মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) দুপুরে আটকৃতকে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন বিজিবি।
এর আগে গত সোমবার রাতে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের জাওরানী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটকে জাওরানী বিজিবি ক্যাম্পের টহলদল।

আটককৃত সুদান চন্দ্র রায়, পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার লতাবর এলাকার মৃত পেড্ডু বর্মনের ছেলে। এই মামলার অপর দুইজন অভিযুক্ত হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য সুজন ও কালীগঞ্জ উপজেলার লতাবর এলাকার রশীদ মিয়ার ছেলে লিমন(২৭)।

জানা গেছে, গত সোমবার রাতে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের জাওরানী বাজার এলাকা থেকে ৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ সুদান চন্দ্রকে আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু তার সাথে থাকা অপর ব্যাক্তি লিমন পালিয়ে যায়।

এ সময় সুদান চন্দ্র উপস্থিত স্থানীয় লোকজন, বিজিবি ও ইউপি চেয়ারম্যানকে জানায়, ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য সুজন তাকে ওই ফেন্সিডিল গুলো দেয়। আমি ও পলাতক লিমনসহ মোটরসাইকেল যোগে করে ফেন্সিডিলগুলো চাপারহাট নিয়ে যাচ্ছিলাম।

এ দিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মাদক, চোরাচালান, গরু, নারী শিশু পাচারসহ সীমান্তে এমন কোন অপরাধ নেই যে এই সুজন মেম্বর করে না। সীমান্তে তার ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। তাদের মাধ্যমে এই মেম্বর সব ধরণের অপকর্ম করে থাকে।

এ বিষয়ে ভেলাগুড়ি ইউপি’র ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য সুজন বলেন, সুদান যেটা বলেছে সেটা মিথ্যা। আমাকে এখানে শুধু শুধু জড়ানো হচ্ছে। আমার নামে আগে দুইটা মাদক মামলা ছিলো। তবে মেম্বার হওয়ার পর আমার নামে কোন মামলা হয়নি।

এ বিষয়ে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, আটককৃত সুদানের সাথে কথা বলে জানতে পারি উদ্ধারকৃত মাদকগুলো সুজন মেম্বারের। সে একজন মাদক ব্যবসায়ী। এরআগেও তার নামে থানায় মাদক মামলাও রয়েছে। মাদকের সাথে জড়িতদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, ৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটককৃত সুদান চন্দ্রকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বিজিবি। এছাড়া এ ঘটনায় আটককৃত সুদান, সুজন ও লিমনসহ তিনজনের নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বিজিবি। আগামীকাল বুধবার সকালে আটককৃতকে লালমনিরহাট আদালতে তোলা হবে। আর পালাতক আসামীদেও গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন>>স্বামীর বয়স নিয়ে কথা উঠবে আগেই জানতাম: পূর্ণিমা 

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সর্বশেষ যে তথ্য দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায়

ইউপি সদস্যের ফেন্সিডিলসহ যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত সময় :- ০৮:৩০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ সুদান চন্দ্র রায়(৩২) নামের এক যুবককে আটক করেছে বিজিবি। এ সময় একটি আরটিআর টিভিএস এ্যাপাসি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত ওই ফেন্সিডিল গুলো ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য সুজনের বলে জানান সুদান চন্দ্র।

এ ঘটনায় আটককৃত সুদন, ইউপি সদস্য সুজন ও লিমনসহ তিনজনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বিজিবি।

মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) দুপুরে আটকৃতকে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন বিজিবি।
এর আগে গত সোমবার রাতে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের জাওরানী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটকে জাওরানী বিজিবি ক্যাম্পের টহলদল।

আটককৃত সুদান চন্দ্র রায়, পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার লতাবর এলাকার মৃত পেড্ডু বর্মনের ছেলে। এই মামলার অপর দুইজন অভিযুক্ত হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য সুজন ও কালীগঞ্জ উপজেলার লতাবর এলাকার রশীদ মিয়ার ছেলে লিমন(২৭)।

জানা গেছে, গত সোমবার রাতে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের জাওরানী বাজার এলাকা থেকে ৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ সুদান চন্দ্রকে আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু তার সাথে থাকা অপর ব্যাক্তি লিমন পালিয়ে যায়।

এ সময় সুদান চন্দ্র উপস্থিত স্থানীয় লোকজন, বিজিবি ও ইউপি চেয়ারম্যানকে জানায়, ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য সুজন তাকে ওই ফেন্সিডিল গুলো দেয়। আমি ও পলাতক লিমনসহ মোটরসাইকেল যোগে করে ফেন্সিডিলগুলো চাপারহাট নিয়ে যাচ্ছিলাম।

এ দিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মাদক, চোরাচালান, গরু, নারী শিশু পাচারসহ সীমান্তে এমন কোন অপরাধ নেই যে এই সুজন মেম্বর করে না। সীমান্তে তার ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। তাদের মাধ্যমে এই মেম্বর সব ধরণের অপকর্ম করে থাকে।

এ বিষয়ে ভেলাগুড়ি ইউপি’র ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য সুজন বলেন, সুদান যেটা বলেছে সেটা মিথ্যা। আমাকে এখানে শুধু শুধু জড়ানো হচ্ছে। আমার নামে আগে দুইটা মাদক মামলা ছিলো। তবে মেম্বার হওয়ার পর আমার নামে কোন মামলা হয়নি।

এ বিষয়ে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, আটককৃত সুদানের সাথে কথা বলে জানতে পারি উদ্ধারকৃত মাদকগুলো সুজন মেম্বারের। সে একজন মাদক ব্যবসায়ী। এরআগেও তার নামে থানায় মাদক মামলাও রয়েছে। মাদকের সাথে জড়িতদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, ৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটককৃত সুদান চন্দ্রকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বিজিবি। এছাড়া এ ঘটনায় আটককৃত সুদান, সুজন ও লিমনসহ তিনজনের নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বিজিবি। আগামীকাল বুধবার সকালে আটককৃতকে লালমনিরহাট আদালতে তোলা হবে। আর পালাতক আসামীদেও গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন>>স্বামীর বয়স নিয়ে কথা উঠবে আগেই জানতাম: পূর্ণিমা 

নিউজবিজয়/এফএইচএন