ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ফাটল, ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে ঘর ছাড়া বাসিন্দা

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ফাটল! যে কোন সময় ধসে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এই ভয়ে মুজিব বর্ষের দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকে না হতদরিদ্র কয়েকটি পরিবার। সরকারি ঘর পেয়েও আজ তারা ঘর ছাড়া বাসিন্দা। ফলে সরকারের ভালো উদ্যোগ আজ ম্লান হবার পথে।
আর এ ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পে। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে মাথা গোজার ঠাই হলেও ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে থাকতে পারছেনা গৃহহীন অনেক পরিবার। ঘর তৈরির দুই বছর যেতে না যেতেই ঘরের দেয়ালে ও ঘরের মেঝের ফাটল দেখা দিয়েছে। অনেকে উপায়ন্ত না পেয়ে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরগুলোতে বসবাস করছে। যে কোন সময় ধসে যেতে পারে, ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। প্রশাসনের তদারকির অভাবে নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে দাবী করছেন ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর। এ ছাড়াও টিউবওয়েল দেয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত অনেক পরিবারই টিউবয়েল পায়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেয়া উপহার হিসাবে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ পারুলীয়ায় ২১টি ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দুই বছর যেতে না যেতেই কয়কটি ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। লিন্টন ছাড়া ঘর নির্মাণে ধসে পড়ার ভয়ে বসবাস বন্ধ করে দিয়েছেন ভুক্তভোগী অনেক পরিবার। এতে করে গৃহহীন পরিবার গুলো অনত্রে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে বসবাস করছে।
মুজিব বর্ষে হাতীবান্ধা উপজেলা ১১’শ ৬৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়। আর এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্রতি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় এক লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। এতো টাকা বরাদ্দ দেয়ার পরেও দুই বছর না যেতেই ঘরের দেয়াল ও মেঝেতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ধসে যেতে পারে যেকোন সময়। অসহায় পরিবার গুলো ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নূর মহাম্মদ মহাম্মদ বলেন, মুই ভূমিহীন গরিব মানুষ। সে জন্যে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দিছে। সেই ঘর এক বছর নাই যাইতে দেয়ালে ফাটল ধরছে। ভাঙ্গি পড়ার ভয়ে ঘরত থাকির ভয় নাগে। সে জন্য ঘরত থাকংনা। মাইনসের জমিত কোন মতে কষ্ট করি আচুং। সরকার যদি মোর ঘরটা একনা ঠিক করি দেয় তাইলে ঘরত থাকির পানুং হয়।
এ বিষয়ে আর এক ভুক্তভোগী আব্দুল করিম বলেন, দুই বছর যেতে না যেতে ঘরের দেয়াল, মেঝে ও বারান্দায় ফাটল ধরছে। যে কোন সময় দেয়াল ধসে পরতে পারে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ভয়ে ভয়ে বসবাস করছি। এ জন্য অনেকে মানুষের জমিতে থাকছে। সরকারের কাছে ঘর গুলো মেরামত করার অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের তদারকির অভাবে নিম্নমানের কাজ হয়েছে। এ কারনে দুই বছর যেতে না যেতে ঘর গুলোতে ফাটল ধরেছে। যে কোন সময় ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। অসহয় মানুষ গুলো ভয়ে থাকতেছে না ঘর গুলোতে। তাই সরকারের কাছে আবেদন ঘর গুলো মেরামত করে বসবাসের উপযোগী করার।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি এ উপজেলায় আসার আগে মুজিব বষের্র ওই ঘর গুলো নির্মাণ হয়েছিলো। খুব দ্রুত ঘর গুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, আমি এ উপজেলায় আসার আগে ওই ঘর গুলো নির্মাণ হয়। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জেনেছি। আজকেই পরিদর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ কারা হবে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

রাতেই যেসব অভিযোগে মামলা হচ্ছে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ফাটল, ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে ঘর ছাড়া বাসিন্দা

প্রকাশিত সময় :- ০৬:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ফাটল! যে কোন সময় ধসে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এই ভয়ে মুজিব বর্ষের দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকে না হতদরিদ্র কয়েকটি পরিবার। সরকারি ঘর পেয়েও আজ তারা ঘর ছাড়া বাসিন্দা। ফলে সরকারের ভালো উদ্যোগ আজ ম্লান হবার পথে।
আর এ ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পে। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে মাথা গোজার ঠাই হলেও ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে থাকতে পারছেনা গৃহহীন অনেক পরিবার। ঘর তৈরির দুই বছর যেতে না যেতেই ঘরের দেয়ালে ও ঘরের মেঝের ফাটল দেখা দিয়েছে। অনেকে উপায়ন্ত না পেয়ে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরগুলোতে বসবাস করছে। যে কোন সময় ধসে যেতে পারে, ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। প্রশাসনের তদারকির অভাবে নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে দাবী করছেন ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর। এ ছাড়াও টিউবওয়েল দেয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত অনেক পরিবারই টিউবয়েল পায়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেয়া উপহার হিসাবে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ পারুলীয়ায় ২১টি ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দুই বছর যেতে না যেতেই কয়কটি ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। লিন্টন ছাড়া ঘর নির্মাণে ধসে পড়ার ভয়ে বসবাস বন্ধ করে দিয়েছেন ভুক্তভোগী অনেক পরিবার। এতে করে গৃহহীন পরিবার গুলো অনত্রে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে বসবাস করছে।
মুজিব বর্ষে হাতীবান্ধা উপজেলা ১১’শ ৬৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়। আর এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্রতি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় এক লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। এতো টাকা বরাদ্দ দেয়ার পরেও দুই বছর না যেতেই ঘরের দেয়াল ও মেঝেতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ধসে যেতে পারে যেকোন সময়। অসহায় পরিবার গুলো ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নূর মহাম্মদ মহাম্মদ বলেন, মুই ভূমিহীন গরিব মানুষ। সে জন্যে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দিছে। সেই ঘর এক বছর নাই যাইতে দেয়ালে ফাটল ধরছে। ভাঙ্গি পড়ার ভয়ে ঘরত থাকির ভয় নাগে। সে জন্য ঘরত থাকংনা। মাইনসের জমিত কোন মতে কষ্ট করি আচুং। সরকার যদি মোর ঘরটা একনা ঠিক করি দেয় তাইলে ঘরত থাকির পানুং হয়।
এ বিষয়ে আর এক ভুক্তভোগী আব্দুল করিম বলেন, দুই বছর যেতে না যেতে ঘরের দেয়াল, মেঝে ও বারান্দায় ফাটল ধরছে। যে কোন সময় দেয়াল ধসে পরতে পারে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ভয়ে ভয়ে বসবাস করছি। এ জন্য অনেকে মানুষের জমিতে থাকছে। সরকারের কাছে ঘর গুলো মেরামত করার অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের তদারকির অভাবে নিম্নমানের কাজ হয়েছে। এ কারনে দুই বছর যেতে না যেতে ঘর গুলোতে ফাটল ধরেছে। যে কোন সময় ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। অসহয় মানুষ গুলো ভয়ে থাকতেছে না ঘর গুলোতে। তাই সরকারের কাছে আবেদন ঘর গুলো মেরামত করে বসবাসের উপযোগী করার।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি এ উপজেলায় আসার আগে মুজিব বষের্র ওই ঘর গুলো নির্মাণ হয়েছিলো। খুব দ্রুত ঘর গুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, আমি এ উপজেলায় আসার আগে ওই ঘর গুলো নির্মাণ হয়। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জেনেছি। আজকেই পরিদর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ কারা হবে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন