ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহবাজ শরিফ

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১০:০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৩০১ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

নানা নাটকীয়তা ও দেন-দরবারের পর অবশেষে পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠনের জটিলতা কাটছে। পিএমএল-এন ও পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) কয়েকটি দল মিলে জোট করে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নওয়াজ শরিক কিংবা বিলওয়াল ভুট্টো কেউই প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে আবারও ফিরছেন নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইসলামাবাদে দলগুলোর নেতাদের বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি নতুন জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। এ সময় শাহবাজ শরিফও একই কথা বলেন।

এত দিন পিএমএল-এন থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে নওয়াজ শরিফের কথা বলা হচ্ছিল। গতকাল রাতে হঠাৎ করে নওয়াজ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ছোট ভাই শাহবাজকে মনোনীত করার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের নাম ঘোষণা করেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৬৫ আসনে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩৪ আসনের। কিন্তু কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের ফলাফল অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০২ আসন, যাদের মধ্যে অধিকাংশ (৯২ আসন) দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত। আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) পেয়েছে ৭৩ আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪ আসন।

কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসে রাজনৈতিক দলগুলো। গত রোববার লাহোরে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বাসায় দুই দলের নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দুই দল জানায়, পাকিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ঐকমত্যে পৌঁছেছে তারা। তবে জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে চলছিল আলোচনা। পিপিপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে বিলাওয়ালকে চাওয়া হচ্ছিল।

শেষ পর্যন্ত বিলওয়াল ভুট্টো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ্রহ থেকে সরে দাঁড়ান। ধারণা করা হচ্ছিল, নওয়াজ শরিফই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে শেষ পর্যন্ত চমক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পদে পুনরায় শাহবাজ শরিফকেই মনোনীত করলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।

দুই বছর আগে ইমরান খান সরকারকে উৎখাত করে পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠন করেছিল। গত আগস্ট মাস পর্যন্ত তারা সরকার পরিচালনা করেন। অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তানের ক্ষমতায় আবার ফিরছেন সেই শাহবাজ শরিফই।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

পাওয়া গেছে ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার

আবারও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহবাজ শরিফ

প্রকাশিত সময় :- ১০:০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নানা নাটকীয়তা ও দেন-দরবারের পর অবশেষে পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠনের জটিলতা কাটছে। পিএমএল-এন ও পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) কয়েকটি দল মিলে জোট করে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নওয়াজ শরিক কিংবা বিলওয়াল ভুট্টো কেউই প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে আবারও ফিরছেন নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইসলামাবাদে দলগুলোর নেতাদের বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি নতুন জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। এ সময় শাহবাজ শরিফও একই কথা বলেন।

এত দিন পিএমএল-এন থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে নওয়াজ শরিফের কথা বলা হচ্ছিল। গতকাল রাতে হঠাৎ করে নওয়াজ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ছোট ভাই শাহবাজকে মনোনীত করার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের নাম ঘোষণা করেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৬৫ আসনে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩৪ আসনের। কিন্তু কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের ফলাফল অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০২ আসন, যাদের মধ্যে অধিকাংশ (৯২ আসন) দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত। আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) পেয়েছে ৭৩ আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪ আসন।

কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসে রাজনৈতিক দলগুলো। গত রোববার লাহোরে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বাসায় দুই দলের নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দুই দল জানায়, পাকিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ঐকমত্যে পৌঁছেছে তারা। তবে জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে চলছিল আলোচনা। পিপিপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে বিলাওয়ালকে চাওয়া হচ্ছিল।

শেষ পর্যন্ত বিলওয়াল ভুট্টো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ্রহ থেকে সরে দাঁড়ান। ধারণা করা হচ্ছিল, নওয়াজ শরিফই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে শেষ পর্যন্ত চমক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পদে পুনরায় শাহবাজ শরিফকেই মনোনীত করলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।

দুই বছর আগে ইমরান খান সরকারকে উৎখাত করে পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠন করেছিল। গত আগস্ট মাস পর্যন্ত তারা সরকার পরিচালনা করেন। অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তানের ক্ষমতায় আবার ফিরছেন সেই শাহবাজ শরিফই।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন