ফাঁসির আর মাত্র বাকি কয়েক ঘণ্টা। মহিউদ্দিনের লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা। এদিকে গ্রামের বাড়ির মসজিদের সামনে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশেই দাফনের জন্য নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। অধ্যাপক তাহের হত্যার ৪ নম্বর আসামি ডক্টর মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ফাঁসির খবরে গ্রামবাসী যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে।
মহিউদ্দিনের ছোট ভাই আরজু মিয়া বলেন, ‘আমরা আওয়ামী পরিবারের সন্তান, আমার ভাই ৪ নম্বর আসামি ছিলেন ১ নম্বর ও ২ নম্বর তারা খালাস পেল অথচ আমার ভাইয়ের ফাঁসি বহাল থাকলো। আমার ভাই নির্দোষ ছিল বিধায় মামলা সম্পর্কে কোনো গুরুত্ব দিই নাই। আমার ভাই ভেবেছিল অন্যায় করি নাই ইনশাআল্লাহ খালাস পাবো। আমার ভাই রোষানলে পড়ে ফাঁসি হলো। আমার ভাইয়ের বিচার পরকালে পাবো।
তিনি আরও বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের একটা চিঠি দিয়েছে সেই চিঠি বাড়ি নিয়ে খুলতে বলেছিলেন, আমরা গাড়ির মধ্যেই চিঠি খুলে দেখেছি, ভেতর লেখা রয়েছে ২৭-৭-২০২৩ বৃহস্পতিবার রাত ১০টা এক মিনিটে ফাঁসি কার্যকর হবে। আমরা লাশ অ্যাম্বুলেন্সে পাঠিয়ে দিব, আপনারা শুধু অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া দিয়ে দিয়েন।
স্বজনরা আরও জানান, জানাজা বাড়ির মসজিদে এবং জুমার নামাজের আগেই দেওয়ার সময় নির্ধারণ করেন।
এ বিষয়ে মহিউদ্দিনের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।