ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময় :- ১২:৪৫:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৩৮৩ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়। অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

বুধবার পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান থেকে কলকাতায় ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, কলকাতায় ফিরে সন্ধ্যায় রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে দুর্ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, আমরা জানি না ঠিক (কীভাবে হলো)। ঠিকভাবে গাড়িটা দেখতে পারিনি। আমরা বেরোচ্ছিলাম। ধরো, একটা গলি থেকে বেরোচ্ছি। ধরো ওই গাড়িটা প্রায় ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার স্পিডে আসছিল। গাড়িটা আমায় প্রায় ড্যাশ করে দিত। পুরো মরেই যেতাম ওখানে। আমার যে ড্রাইভার ছিল, ও সঙ্গে-সঙ্গে ব্রেকটা কষেছিল। বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ও ব্রেকটা কষেছিল।

মমতা আরও বলেন, ব্রেকটা যখন কষেছে, তখন ড্যাশবোর্ডটা এসে আমার মাথায় লেগেছে। তখন একটা কনকাশন হয়েছে। কিছুটা রক্তও ঝরেছে। কিছুটা ফুলেও আছে। এখন যেমন পুরো মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে। তাই নিয়েই আমি কাজ করে গেলাম। এখন কথা হচ্ছে যে….। আমার গাড়ির কাঁচটা খোলা ছিল। কারণ আমি মানুষের সঙ্গে দেখা করতে-করতে আসি। কাঁচটা যদি বন্ধ থাকত, তাহলে কাঁচটা-সহ পুরো ড্যাশবোর্ডটা আমার শরীরে আছড়ে পড়ত। গাড়িটা চুরমার হয়ে যেত। ওই ব্রেকটা কষেছিল বলে বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বলতে পার যে মানুষের আশীর্বাদে বেঁচে গিয়েছি। এখন আমার মাথাটা ভীষণ টনটন করছে। ভীষণ যন্ত্রণা করছে। আমি ওষুধ খেয়েছি। কিন্তু আমার খুব ঠান্ডা লাগছে। গা বমিবমি করছে।

এ ঘটনায় পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না, কার গাড়ি, সেটা চিহ্নিত করা গেছে কি না- জানতে চাইলে মমতা বলেন, দেখ, অনেক সময় অন্যের গাড়ি করে অনেকে অপব্যবহার করে। তোমরা তো দেখেছ, বিএসএফের ড্রেস পরে আমার বাড়িতে চলে গিয়েছিল। আমার মনে হয় যে এটা তদন্ত করে দেখুক পুলিশ। নিজের পথে হাঁটবে আইন। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমি এখনই কোনো কথা বলব না।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়

প্রকাশিত সময় :- ১২:৪৫:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়। অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

বুধবার পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান থেকে কলকাতায় ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, কলকাতায় ফিরে সন্ধ্যায় রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে দুর্ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, আমরা জানি না ঠিক (কীভাবে হলো)। ঠিকভাবে গাড়িটা দেখতে পারিনি। আমরা বেরোচ্ছিলাম। ধরো, একটা গলি থেকে বেরোচ্ছি। ধরো ওই গাড়িটা প্রায় ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার স্পিডে আসছিল। গাড়িটা আমায় প্রায় ড্যাশ করে দিত। পুরো মরেই যেতাম ওখানে। আমার যে ড্রাইভার ছিল, ও সঙ্গে-সঙ্গে ব্রেকটা কষেছিল। বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ও ব্রেকটা কষেছিল।

মমতা আরও বলেন, ব্রেকটা যখন কষেছে, তখন ড্যাশবোর্ডটা এসে আমার মাথায় লেগেছে। তখন একটা কনকাশন হয়েছে। কিছুটা রক্তও ঝরেছে। কিছুটা ফুলেও আছে। এখন যেমন পুরো মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে। তাই নিয়েই আমি কাজ করে গেলাম। এখন কথা হচ্ছে যে….। আমার গাড়ির কাঁচটা খোলা ছিল। কারণ আমি মানুষের সঙ্গে দেখা করতে-করতে আসি। কাঁচটা যদি বন্ধ থাকত, তাহলে কাঁচটা-সহ পুরো ড্যাশবোর্ডটা আমার শরীরে আছড়ে পড়ত। গাড়িটা চুরমার হয়ে যেত। ওই ব্রেকটা কষেছিল বলে বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বলতে পার যে মানুষের আশীর্বাদে বেঁচে গিয়েছি। এখন আমার মাথাটা ভীষণ টনটন করছে। ভীষণ যন্ত্রণা করছে। আমি ওষুধ খেয়েছি। কিন্তু আমার খুব ঠান্ডা লাগছে। গা বমিবমি করছে।

এ ঘটনায় পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না, কার গাড়ি, সেটা চিহ্নিত করা গেছে কি না- জানতে চাইলে মমতা বলেন, দেখ, অনেক সময় অন্যের গাড়ি করে অনেকে অপব্যবহার করে। তোমরা তো দেখেছ, বিএসএফের ড্রেস পরে আমার বাড়িতে চলে গিয়েছিল। আমার মনে হয় যে এটা তদন্ত করে দেখুক পুলিশ। নিজের পথে হাঁটবে আইন। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমি এখনই কোনো কথা বলব না।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন