ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পীরগাছায়

অনৈতিক সম্পর্ক থেকে ফেরাতে না পেরে মেয়েকে হত্যা করে পিতা: আদালতে স্বীকারোক্তি, বাদি হয়ে গেলো আসামী

পীরগাছায় গলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার মামলার বাদি হয়ে গেলো আসামী। মেয়ের উৎশৃংঙ্খল জীবন যাপন ও অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে ফেরাতে না পেরেই নিজ হাতে গলা টিপে হত্যা করেন পিতা রফিকুল ইসলাম। ঘটনার ৭ দিনের মাথায় চাঞ্চল্যকর এ মামলার মুল রহস্য উদঘাটন করেছে পীরগাছা থানা পুলিশ ও রংপুর সিআইডি কর্মকর্তারা। সোমবার রাতে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে হত্যাকারী পিতা রফিকুল ইসলাম।মঙ্গলবার সকালে এসব তথ্য জানান পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান।
মঙ্গলবার ওসি মাসুমুর রহমান জানান, উপজেলার অনন্তরাম বড়বাড়ি এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে লিপি বেগম (৩০) দীর্ঘ দিন থেকে পতিতাবৃত্তি, মাদকদ্রব্য গ্রহন ও উৎশৃংঙ্খল জীবন যাপন করে আসছিলো। তার নামে থানা পুলিশের নিকট বেশ কয়েক বার অভিযোগ করে এলাকাবাসী। স্বামী না থাকলেও সম্প্রতি লিপি বেগম ৬ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। এতে করে তার পরিবার চরম বেকায়দায় পড়ে। এ নিয়ে গত ২২ জুলাই রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে লিপি বেগমের পিতা রফিকুল ইসলাম নানা বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে গলা টিপে ও বালিশ চাপা দিয়ে লিপি বেগমকে হত্যা করে। পরে মরদেহ বাড়ির পাশে গর্ত করে পুতে রাখলেও গর্ন্ধ ছড়ানোর ভয়ে দুদিন পর আবার তুলে বাড়ি থেকে ৮শ গজ দুরে একটি জমির বৈদ্যুতিক পোলের গোড়ায় গর্ত করে পুতে রাখেন। পরদিন গত ২৫ জুলাই সকাল জমি সমান করতে গিয়ে কোদালে মরদেহের পা বাঁধলে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। পরে থানা পুলিশ ও রংপুর সিআইডি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে লিপি বেগমের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় লিপি বেগমের পিতা রফিকুল ইসলাম মেয়ে নিখোঁজ ছিল বলে জানান এবং তাকে সনাক্ত করে অজ্ঞাত নামা আসামি দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রংপুরের সহকারি পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আশরাফুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রংপুর সিআইডি ও পীরগাছা থানা পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে মাত্র ৭ দিনের মধ্যে ক্লু বিহীন এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেন এবং ঘাতক পিতা রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রফিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে তার বাড়ি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করেন পুলিশ। গত সোমবার বিকেলে কন্যা হত্যাকারী রফিকুল ইসলামকে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তোলা হলে ম্যাজিষ্ট্রট আবু হেনা সিদ্দিকীর নিকট ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর শুকুর আলী নিউজবিজয়কে বলেন, হত্যার পর স্বাভাবিক ছিল রফিকুল ইসলাম। আমরা তাকে সন্দেহ করেই তদন্ত কাজ এগিয়ে নেই। অবশেষে তিনি মেয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তিনি একাই হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য মাটির নিচে পুতে রাখেন বলে স্বীকার করেছেন।

আরো পড়ুন>>স্বামীর বয়স নিয়ে কথা উঠবে আগেই জানতাম: পূর্ণিমা 

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ১৪ মে ২০২৪

পীরগাছায়

অনৈতিক সম্পর্ক থেকে ফেরাতে না পেরে মেয়েকে হত্যা করে পিতা: আদালতে স্বীকারোক্তি, বাদি হয়ে গেলো আসামী

প্রকাশিত সময় :- ০১:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২

পীরগাছায় গলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার মামলার বাদি হয়ে গেলো আসামী। মেয়ের উৎশৃংঙ্খল জীবন যাপন ও অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে ফেরাতে না পেরেই নিজ হাতে গলা টিপে হত্যা করেন পিতা রফিকুল ইসলাম। ঘটনার ৭ দিনের মাথায় চাঞ্চল্যকর এ মামলার মুল রহস্য উদঘাটন করেছে পীরগাছা থানা পুলিশ ও রংপুর সিআইডি কর্মকর্তারা। সোমবার রাতে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে হত্যাকারী পিতা রফিকুল ইসলাম।মঙ্গলবার সকালে এসব তথ্য জানান পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান।
মঙ্গলবার ওসি মাসুমুর রহমান জানান, উপজেলার অনন্তরাম বড়বাড়ি এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে লিপি বেগম (৩০) দীর্ঘ দিন থেকে পতিতাবৃত্তি, মাদকদ্রব্য গ্রহন ও উৎশৃংঙ্খল জীবন যাপন করে আসছিলো। তার নামে থানা পুলিশের নিকট বেশ কয়েক বার অভিযোগ করে এলাকাবাসী। স্বামী না থাকলেও সম্প্রতি লিপি বেগম ৬ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। এতে করে তার পরিবার চরম বেকায়দায় পড়ে। এ নিয়ে গত ২২ জুলাই রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে লিপি বেগমের পিতা রফিকুল ইসলাম নানা বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে গলা টিপে ও বালিশ চাপা দিয়ে লিপি বেগমকে হত্যা করে। পরে মরদেহ বাড়ির পাশে গর্ত করে পুতে রাখলেও গর্ন্ধ ছড়ানোর ভয়ে দুদিন পর আবার তুলে বাড়ি থেকে ৮শ গজ দুরে একটি জমির বৈদ্যুতিক পোলের গোড়ায় গর্ত করে পুতে রাখেন। পরদিন গত ২৫ জুলাই সকাল জমি সমান করতে গিয়ে কোদালে মরদেহের পা বাঁধলে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। পরে থানা পুলিশ ও রংপুর সিআইডি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে লিপি বেগমের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় লিপি বেগমের পিতা রফিকুল ইসলাম মেয়ে নিখোঁজ ছিল বলে জানান এবং তাকে সনাক্ত করে অজ্ঞাত নামা আসামি দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রংপুরের সহকারি পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আশরাফুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রংপুর সিআইডি ও পীরগাছা থানা পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে মাত্র ৭ দিনের মধ্যে ক্লু বিহীন এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেন এবং ঘাতক পিতা রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রফিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে তার বাড়ি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করেন পুলিশ। গত সোমবার বিকেলে কন্যা হত্যাকারী রফিকুল ইসলামকে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তোলা হলে ম্যাজিষ্ট্রট আবু হেনা সিদ্দিকীর নিকট ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর শুকুর আলী নিউজবিজয়কে বলেন, হত্যার পর স্বাভাবিক ছিল রফিকুল ইসলাম। আমরা তাকে সন্দেহ করেই তদন্ত কাজ এগিয়ে নেই। অবশেষে তিনি মেয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তিনি একাই হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য মাটির নিচে পুতে রাখেন বলে স্বীকার করেছেন।

আরো পড়ুন>>স্বামীর বয়স নিয়ে কথা উঠবে আগেই জানতাম: পূর্ণিমা 

নিউজবিজয়/এফএইচএন