ঢাকা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনিয়মিত মাসিক কেন হয়, প্রতিকারে কী করবেন?

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৯:২৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ২৯৭ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

ঋতুচক্রে মেয়েদের স্বাভাবিক পিরিয়ডের সময়কাল ধরা হয় ২৮ দিন। এই ২৮ দিন পর পর পিরিয়ড হওয়াকে স্বাভাবিক ঋতুচক্র ধরা হয়।
২৮ দিনের সাত দিন আগে বা ৭ দিন পরও যদি হয় তা স্বাভাবিক ঋতুচক্র বলা হয়। যদি মাসিক ৩৫ দিনের বেশি অর্থাৎ যে সময় মেয়েদের মাসিক হওয়ার কথা (প্রত্যেক মাসে একটা নির্দিষ্ট দিনে) তার ১০ দিন বা ১৫ দিন পর হয় অথবা অনেকের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন মাসের ব্যবধান হয়ে থাকে, তাহলে এই ঋতুচক্রকে অনিয়মিত ঋতুচক্র বলা হয়।

বেশ কিছু কারণে অনিয়মিত মাসিক ( irregular menstruation) হতে পারে-

১. ওজন বেড়ে যাওয়া
২. পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম
৩. মানসিক চাপ
৪. জরায়ু টিউমার
৫. এন্ডোমেট্রিওসিস
৬. থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য- ইত্যাদি।

অনিয়মিত মাসিকের কারণে দুই ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। প্রধান সমস্যা হলো—

সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে যায় ও অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ হয়ে থাকে।

করণীয়

*অনিয়মিত মাসিক প্রতিরোধের সবচেয়ে উত্তম পন্থা হচ্ছে- যার ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সেটি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে।

*ফাস্টফুড বা জাঙ্ক ফুডজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

*স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

*নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

*নিয়ম করে রোজ ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা রাতে ঘুমাতে হবে।

আর একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। যে কোনো রোগের ক্ষেত্রে শুরুতেই পরামর্শ নিতে হবে।

যখন মাসিক অনিয়মিত হচ্ছে, শুরুতেই গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। যদি হরমোনের তারতম্য দেখা যায়, তা হলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকে, যাতে পরবর্তীতে মাসিক নিয়মিত হওয়া, বাচ্চা নিতে সমস্যা না হয়।

লেখক: আয়েশা আক্তার
সহকারি পরিচালক
২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপির

অনিয়মিত মাসিক কেন হয়, প্রতিকারে কী করবেন?

প্রকাশিত সময় :- ০৯:২৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

ঋতুচক্রে মেয়েদের স্বাভাবিক পিরিয়ডের সময়কাল ধরা হয় ২৮ দিন। এই ২৮ দিন পর পর পিরিয়ড হওয়াকে স্বাভাবিক ঋতুচক্র ধরা হয়।
২৮ দিনের সাত দিন আগে বা ৭ দিন পরও যদি হয় তা স্বাভাবিক ঋতুচক্র বলা হয়। যদি মাসিক ৩৫ দিনের বেশি অর্থাৎ যে সময় মেয়েদের মাসিক হওয়ার কথা (প্রত্যেক মাসে একটা নির্দিষ্ট দিনে) তার ১০ দিন বা ১৫ দিন পর হয় অথবা অনেকের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন মাসের ব্যবধান হয়ে থাকে, তাহলে এই ঋতুচক্রকে অনিয়মিত ঋতুচক্র বলা হয়।

বেশ কিছু কারণে অনিয়মিত মাসিক ( irregular menstruation) হতে পারে-

১. ওজন বেড়ে যাওয়া
২. পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম
৩. মানসিক চাপ
৪. জরায়ু টিউমার
৫. এন্ডোমেট্রিওসিস
৬. থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য- ইত্যাদি।

অনিয়মিত মাসিকের কারণে দুই ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। প্রধান সমস্যা হলো—

সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে যায় ও অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ হয়ে থাকে।

করণীয়

*অনিয়মিত মাসিক প্রতিরোধের সবচেয়ে উত্তম পন্থা হচ্ছে- যার ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সেটি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে।

*ফাস্টফুড বা জাঙ্ক ফুডজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

*স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

*নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

*নিয়ম করে রোজ ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা রাতে ঘুমাতে হবে।

আর একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। যে কোনো রোগের ক্ষেত্রে শুরুতেই পরামর্শ নিতে হবে।

যখন মাসিক অনিয়মিত হচ্ছে, শুরুতেই গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। যদি হরমোনের তারতম্য দেখা যায়, তা হলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকে, যাতে পরবর্তীতে মাসিক নিয়মিত হওয়া, বাচ্চা নিতে সমস্যা না হয়।

লেখক: আয়েশা আক্তার
সহকারি পরিচালক
২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন