ঢাকা ০৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪ জুলাই কলকাতার আদালতে তোলা হবে পিকে হালদারসহ ৬ জনকে

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৮:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
  • ৪২৯ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ মোট ছয় অভিযুক্তকে আগামী ৪ জুলাই ফের কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) তোলা হবে। বুধবার এই মামলাটি ওঠে আদালতের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে। কিন্তু অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না একটি অ্যাডজার্নমেন্ট পিটিশন দায়ের করেন। এই পিটিশনে মোকদ্দমার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। সেক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আরজি শুনে পরবর্তী শুনানির দিন কার্য করেন ৪ জুলাই।

বর্তমানে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ ৫ অভিযুক্ত রয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

এদিন সকাল ১১টা নাগাদ সকল অভিযুক্তকেই আদালতে আনা হয়।

বহু আলোচিত এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি) সূত্রে খবর, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউস ১৫, গ্রিনটেক সিটি থেকে গ্রেফতার করা হয় পিকে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে শিবশঙ্কর হালদারকে।

এছাড়াও রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারের আরও ৫ সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার।

এরপর ওই বছরের ২১ মে ‘অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২’ (PMLA)-এ তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

অপরদিকে, ইডির সূত্রে আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে প্রানেশর কুমার হালদার নামে (পিকে’র ভাই) যে কলকাতার জেল হেফাজতে আছেন, আদতে সে নাকি পিকের ভাই নয়। প্রতীকি প্রানেশ হিসেবে যে বন্দী আছেন তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার বাসিন্দা। একজন রিকশাচালক।

একসময় পিকের ভারতের বাড়িতে কাজের লোক হিসেবে কাজ করত। সেখানেই নাকি এক নারী পরিচালিকার সঙ্গে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার ঘটনা সামনে আসে। জানাজানি হওয়া সত্বেও প্রশান্ত (পিকে) হালদার তাকে বাসায় থাকতে দিত। এর কারন হিসেবে জানা যায়, অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকা নিজের ভাই প্রানেশকে আড়াল করতেই এই কালনার বাদিন্দাকে ভাই বলতে সামনে আনত প্রশান্ত(পিকে) কুমার হালদার। পরবর্তী ৪ জুলাই শুনানির দিন আদালতে এই মামলাটাই উঠতে যাচ্ছে বলে ইডি সূত্র জানা গেছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নতুন শিক্ষাক্রমে ৪ শ্রেণির ৩১ বইয়ে ১৪৭ ভুল!

৪ জুলাই কলকাতার আদালতে তোলা হবে পিকে হালদারসহ ৬ জনকে

প্রকাশিত সময় :- ০৮:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ মোট ছয় অভিযুক্তকে আগামী ৪ জুলাই ফের কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) তোলা হবে। বুধবার এই মামলাটি ওঠে আদালতের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে। কিন্তু অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না একটি অ্যাডজার্নমেন্ট পিটিশন দায়ের করেন। এই পিটিশনে মোকদ্দমার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। সেক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আরজি শুনে পরবর্তী শুনানির দিন কার্য করেন ৪ জুলাই।

বর্তমানে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ ৫ অভিযুক্ত রয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

এদিন সকাল ১১টা নাগাদ সকল অভিযুক্তকেই আদালতে আনা হয়।

বহু আলোচিত এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি) সূত্রে খবর, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউস ১৫, গ্রিনটেক সিটি থেকে গ্রেফতার করা হয় পিকে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে শিবশঙ্কর হালদারকে।

এছাড়াও রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারের আরও ৫ সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার।

এরপর ওই বছরের ২১ মে ‘অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২’ (PMLA)-এ তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

অপরদিকে, ইডির সূত্রে আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে প্রানেশর কুমার হালদার নামে (পিকে’র ভাই) যে কলকাতার জেল হেফাজতে আছেন, আদতে সে নাকি পিকের ভাই নয়। প্রতীকি প্রানেশ হিসেবে যে বন্দী আছেন তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার বাসিন্দা। একজন রিকশাচালক।

একসময় পিকের ভারতের বাড়িতে কাজের লোক হিসেবে কাজ করত। সেখানেই নাকি এক নারী পরিচালিকার সঙ্গে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার ঘটনা সামনে আসে। জানাজানি হওয়া সত্বেও প্রশান্ত (পিকে) হালদার তাকে বাসায় থাকতে দিত। এর কারন হিসেবে জানা যায়, অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকা নিজের ভাই প্রানেশকে আড়াল করতেই এই কালনার বাদিন্দাকে ভাই বলতে সামনে আনত প্রশান্ত(পিকে) কুমার হালদার। পরবর্তী ৪ জুলাই শুনানির দিন আদালতে এই মামলাটাই উঠতে যাচ্ছে বলে ইডি সূত্র জানা গেছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন