ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে ঈদের জামাত শেষে জুতা বদল নিয়ে দু”পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাইজখলা গ্রামের মসজিদের সামনে ঈদের জামাত শেষে গ্রামের দু”পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং ২জন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ১৮জনকে আটক করেছে। নিহতের নাম মো. আবুল কাশেম(৩০)। তিনি মাইজখলা গ্রামের মো. ইদ্রিছ আলীর ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মাইজখলা গ্রামের মসজিদের সামনে খালের পাড়ে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে দোয়ারা বাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় একঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে । এ সময় পুলিশ ১৮জনকে আটক করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জাান যায় সকাল সাড়ে ৯টায় মাইজখলা গ্রামের মসজিদে ঈদের জামাত শেষে জুতা পরিবর্তন নিয়ে মাইজখলা গ্রামের শাহ নেওয়াজের ছেলে জালাল শাহ (৪৫)”র সাথে একই গ্রামের মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান(৩৫) এর কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় ও দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে খালের পাড়ে সেলিম মিয়ার বাড়ীর সামনের পতিত জমিনে উপর পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ২জন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ২০জন আহত হন।
এদের মধ্যে জালাল শাহ”র পক্ষের মো. আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ ডিজ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আজ বিকেলে আবুল কাশেম মারা যান। এছাড়াও উভয়পক্ষের আহতদেরকে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে ইতিমধ্যে ১৮জনকে আটক করেছে।
আহতরা হলেন- জালাল শাহ”র পক্ষের মো. ইদ্রিছ আলীর ছেলে হানিফ মিয়া(৩৫),মো. সুমন মিয়া(২৫),হেলাল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া(২০),শাহ নেওয়াজের ছেলে মরম শাহ(৩৫),মিলন মিয়ার ছেলে সজীব মিয়া(২৫),মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে আয়াত আলী(৩২)।
এছাড়াও প্রতিপক্ষের আহতরা হলেন আব্দুর রউফের ছেলে রনি মিয়া (২২),মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুর রউফ(৫০) ৩। আমিনুল হক(৩৮), মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান(৩০) আঃ হাকিমের ছেলে অজুদ মিয়া(৩৮) পিতা-, মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে আনোয়ার হোসেন(২৮), মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুল মন্নাফ, আব্দুর রশিদ(৬৫), আব্দুল হাকিমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন(৩০)প্রমুখ।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) দেব দুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এই ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৮জনকে আটক করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানান।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

 

 

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ভালো নাকি ক্ষতিকর

সুনামগঞ্জে ঈদের জামাত শেষে জুতা বদল নিয়ে দু”পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

প্রকাশিত সময় :- ১০:০৪:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৩

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাইজখলা গ্রামের মসজিদের সামনে ঈদের জামাত শেষে গ্রামের দু”পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং ২জন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ১৮জনকে আটক করেছে। নিহতের নাম মো. আবুল কাশেম(৩০)। তিনি মাইজখলা গ্রামের মো. ইদ্রিছ আলীর ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মাইজখলা গ্রামের মসজিদের সামনে খালের পাড়ে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে দোয়ারা বাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় একঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে । এ সময় পুলিশ ১৮জনকে আটক করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জাান যায় সকাল সাড়ে ৯টায় মাইজখলা গ্রামের মসজিদে ঈদের জামাত শেষে জুতা পরিবর্তন নিয়ে মাইজখলা গ্রামের শাহ নেওয়াজের ছেলে জালাল শাহ (৪৫)”র সাথে একই গ্রামের মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান(৩৫) এর কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় ও দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে খালের পাড়ে সেলিম মিয়ার বাড়ীর সামনের পতিত জমিনে উপর পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ২জন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ২০জন আহত হন।
এদের মধ্যে জালাল শাহ”র পক্ষের মো. আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ ডিজ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আজ বিকেলে আবুল কাশেম মারা যান। এছাড়াও উভয়পক্ষের আহতদেরকে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে ইতিমধ্যে ১৮জনকে আটক করেছে।
আহতরা হলেন- জালাল শাহ”র পক্ষের মো. ইদ্রিছ আলীর ছেলে হানিফ মিয়া(৩৫),মো. সুমন মিয়া(২৫),হেলাল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া(২০),শাহ নেওয়াজের ছেলে মরম শাহ(৩৫),মিলন মিয়ার ছেলে সজীব মিয়া(২৫),মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে আয়াত আলী(৩২)।
এছাড়াও প্রতিপক্ষের আহতরা হলেন আব্দুর রউফের ছেলে রনি মিয়া (২২),মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুর রউফ(৫০) ৩। আমিনুল হক(৩৮), মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান(৩০) আঃ হাকিমের ছেলে অজুদ মিয়া(৩৮) পিতা-, মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে আনোয়ার হোসেন(২৮), মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুল মন্নাফ, আব্দুর রশিদ(৬৫), আব্দুল হাকিমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন(৩০)প্রমুখ।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) দেব দুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এই ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৮জনকে আটক করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানান।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন