ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলায় ঘুর্ণিঝড় অশনির ভয়ে আধা পাকা ধান কেটে ফেলছেন কৃষকরা

ভোলার লালমোহনে ঘূর্ণিঝড় অশনি’র ক্ষতির ভয়ে আধা-পাকা ধান কাটছেন কৃষকরা। কৃষি অফিসের পরামর্শে ফসল বাঁচাতে ধান কেটে ঘরে তুলে নিচ্ছেন তারা। বিগত বছরগুলোতে ঝড়ে কৃষককের বহু ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় তাই এবছর আগেভাগেই ক্ষেত থেকে ধান কাটতে দেখা গেছে কৃষকদের। এবছর উপজেলায় বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা রঙ্গিন স্বপ্ন দেখলেও ঝড়ের পূর্বাভাসে সেই স্বপ্ন ধূসর হচ্ছে। গত রোববার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে ধানসহ সকল রবিশস্য ঘরে তুলতে নির্দেশ প্রদান করেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর লালমোহনে ১০ হাজার ৮শ ৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। কৃষি অফিস বলছে ইতোমধ্যে মাঠে ৯৫ শতাংশ ধান পেকেছে। তবে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে মাঠে এখনো ৪০ শতাংশ কাঁচা ধান রয়ে গেছে। এসব কৃষকরা তাদের ফসল নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
উপজেলার ফুলবাগিচা এলাকার কৃষক ফজলু বলেন, ঝড় হবে এমন খবর পেয়ে ক্ষেতের ৫ গন্ডা জমির ধান কেটে নিয়েছি। ধানের ফলন ভালো, কিন্তু পুরোপুরি পাকেনি। আরেক কৃষক কামাল দেওয়ান জানান, ৭ গন্ডা জমির বোরো ধান ঘরে তোলার প্রস্ততি নিয়েছি। সোমবার বৃষ্টির ভিতরে ৬ জন দিনমজুর নিয়ে ধান কাটছি। এতে করে সামান্য ক্ষতি হলেও যদি ঝড় হয় তাতে এরচেয়েও অনেক বেশি ক্ষতির মুখে পরবো। যার জন্যই আগেভাগেই ধান কেটে নিচ্ছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম শাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা ঝড়ের আভাস পেয়ে কৃষকদের ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছি। আগেভাগেই কাটলেও ৮০ ভাগ পেকেছে এমন ধান কাটলে কোনো ক্ষতি হবে না। পুরোপুরি পাকার অপেক্ষায় থাকলে ক্ষেতে ধান ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপির

ভোলায় ঘুর্ণিঝড় অশনির ভয়ে আধা পাকা ধান কেটে ফেলছেন কৃষকরা

প্রকাশিত সময় :- ১২:০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

ভোলার লালমোহনে ঘূর্ণিঝড় অশনি’র ক্ষতির ভয়ে আধা-পাকা ধান কাটছেন কৃষকরা। কৃষি অফিসের পরামর্শে ফসল বাঁচাতে ধান কেটে ঘরে তুলে নিচ্ছেন তারা। বিগত বছরগুলোতে ঝড়ে কৃষককের বহু ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় তাই এবছর আগেভাগেই ক্ষেত থেকে ধান কাটতে দেখা গেছে কৃষকদের। এবছর উপজেলায় বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা রঙ্গিন স্বপ্ন দেখলেও ঝড়ের পূর্বাভাসে সেই স্বপ্ন ধূসর হচ্ছে। গত রোববার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে ধানসহ সকল রবিশস্য ঘরে তুলতে নির্দেশ প্রদান করেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর লালমোহনে ১০ হাজার ৮শ ৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। কৃষি অফিস বলছে ইতোমধ্যে মাঠে ৯৫ শতাংশ ধান পেকেছে। তবে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে মাঠে এখনো ৪০ শতাংশ কাঁচা ধান রয়ে গেছে। এসব কৃষকরা তাদের ফসল নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
উপজেলার ফুলবাগিচা এলাকার কৃষক ফজলু বলেন, ঝড় হবে এমন খবর পেয়ে ক্ষেতের ৫ গন্ডা জমির ধান কেটে নিয়েছি। ধানের ফলন ভালো, কিন্তু পুরোপুরি পাকেনি। আরেক কৃষক কামাল দেওয়ান জানান, ৭ গন্ডা জমির বোরো ধান ঘরে তোলার প্রস্ততি নিয়েছি। সোমবার বৃষ্টির ভিতরে ৬ জন দিনমজুর নিয়ে ধান কাটছি। এতে করে সামান্য ক্ষতি হলেও যদি ঝড় হয় তাতে এরচেয়েও অনেক বেশি ক্ষতির মুখে পরবো। যার জন্যই আগেভাগেই ধান কেটে নিচ্ছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম শাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা ঝড়ের আভাস পেয়ে কৃষকদের ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছি। আগেভাগেই কাটলেও ৮০ ভাগ পেকেছে এমন ধান কাটলে কোনো ক্ষতি হবে না। পুরোপুরি পাকার অপেক্ষায় থাকলে ক্ষেতে ধান ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।