ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে জুনে পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি : প্রতিমন্ত্রী

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১০:০৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • ২৬২ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

আগামী জুন মাসে ভারত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পাইপ-লাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

সরকারি দলের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির জন্য ভারত অংশে ৫ কিলোমিটারসহ প্রায় ১৩১ দশমিক ৫ কিলোমিটার ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির প্রি-কমিশনিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী জুন মাসে ওই পাইপ-লাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির কমিশনিং তথা পরীক্ষামূলকভাবে ডিজেল আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা যায়।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে (জুন ২০২২) দেশে মজুত গ্যাসের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। মজুত গ্যাস দিয়ে প্রায় ১১ বছর দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

 নিউজ বিজয়ের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

নসরুল হামিদ বলেন, সর্বশেষ (১ জুলাই, ২০২২) প্রাক্কলন অনুযায়ী দেশে মোট উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুত ২৮ দশমিক ৫৯ টিসিএফ। গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ক্রমপুঞ্জিত গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৯ দশমিক ৫৩ টিসিএফ। সে হিসেবে উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট মজুতের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ টিসিএফ। গ্যাসক্ষেত্রগুলো হতে দৈনিক গড়ে প্রায় ২২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে বিবেচনায় অবশিষ্ট মজুতকৃত গ্যাস দ্বারা প্রায় ১১ বছর বাংলাদেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

আগামী গ্রীষ্মকাল ও রমজান মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ অতীতের অভিজ্ঞতায় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে সরকারি দলের শফিউল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, এ বছর রমজান মাস, গ্রীষ্মকাল ও সেচ মৌসুম একই সময়ে হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা অত্যধিক বৃদ্ধি পাবে। বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ খাতকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বিদ্যমান বাস্তবতায় সরকার সকল গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি ৪৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৫ জন।

উৎপাদন না বাড়লে আবাসিকে গ্যাস নয়

মোহাম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে শিল্প, বিদ্যুৎ ও সার কারখানাকে গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা অর্থনৈতিক গতিশীলতার স্বার্থে একান্ত অপরিহার্য বিবেচিত হয়। পক্ষান্তরে গৃহস্থালি তথা আবাসিক শ্রেণিতে গ্যাসের সংযোগ প্রদান করা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থকে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজির সহজলভ্যতা এবং ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় গৃহস্থালি পর্যায়ে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদান পরিপত্রের মাধ্যমে বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃদ্ধি না পেলে এবং শিল্প, বিদ্যুৎ ও সার কারখানায় গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা হ্রাস না পেলে আবাসিক গ্যাস সংযোগ উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে না।

সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে এলপিজি গ্যাসের চাহিদা প্রায় ১৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ২ শতাংশ পূরণ হয়। অবশিষ্ট চাহিদা বেসরকারি পর্যায়ে পূরণ হয়ে থাকে।

কয়লা মজুত সাত হাজার ৮২৩ ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন

এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত ৫টি কয়লা খনির সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ সাত হাজার ৮২৩ ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন।

বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা/কোম্পানি দুই হাজার ৫৯৪ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার ভূ-গর্ভস্থ লাইন নির্মাণ সম্পন্ন করেছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, ডিপিডিসি ও ডেসকোর আওতাধীন এলাকায় যথাক্রমে ৫০ কিলোমিটার, এক হাজার ১৪৫ দশমিক ৫৭ কিমি ও এক হাজার ৩৯৯ দশমিক ২৯ কিমি ভূগর্ভস্থ বিতরণ লাইন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ডিপিডিসি ও ডেসকো এলাকায় যথাক্রমে ৯২৫ দশমিক ৫০ কিমি ও ১৮০ কিমি ভূগর্ভস্থ বিতরণ লাইন স্থাপন করা হবে।

দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০২২ সালে ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭ মেট্রিক টন পেট্রোল, চার লাখ ২২ হাজার ৯৫২ মেট্রিক টন পেট্রোল, তিন লাখ ৮৮ হাজার ৪৮৭মেট্রিক টন অকটেন ও ৭৪ হাজার ৪৪৬ মেট্রিক টন কেরোসিনের চাহিদা ছিল। চলতি অর্থ বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হতে ডিজেল ও অকটেন আমদানি করা হচ্ছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন

ভারত থেকে জুনে পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি : প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় :- ১০:০৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

আগামী জুন মাসে ভারত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পাইপ-লাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

সরকারি দলের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির জন্য ভারত অংশে ৫ কিলোমিটারসহ প্রায় ১৩১ দশমিক ৫ কিলোমিটার ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির প্রি-কমিশনিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী জুন মাসে ওই পাইপ-লাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির কমিশনিং তথা পরীক্ষামূলকভাবে ডিজেল আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা যায়।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে (জুন ২০২২) দেশে মজুত গ্যাসের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। মজুত গ্যাস দিয়ে প্রায় ১১ বছর দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

 নিউজ বিজয়ের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

নসরুল হামিদ বলেন, সর্বশেষ (১ জুলাই, ২০২২) প্রাক্কলন অনুযায়ী দেশে মোট উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুত ২৮ দশমিক ৫৯ টিসিএফ। গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ক্রমপুঞ্জিত গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৯ দশমিক ৫৩ টিসিএফ। সে হিসেবে উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট মজুতের পরিমাণ ৯ দশমিক শূন্য ৬ টিসিএফ। গ্যাসক্ষেত্রগুলো হতে দৈনিক গড়ে প্রায় ২২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে বিবেচনায় অবশিষ্ট মজুতকৃত গ্যাস দ্বারা প্রায় ১১ বছর বাংলাদেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

আগামী গ্রীষ্মকাল ও রমজান মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ অতীতের অভিজ্ঞতায় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে সরকারি দলের শফিউল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, এ বছর রমজান মাস, গ্রীষ্মকাল ও সেচ মৌসুম একই সময়ে হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা অত্যধিক বৃদ্ধি পাবে। বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ খাতকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বিদ্যমান বাস্তবতায় সরকার সকল গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি ৪৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৫ জন।

উৎপাদন না বাড়লে আবাসিকে গ্যাস নয়

মোহাম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে শিল্প, বিদ্যুৎ ও সার কারখানাকে গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা অর্থনৈতিক গতিশীলতার স্বার্থে একান্ত অপরিহার্য বিবেচিত হয়। পক্ষান্তরে গৃহস্থালি তথা আবাসিক শ্রেণিতে গ্যাসের সংযোগ প্রদান করা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থকে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজির সহজলভ্যতা এবং ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় গৃহস্থালি পর্যায়ে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদান পরিপত্রের মাধ্যমে বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃদ্ধি না পেলে এবং শিল্প, বিদ্যুৎ ও সার কারখানায় গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা হ্রাস না পেলে আবাসিক গ্যাস সংযোগ উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে না।

সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে এলপিজি গ্যাসের চাহিদা প্রায় ১৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ২ শতাংশ পূরণ হয়। অবশিষ্ট চাহিদা বেসরকারি পর্যায়ে পূরণ হয়ে থাকে।

কয়লা মজুত সাত হাজার ৮২৩ ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন

এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত ৫টি কয়লা খনির সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ সাত হাজার ৮২৩ ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন।

বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা/কোম্পানি দুই হাজার ৫৯৪ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার ভূ-গর্ভস্থ লাইন নির্মাণ সম্পন্ন করেছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, ডিপিডিসি ও ডেসকোর আওতাধীন এলাকায় যথাক্রমে ৫০ কিলোমিটার, এক হাজার ১৪৫ দশমিক ৫৭ কিমি ও এক হাজার ৩৯৯ দশমিক ২৯ কিমি ভূগর্ভস্থ বিতরণ লাইন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ডিপিডিসি ও ডেসকো এলাকায় যথাক্রমে ৯২৫ দশমিক ৫০ কিমি ও ১৮০ কিমি ভূগর্ভস্থ বিতরণ লাইন স্থাপন করা হবে।

দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০২২ সালে ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭ মেট্রিক টন পেট্রোল, চার লাখ ২২ হাজার ৯৫২ মেট্রিক টন পেট্রোল, তিন লাখ ৮৮ হাজার ৪৮৭মেট্রিক টন অকটেন ও ৭৪ হাজার ৪৪৬ মেট্রিক টন কেরোসিনের চাহিদা ছিল। চলতি অর্থ বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হতে ডিজেল ও অকটেন আমদানি করা হচ্ছে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন