লাললমনিরহাটের পাটগ্রামের মসজিদ পাড় এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। লাশ তার চাচাতো ভাই মমতাজ আলী শনাক্ত করে বলেছেন, নিহত ব্যক্তির নাম হুমায়ুন কবির(৫৫)। তিনি পাটগ্রামের টেপুড়গাড়ি গুচ্ছগ্রামের মৃত হামির উদ্দিনের ছেলে। তিনি আরো বলেন ওই ব্যক্তি ৬ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি লালমনিরহাটের পাটগ্রামের মসজিদের পাড় এলাকায় রেললাইনের উপর বসে থাকার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিউজ বিজয়ের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রেললাইনে বসে থাকা অবস্থায় অজান্তেই বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাটগামী একটি লোকাল ট্রেনে কাটা পড়ে শরীর কয়েক খণ্ড হয়ে যায় ওই ব্যক্তির।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় শুনলাম ট্রেন কয়েকবার হুইসেল দেয়। ওই সময় রেললাইনে বসে ছিলেন ওই ব্যক্তি। আমরা অনেক ডাকাডাকি করলেও তিনি আমাদের ডাক শুনতে পাননি। পরে দেখি তিনি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন।
বুড়িমারী রেলস্টেশন মাস্টার নুর আলম বলেন, ট্রেন যাত্রীদের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে একজন ব্যক্তি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। নিহতের চাচাত ভাই মমতাজ আলী(৪৫) লাশ সনাক্ত করে বলেন, নিহত ব্যক্তি তার চাচাতো ভাই। পাটগ্রামের টেপুড়গাড়ি গুচ্ছগ্রামের মৃত হামির উদ্দিনের ছেলে। তিনি আরও বলেন রেল দূর্ঘটনায় নিহত হুমায়ুন ৬ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। এরআগে ২ বছর আগে নিজে নিজের গলায় দা দিয়ে জবাই করে গুরুতর আহত হয়েছিল।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হুমায়ুন কবির নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আমরা রেলওয়ে পুলিশকে অবগত করছি।