ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুবাইয়ে আরাভ খান আটক হওয়ার তথ্য জানা নেই : আইজিপি

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০১:১২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
  • ২৮০ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খান হত্যা মামলায় পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন মর্মে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে তাকে কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।

আজ শনিবার (২৫মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি।

দুবাইয়ে আরাভ ওরফে রবিউল ইসলাম আটক মর্মে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়েছে। সেখানে আরাভ আদৌ আটক হয়েছে কি না, এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কী ধরনের তথ্য আছে, তা জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আরাভ আটক হয়েছেন এ ধরনের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।

তিনি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি হয়েছে। আমাদের সঙ্গে ইন্টারপোলের যোগাযোগ রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইন্সপেক্টর মামুন ইমরান খান খুনের মামলার আসামি দুবাইয়ে থাকা রবিউল ইসলাম। ইন্সপেক্টর মামুন খুন হন ২০১৮ সালের ৮ জুলাই। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তার দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে ডিএমপির বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইন্সপেক্টর মামুন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি ১০ জন। এদের মধ্যে দুজন কিশোরী। রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার ধনী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। মামুন হত্যার ঘটনায় মরদেহ গোপন করতে সহায়তা করেছেন রবিউল। খুনে সরাসরি জড়িতরাও রবিউলের সহযোগী। রবিউলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ। মামলাটিতে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়াও।

এ মামলার আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন আসামি রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দীদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) ও সারোয়ার হোসেন (২৩)। উচ্চ আদালত মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য গত বছরের ২০ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন। যদিও সে মামলা এখনো ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। সর্বশেষ বাংলাদেশ পুলিশের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

চলতি মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন তীব্র কালবৈশাখীর আভাস

দুবাইয়ে আরাভ খান আটক হওয়ার তথ্য জানা নেই : আইজিপি

প্রকাশিত সময় :- ০১:১২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশ কর্মকর্তা মামুন খান হত্যা মামলায় পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন মর্মে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে তাকে কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।

আজ শনিবার (২৫মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি।

দুবাইয়ে আরাভ ওরফে রবিউল ইসলাম আটক মর্মে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়েছে। সেখানে আরাভ আদৌ আটক হয়েছে কি না, এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কী ধরনের তথ্য আছে, তা জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আরাভ আটক হয়েছেন এ ধরনের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।

তিনি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি হিসেবে আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি হয়েছে। আমাদের সঙ্গে ইন্টারপোলের যোগাযোগ রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইন্সপেক্টর মামুন ইমরান খান খুনের মামলার আসামি দুবাইয়ে থাকা রবিউল ইসলাম। ইন্সপেক্টর মামুন খুন হন ২০১৮ সালের ৮ জুলাই। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তার দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে ডিএমপির বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইন্সপেক্টর মামুন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি ১০ জন। এদের মধ্যে দুজন কিশোরী। রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার ধনী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। মামুন হত্যার ঘটনায় মরদেহ গোপন করতে সহায়তা করেছেন রবিউল। খুনে সরাসরি জড়িতরাও রবিউলের সহযোগী। রবিউলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ। মামলাটিতে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়াও।

এ মামলার আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন আসামি রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দীদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) ও সারোয়ার হোসেন (২৩)। উচ্চ আদালত মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য গত বছরের ২০ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন। যদিও সে মামলা এখনো ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। সর্বশেষ বাংলাদেশ পুলিশের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন