ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিমলায় কাঠের তৈরী সাঁকোতে পার হয় হাজার হাজার মানুষ

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুঠিরডাঙ্গা গ্রামের একটি ব্রিজের অভাবে কাঠের তৈরী সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ। ঝুকিপূর্ণ এই সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় মাঝে মধ্যেই ঘটছে দূর্ঘটনা। তবু থেমে নেই শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষের জীবন যাত্রা। জীবিকার তাগিদেই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সাঁকোর উপরে চলাচল করছে এলাকাবাসী। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে জানা যায়, ডিমলা সদর ইউনিয়নের কুঠিরডাঙ্গা একটি জনবহুল গ্রাম। কুঠিরডাঙ্গা গ্রামে মধ্যে রয়েছে কুঠিরডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইবতেদায়ী মাদ্রারাসা ও কুঠিরডাঙ্গা আল ইনসাফ হাফেজিয়া মাদ্রারাসা সহ গ্রামে প্রায় দুই হাজার লোকের বসবাস।
এই গ্রামে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকরীজীবি, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের বসবাস। সম্প্রতি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় সাঁকো ভেঙ্গে নিচে পড়ে গিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হবার ঘটনাও ঘটেছে।
এছাড়াও এই গ্রাম নানা ধরনের কৃষিজ পন্য উৎপাদন হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী কিন্তু পারাপার উপযোগী ব্রিজ না থাকায় এখানকার উৎপাদিত কৃষিজপন্য বাজারজাতকরনে দেখা দেয় নানা সমস্যা। ফলে সময়মত কৃষিজপন্য বাজারজাত করতে না পারায় আর্থিকভাবে লোকসানের মুখোমুখি হন ভুক্তভোগী কৃষকেরা। বর্ষাকালে এই গ্রামের মানুষের দূভোর্গ চরমে ওঠে। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে সাঁকো ভিজে চলাচলের সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটতেই থাকে। তবে এই সাঁকো পারাপারের সময় সবচেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বয়স্করা। সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচলের সময় সবচেয়ে দূঘটনায় শিকার হয় তারাই।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন করেও এখন পর্যন্ত চলাচলের উপযোগী ব্রীজের মুখ দেখেননি জনবহুল এই গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান আলী জানান, কয়েকযুগ ধরে এই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই কাঠের সাঁকো। এতে প্রতিদিন মানুষের চলাচলের সময় দুর্ভোগের শেষ নাই।
কুঠিরডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে কাঠের সাঁকো পারাপার হতে দুঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। কিছুদিন আগে শিশু শ্রেণির এক ছাত্র বিদ্যালয়ে আসার সময় কাঠের সাঁকো পারাপার হওয়ার সময় সাঁকো থেকে নিচে পড়ে গুরুত্বর আহত হয়েছে।
নিউজবিজয়/এফএইচএন

 

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

হজ ফ্লাইট শুরু ৯ মে

ডিমলায় কাঠের তৈরী সাঁকোতে পার হয় হাজার হাজার মানুষ

প্রকাশিত সময় :- ০৬:৪২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুঠিরডাঙ্গা গ্রামের একটি ব্রিজের অভাবে কাঠের তৈরী সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ। ঝুকিপূর্ণ এই সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় মাঝে মধ্যেই ঘটছে দূর্ঘটনা। তবু থেমে নেই শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষের জীবন যাত্রা। জীবিকার তাগিদেই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সাঁকোর উপরে চলাচল করছে এলাকাবাসী। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে জানা যায়, ডিমলা সদর ইউনিয়নের কুঠিরডাঙ্গা একটি জনবহুল গ্রাম। কুঠিরডাঙ্গা গ্রামে মধ্যে রয়েছে কুঠিরডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইবতেদায়ী মাদ্রারাসা ও কুঠিরডাঙ্গা আল ইনসাফ হাফেজিয়া মাদ্রারাসা সহ গ্রামে প্রায় দুই হাজার লোকের বসবাস।
এই গ্রামে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকরীজীবি, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের বসবাস। সম্প্রতি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় সাঁকো ভেঙ্গে নিচে পড়ে গিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হবার ঘটনাও ঘটেছে।
এছাড়াও এই গ্রাম নানা ধরনের কৃষিজ পন্য উৎপাদন হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী কিন্তু পারাপার উপযোগী ব্রিজ না থাকায় এখানকার উৎপাদিত কৃষিজপন্য বাজারজাতকরনে দেখা দেয় নানা সমস্যা। ফলে সময়মত কৃষিজপন্য বাজারজাত করতে না পারায় আর্থিকভাবে লোকসানের মুখোমুখি হন ভুক্তভোগী কৃষকেরা। বর্ষাকালে এই গ্রামের মানুষের দূভোর্গ চরমে ওঠে। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে সাঁকো ভিজে চলাচলের সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটতেই থাকে। তবে এই সাঁকো পারাপারের সময় সবচেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বয়স্করা। সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচলের সময় সবচেয়ে দূঘটনায় শিকার হয় তারাই।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন করেও এখন পর্যন্ত চলাচলের উপযোগী ব্রীজের মুখ দেখেননি জনবহুল এই গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান আলী জানান, কয়েকযুগ ধরে এই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই কাঠের সাঁকো। এতে প্রতিদিন মানুষের চলাচলের সময় দুর্ভোগের শেষ নাই।
কুঠিরডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে কাঠের সাঁকো পারাপার হতে দুঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। কিছুদিন আগে শিশু শ্রেণির এক ছাত্র বিদ্যালয়ে আসার সময় কাঠের সাঁকো পারাপার হওয়ার সময় সাঁকো থেকে নিচে পড়ে গুরুত্বর আহত হয়েছে।
নিউজবিজয়/এফএইচএন