ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে ভুক্তভোগী কৃষকেরা ফসলি জমি বেদখল করায় ক্ষতিপূরণের দাবি

 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে সরকার সারাদেশের নদীগুলোর খনন কাজ শুরু করছে। এরই অংশ হিসেবে দিনাজপুরের বেশকিছু নদীতেও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নদী খনন কার্য্যক্রম। ফলে নদীর খনন কাজে দু‘ধারের জমির আবাদ নষ্ট ও কৃষকের জমি দখল করে বালুর স্তুপ করায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকরা। দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সদর উপজেলার নদীগুলোর খনন কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু খনন করার সময় গর্ভেশ্বরী নদীর উভয় ধারে কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে, অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের। সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ভুক্তভোগী কৃষকেরা ফসল নষ্ট করাসহ রেকর্ড ও দলিলিও সম্পত্তি হতে কৃষকদের বেদখল করায় ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে ইতি মধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদনও করেছেন তারা।তবে সচেতন মহল বলছেন, আমাদের জীবদ্দশায় নদীখননের মতো উন্নয়ন কার্যক্রম পাইনি। যা বর্তমান আওয়ামী সরকার করছে। এজন্য তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। স্থানীয় কৃষকেরা আরও জানান, একটি ভালো কাজ করতে গেলে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। সমস্যাটা হলো, গর্ভেশ্বরী নদীর উভয় ধারে আমাদের আবাদি জমি আছে। নদীটি খনন করার সময় আমাদের জমিতে থাকা ফসল নষ্ট করা হয়। সাথে রেকর্ডভুক্ত ও দলিলিও সম্পত্তি থেকে কৃষকদের বেদখল করা হয়। অবশিষ্ট যে জমিটুকু ছিল তাতে বালুর স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এতে চাষাবাদ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থরা। সুন্দরবন ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের কৃষক ডা. আব্দুস সোবহান জানান, গর্ভেশ্বরী নদীর খনন করার সময় নকশা মানা হয় নাই। আবার নতুনভাবে খাল খনন করা হলেও কৃষকের জমি অধিগ্রহণ করা হয় নাই। এক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি, এমনকি ক্ষতিপুরও দেওয়া হয়নি। আর তাই জমিতে ফসল আবাদে অতিদ্রুত বালু আর মাটিগুলো সরানোর ব্যবস্থা করুন নইলে আমাদের দায়িত্ব দেন, আমরা তা সরিয়ে ফেলি। নতুবা ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা করে দেন বলে জানান তিনি।সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্তুজা আল-মুঈদ জানান, সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপুরণের কোন নির্দেশনা দেয়া নেই। তবে আসল ক্ষতিগ্রস্থদের হিসাবের আওতায় এনে ঠিকাদারের মাধ্যমে কিছু ক্ষতিপুরণ দেয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি।

নিউজবিজয়/এফএইচএ

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইসকন নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া গুজব ছড়াচ্ছ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দিনাজপুরে ভুক্তভোগী কৃষকেরা ফসলি জমি বেদখল করায় ক্ষতিপূরণের দাবি

প্রকাশিত সময় :- ০৬:৩৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২
 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে সরকার সারাদেশের নদীগুলোর খনন কাজ শুরু করছে। এরই অংশ হিসেবে দিনাজপুরের বেশকিছু নদীতেও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নদী খনন কার্য্যক্রম। ফলে নদীর খনন কাজে দু‘ধারের জমির আবাদ নষ্ট ও কৃষকের জমি দখল করে বালুর স্তুপ করায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকরা। দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সদর উপজেলার নদীগুলোর খনন কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু খনন করার সময় গর্ভেশ্বরী নদীর উভয় ধারে কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে, অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের। সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ভুক্তভোগী কৃষকেরা ফসল নষ্ট করাসহ রেকর্ড ও দলিলিও সম্পত্তি হতে কৃষকদের বেদখল করায় ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে ইতি মধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদনও করেছেন তারা।তবে সচেতন মহল বলছেন, আমাদের জীবদ্দশায় নদীখননের মতো উন্নয়ন কার্যক্রম পাইনি। যা বর্তমান আওয়ামী সরকার করছে। এজন্য তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। স্থানীয় কৃষকেরা আরও জানান, একটি ভালো কাজ করতে গেলে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। সমস্যাটা হলো, গর্ভেশ্বরী নদীর উভয় ধারে আমাদের আবাদি জমি আছে। নদীটি খনন করার সময় আমাদের জমিতে থাকা ফসল নষ্ট করা হয়। সাথে রেকর্ডভুক্ত ও দলিলিও সম্পত্তি থেকে কৃষকদের বেদখল করা হয়। অবশিষ্ট যে জমিটুকু ছিল তাতে বালুর স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এতে চাষাবাদ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থরা। সুন্দরবন ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের কৃষক ডা. আব্দুস সোবহান জানান, গর্ভেশ্বরী নদীর খনন করার সময় নকশা মানা হয় নাই। আবার নতুনভাবে খাল খনন করা হলেও কৃষকের জমি অধিগ্রহণ করা হয় নাই। এক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি, এমনকি ক্ষতিপুরও দেওয়া হয়নি। আর তাই জমিতে ফসল আবাদে অতিদ্রুত বালু আর মাটিগুলো সরানোর ব্যবস্থা করুন নইলে আমাদের দায়িত্ব দেন, আমরা তা সরিয়ে ফেলি। নতুবা ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা করে দেন বলে জানান তিনি।সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্তুজা আল-মুঈদ জানান, সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপুরণের কোন নির্দেশনা দেয়া নেই। তবে আসল ক্ষতিগ্রস্থদের হিসাবের আওতায় এনে ঠিকাদারের মাধ্যমে কিছু ক্ষতিপুরণ দেয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি।

নিউজবিজয়/এফএইচএ