ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ মোবারক

সয়াবিন তেল গুদামে আছে, বাজারে নেই

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৫:৫৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ মে ২০২২
  • ২৯১ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

কয়েক দিন ধরেই রাজধানীর অলিগলির দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বড় বাজারগুলোতে অল্পবিস্তর কিছু মিলছে। কারওয়ান বাজারে দু-একটি ছাড়া অন্য দোকানগুলোতে আজ রোববার সকালেও সয়াবিন তেল ছিল না। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার পর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়। তার কারণ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান।
অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তারের নেতৃত্বে বেলা ১১টার পর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে অভিযান শুরু হয়। মার্কেটের নিচতলার মুদিদোকানে তেলের সংকট দেখে তিনতলায় ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের গুদামে যান এই কর্মকর্তা। একের পর এক গুদাম খুলতেই বেরিয়ে আসে কার্টনভরা সয়াবিন তেল। সেই তেল নিচতলার মুদিদোকানিদের কাছে বিক্রি করা হয়। আর সয়াবিন তেল মজুত করায় তিন ব্যবসায়ীকে ২ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোর নামের তেলের এক ডিলারের গুদামে ৫ লিটারের ১০০ কার্টন বা ৪০০ বোতল (মোট ২ হাজার লিটার) সয়াবিন তেল পান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সেই প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সেই অর্থ আদায়ও করা হয়। এ ছাড়া মজুত করা দুই হাজার লিটার সয়াবিন তেল মার্কেটের নিচতলার খুচরা ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করার নির্দেশ দেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। গুদামে অভিযান শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ডিলারদের গতকাল শনিবার খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তেল সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা সেটি না দিয়ে আজ মে দিবসের ছুটিতে সুযোগ নিয়ে বাড়তি দামে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। তাই গোডাউনে অভিযান চালিয়ে সব তেল বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আজ থেকে তেল গোডাউনে নিতে পারবেন না ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। মার্কেটের নিচ থেকেই খুচরা ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করতে হবে। ফাহমিনা আক্তার আরও বলেন, ‘আমরা খুচরা ও পাইকারি বাজারের পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে সয়াবিন তেল পরিশোধনকারী কোম্পানির মিলগেটেও তদারকি করছি। সেখান থেকে প্রতিদিন রেকর্ড পরিমাণ তেল সরবরাহ করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, বোতলের গায়ে উল্লেখ করা দামের চেয়ে কেউ এক টাকা বেশি দামে বিক্রি করলে জরিমানা করা হবে। কোনো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এক হাজারবার অভিযোগ এলে এক হাজারবারই জরিমানা করা হবে। তিনি ভোক্তাদের অধিদপ্তরের হটলাইনে (১৬১২১ নম্বরে) অভিযোগ করতে আহ্বান জানান।

নিউজ বিজয়/নজরুল

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা

সয়াবিন তেল গুদামে আছে, বাজারে নেই

প্রকাশিত সময় :- ০৫:৫৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ মে ২০২২

কয়েক দিন ধরেই রাজধানীর অলিগলির দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বড় বাজারগুলোতে অল্পবিস্তর কিছু মিলছে। কারওয়ান বাজারে দু-একটি ছাড়া অন্য দোকানগুলোতে আজ রোববার সকালেও সয়াবিন তেল ছিল না। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার পর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়। তার কারণ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান।
অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তারের নেতৃত্বে বেলা ১১টার পর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে অভিযান শুরু হয়। মার্কেটের নিচতলার মুদিদোকানে তেলের সংকট দেখে তিনতলায় ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের গুদামে যান এই কর্মকর্তা। একের পর এক গুদাম খুলতেই বেরিয়ে আসে কার্টনভরা সয়াবিন তেল। সেই তেল নিচতলার মুদিদোকানিদের কাছে বিক্রি করা হয়। আর সয়াবিন তেল মজুত করায় তিন ব্যবসায়ীকে ২ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোর নামের তেলের এক ডিলারের গুদামে ৫ লিটারের ১০০ কার্টন বা ৪০০ বোতল (মোট ২ হাজার লিটার) সয়াবিন তেল পান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সেই প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সেই অর্থ আদায়ও করা হয়। এ ছাড়া মজুত করা দুই হাজার লিটার সয়াবিন তেল মার্কেটের নিচতলার খুচরা ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করার নির্দেশ দেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। গুদামে অভিযান শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ডিলারদের গতকাল শনিবার খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তেল সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা সেটি না দিয়ে আজ মে দিবসের ছুটিতে সুযোগ নিয়ে বাড়তি দামে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। তাই গোডাউনে অভিযান চালিয়ে সব তেল বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আজ থেকে তেল গোডাউনে নিতে পারবেন না ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। মার্কেটের নিচ থেকেই খুচরা ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করতে হবে। ফাহমিনা আক্তার আরও বলেন, ‘আমরা খুচরা ও পাইকারি বাজারের পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে সয়াবিন তেল পরিশোধনকারী কোম্পানির মিলগেটেও তদারকি করছি। সেখান থেকে প্রতিদিন রেকর্ড পরিমাণ তেল সরবরাহ করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, বোতলের গায়ে উল্লেখ করা দামের চেয়ে কেউ এক টাকা বেশি দামে বিক্রি করলে জরিমানা করা হবে। কোনো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এক হাজারবার অভিযোগ এলে এক হাজারবারই জরিমানা করা হবে। তিনি ভোক্তাদের অধিদপ্তরের হটলাইনে (১৬১২১ নম্বরে) অভিযোগ করতে আহ্বান জানান।

নিউজ বিজয়/নজরুল