লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে স্বামীর পিটুনিতে সুস্মিতা রানি(২১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সুবর্ণ রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলা পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রামদাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ সুস্মিতা রানি সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের দিনেশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, শুক্রবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী সুবর্ন রায় তার স্ত্রীর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে গৃহবধূ সুস্মিতা রানি সাথে সাথে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তার চিকিৎসা না করে সুস্মিতা রানিকে বাড়িতেই রেখে দেন। শনিবার সকাল ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। সকালে সুস্মিতা রানিকে তার নিজ ঘরে গলায় রশি পেছোনো ঝুলে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ সময় পুলিশ নিহতের স্বামী সুবর্ন রায়কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
তারা আরো জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে সুবর্ণ রায়ের সাথে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের দিনেশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে সুস্মিতা রানির বিয়ে হয়। তাদের এই সংসার জীবনে সাড়ে তিন বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সুস্মিতা রানি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বামী সুবর্ণ রায় জানালেও, সুস্মিতা রানির ভাইের দাবি তার বোনকে তার বোনজামাই সুবর্ণ রায় পিটিয়ে মেরে ফেলেছে ।
লালমনিরহাট সদর থানার এস আই তাজরুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পর পরই পুলিশের একটি দল ঘটনা স্থলে পৌছায় এবং লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি হত্যাকান্ড নাকি আত্মহত্যা ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।