১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর রৌমারী উপজেলা বিএডিসি ভবনটি নির্মান করেছিলেন দেশ স্বাধীনের সাধক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। প্রবিন ব্যাক্তিরা বলছেন, দেশ স্বাধীনের পর পরই এই বিএডিসি ভবনটি যে উদ্দ্যেশে নির্মান করেছিলেন সেসময় দেশে অনেক অন্তহীন অভাবের শেষ ছিলনা। অসহায় মানুষকে অভাব থেকে প্রতিকারের লক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বিএডিসি নামে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ভবন নির্মান করে কৃষকদের পাওয়ার পাম্প শ্যালো মিশিন দিয়ে সেচ এর ব্যবস্তা করতেন। উপজেলার কৃষকরা সরকারি পাওয়ার পাম্প শ্যালোমিশিন নিয়ে প্রথম বোরো ধান চাষ করেন। দীর্ঘ আনুমানিক ২৫ বছর পর বিএডিসি ভবনটি দূর্বল হওয়ায় ততকালিন উপজেলা প্রশাসন ভবনটিকে ঝুঝিপূর্ন ঘোষনা করে সবকার্যক্লাব বন্ধ করে দেয়। তখন থেকেই প্রায় ২৫ বছর যাবৎ বিএডিসি ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এপাশ ওপাশ আংশিক অনেক অংশেই ধসে পরছে পরিত্যক্ত ভবনটি। এমন মরন ফার্দে পরিনত হওয়ায় এলাকার প্রবিন ব্যাক্তিরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন যাতে করে ভবনটি ভেঙ্গে ঝুকিমুক্ত করা হোক, এমনটি দাবী জানিয়েছেন তারা। অপরদিকে ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় উঠতি বয়সের স্কুল কলেজের শির্ক্ষাথীরাসহ বিভিন্ন বয়সের মাদক সেবিরা নিরাপদ স্থান ভেবে এখানে এসে আরামে বসে মাদক সেবন করে চলে যায়। প্রতিনিয়ত স্কুল ছাত্ররা ঝুকিপূর্ন ভবনে বসে মাকদ খাওয়ার এমন দৃশ্য প্রায় পথী যাত্রিদের নজরে পরে। এদিকে ঝুকিপূর্ণ ভবন সংলগ্ন উপজেলা প্রেসক্লাব রৌমারী নামে একটি প্রেসক্লাব রয়েছে প্রায় সময় প্রেসক্লাবের সদস্যদের মাদক সেবনের দৃশ্য গুলো চোখে পরে। এবিষয় নিয়ে উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে ঝুকিপূর্ন ভবনে স্কুল শির্ক্ষাথীদের মাদক খাওয়ার বিষয়টি উপস্থাপন করলেও এখন পর্যন্ত এরকোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এবিষয় উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তারা বলেন ঝুকিপূর্ন ভবনে উঠতি বয়সের স্কুল কলেজের শির্ক্ষাথী প্রতিদিন ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে নিরাপদ স্থান ভেবে আরামে বসে মাদক সেবন করতে দেখা যায়। কখন যেন মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে এনিয়ে সবসময় চিন্তা হয়। তিনি আরো বলেন পরিত্যক্ত ভবনটি নিলামে অপসারন করে ঝুকিমুক্ত করা জরুরী, আমি প্রশাসনের সদৃষ্টি কামনা করছি পরিত্যক্ত ভবনটি অসারন করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
পথ যাত্রি আয়নাল হক, আকতার হোসেন, জহিরুল ইসলামসহ আরো অনেকেই ঝুকিপূর্ণ ভবনে মাদক খাওয়ার ঘাটিটা যখনী ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হবে তখন আর এই সুযোগটা পাবেনা উঠতি বয়সের শির্ক্ষাথীরা।
এবিষয় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ঈদের ছুটি থাকার কারনে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন