২০১৮ সাল। আমেরিকায় পড়তে গিয়েছেন শাহরুখ খানের পুত্র, আরিয়ান খান। নতুন পরিবেশ। পরিবার, বন্ধুবান্ধব ছেড়ে রাতে ঘুম আসত না। তাই গাঁজা জোগাড় করে ফেললেন। স্থানীয় এক সরবরাহকারীর কাছ থেকে গাঁজা আনিয়ে দিতেন আরিয়ানের বন্ধু আচিত। তবে সরবরাহকারীকে নাকি চোখেই দেখেননি কোনোদিন তিনি। ভারতের কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এনসিবি) চার্জশিটে এমনটাই স্বীকারোক্তি ছিল শাহরুখ-পুত্রের। আরিয়ানের দাবি, ইন্টারনেট ঘেঁটে জেনেছিলেন, ঘুম না এলে এই পন্থা নেওয়া যেতে পারে। তা নিয়ে অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডের সঙ্গে আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনও প্রকাশ্যে এসেছিল। ’বাদশা’-পুত্র নিজেও জেরার মুখে স্বীকার করেন, ঘুম আনার জন্য যে গাঁজা খাচ্ছেন, সেকথা অনন্যাকে বলেছেন তিনি। এদিকে, এনসিবি-তদন্তের সময়ে অনন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্পষ্টই এড়িয়ে যান। বলেন, ’ওটা তো মজা করছিলাম আমরা। আরিয়ান যদি বলে থাকে, মিথ্যা বলেছে। এরকম কিছু ও আমাকে বলেনি’। ২০২১-এর অক্টোবরে যেদিন মুম্বাইয়ের প্রমোদতরী থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আরিয়ান ও তার সঙ্গীদের, গোটা দেশ ছি ছি করেছিল কিং খান ও তার পুত্রকে। প্রায় এক মাস জেলে কাটিয়ে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন আরিয়ান। তার সঙ্গী, বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টের সরঞ্জাম তল্লাশি করে সামান্য গাজা পাওয়া যেতেই দুয়ে দুয়ে চার মেলানো হয়েছিল।
যদিও পরে জানা গিয়েছে, সেই গাঁজা পাচারের উদ্দেশ্যে তারা সঙ্গে নেননি। এমনকি আরিয়ান সেবন করবেন বলেই যে গাঁজা সঙ্গে রেখেছিলেন আরবাজ, এমনটাও প্রমাণিত হয়নি। এ-ও জানা গিয়েছে যে দেশি বা বিদেশি কোনও পাচারচক্রের সঙ্গেই শাহরুখ-পুত্রের যোগ নেই।তবু দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলতেই থাকে। শেষমেশ বছর ঘুরতে এনসিবি জানায়, নাম জড়ালেও মাদক পাচার-কাণ্ডে হাত ছিল না শাহরুখ-পুত্রর। শুক্রবার এনসিবির পেশ করা চার্জশিটে তাকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করার পরেই নতুন করে শোরগোল। আর তাতেই বেরিয়ে এসেছে আরিয়ানের এই অতীত-অভ্যাসের কথা। অনুরাগীদের প্রশ্ন, শাহরুখ-পুত্র নির্দোষ জেনেই কি নতুন করে জলঘোলা শুরু হল?
নিউজ বিজয়/নজরুল
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
E-mail :- [email protected] । E-mail :- [email protected] মোবাইল- +৮৮০১৭১৩-৬৩৬৬৬১ । বার্তা বিভাগ :- +০১৭১৬-৯৮০০৮৮ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত NewsBijoy24.Com - Popular Online Newspaper of Bangladesh.